ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছিল বাংলাদেশ। বর্তমানে বিভিন্ন জেলা থেকে পানি নেমে গেলেও মানুষের ভোগান্তি দূর হয়নি। কারো বাড়িতে খাবার নেই। কারো ঘর ধ্বংস হয়ে গেছে। ভেসে গেছে আসবাবপত্র। বন্যাপরবর্তী এসব অসহায় মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে মুন্সীগঞ্জ-বিক্রমপুর অ্যাসোসিয়েশন। নিউইয়র্ক প্রবাসীদের এ সংগঠনের পক্ষ থেকে বানভাসি মানুষের জন্য আর্থিক সহযোগিতা করা হয়।
নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল নাজমুল হুদার হাতে ৭ লাখ টাকার আর্থিক সহযোগিতার চেক তুলে দেন ইউর ড্রিম হোম কেয়ারের সিইও ও প্রেসিডেন্ট এবং বাংলাদেশ সোসাইটির ট্রাস্টি বোর্ডের বর্তমান চেয়ারম্যান এম এ আজিজ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন সিদ্দিকী, মুন্সীগঞ্জ-বিক্রমপুর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম খান, সাবেক প্রেসিডেন্ট মির্জা মনিরুজ্জামান (শামিম), মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, মোহাম্মদ ইকতারুজ্জামান (রতন) এবং আমজাদ হোসেন সেলিম সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও মাসুদ রানা তপন আন্তর্জাতিক সম্পাদক প্রমুখ।
বানভাসি মানুষের পাশে এসে দাঁড়ানোর জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন কনসাল জেনারেল নাজমুল হুদা। তিনি বলেন, এমন সময় এই বন্যা হলো যখন দেশ সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এটি দেশের অনেক মানুষের ক্ষতি করেছে। আমরা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। এ সময় আপনারা অসহায় মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। এটি আসলে ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। দেশের সংকটময় সময়ে প্রবাসীরা সব সময় পাশে দাঁড়িয়েছেন। প্রবাসীরা যে শুধু অর্থনৈতিকের চালিকা শক্তি তা কিন্তু নয়, তারা বিশ্বের সঙ্গে যোগসূত্র করে দিচ্ছেন। সেই সঙ্গে যে কোনো দুর্যোগ সময়ে পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। এ সময় কনসাল জেনারেল আমেরিকা প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। তিনি জানান, যে কোনো সেবা দিতে তারা আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশি কমিউনিটির সবাইকে একসঙ্গে থাকার আহ্বান জানান তিনি।
এম আজিজ বলেন, আমরা সব সময় চেষ্টা করি দেশের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর। সেই ধারাবাহিকতায় এবারও বন্যার্তদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। ভবিষ্যতেও আমরা দেশের মানুষের পাশে থাকবো। তিনি আরো বলেন, আমেরিকায় আমাদের যারা নতুন প্রজন্ম আছে, তাদের যদি সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারি, তাহলে তারা যেমন কমিউনিটির জন্য ভালো কিছু করতে পারবে, তেমনিভাবে দেশের জন্যও অবদান রাখতে পারবে।