শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্বরণে দেশব্যাপী শুরু হচ্ছে ‘জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ২০২৪’। ২২ দলের এ টুর্নামেন্টের উদ্ধোধন বগুড়া শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে আগামী ১০ নভেম্বর।
জাতীয় লিগের খেলোয়াড়গন ছাড়াও এতে খেলতে পারেন সাবেক জাতীয় দলের ক্রিকেটারগনও। মোটামুটি টুর্নামেন্টের আকর্ষন বাড়াতেই কোয়ালিটিপূর্ণ খেলোয়াড় সমৃদ্ধ করেই গঠন করা হবে দলগুলো। এতে করে প্রতিটি ম্যাচের আকর্ষন থাকছে। টুর্নামেন্টের ফরম্যাট টি-২০। তবে চুড়ান্ত পর্যায়ে আরো নতুনত্ব আনার চিন্তা রয়েছে। মুলত টি-২০ই মাঠ যথাযত না পাওয়া গেলে হতে পারে টি-১০ ও। তবে সে পরিকল্পনা পরে। আর চুড়ান্ত পর্ব হবে ঢাকায়। ফাইনাল ম্যাচটি বিসিবি’র সহযোগিতা পেলে জাতীয় কোনো স্টেডিয়ামে সেটা মিরপুর শেরেবাংলা বা এমন কোনো স্টেডিয়ামে হবে। চুড়ান্ত পর্বের খেলা সরাসরি সম্প্রচারিত হওয়ার প্রচেষ্টার কথাও জানানো হয়েছে। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নামে এই টুর্নামেন্টের আয়োজক বিএনপি-সংশ্লিষ্ট ক্রীড়া সংগঠকেরা।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করে জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি ঘরনার ক্রীড়া সংগঠনগন। এতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ক্রীড়া সম্পাদক ও বিএনপি ঢাকা উত্তরের আহ্বায়ক এবং জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক, বিসিবির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বাবু, বাংলাদেশ স্কোরার্স ও আম্পায়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কাজী ইউশা মিশু, ক্রিকেটারদের সংগঠন কোয়াবের সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল, ক্রিকেট সংগঠক তারিকুল ইসলাম টিটু প্রমুখ।
সম্মেলনে ঢাকা উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল জানান, ১০ নভেম্বর বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে রাজশাহী বিভাগের দুই দল রাজশাহী লাল ও রাজশাহী সবুজের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে টুর্নামেন্ট।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকবেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার তামিম ইকবাল ও সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল। আশরাফুল অবশ্য টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটিতেই আছেন বলে জানানো হয়েছে সংবাদ সম্মেলনে। কমিটির আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বাবু।
কিভাবে চলবে খেলা
বিভাগীয় পর্যায়ের খেলাগুলো বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা শহরে হলেও ১৬ জানুয়ারি শুরু মূল পর্ব হবে ঢাকায়। ফাইনাল হবে জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী ১৯ জানুয়ারি। বিসিবির সহযোগিতায় ফাইনাল ম্যাচটি মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আয়োজন করা যাবে বলে আশাবাদী আয়োজকেরা।
দেবব্রত পাল বলেন, মূল পর্বে কত ওভারের ম্যাচ হবে, তা নির্ভর করছে মাঠ পাওয়ার ওপর। মূল পর্বের ম্যাচগুলো সরাসরি দেখানো হতে পারে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে। টুর্নামেন্টে অংশ নিতে যাওয়া ১০টি বিভাগ মূলত বিএনপির সাংগঠনিক বিভাগ। রাজশাহী, ফরিদপুর, বরিশাল, খুলনা, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, ঢাকা, রংপুর ও সিলেট প্রতিটি সাংগঠনিক বিভাগেই লাল ও সবুজ নামে দুটি করে দল হবে। প্রতিটি বিভাগের দুটি দল নিজেদের মধ্যে একটি করে ম্যাচ খেলবে। ১০ ম্যাচের ১০ জয়ী দলের সঙ্গে মূল পর্বে যোগ হবে ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ দল।
রাজশাহী বিভাগের খেলা হবে বগুড়ায় ও ঢাকার খেলা সিটি ক্লাব মাঠে। অন্যান্য সাংগঠনিক বিভাগের খেলা হবে সংশ্লিষ্ট জেলা ও বিভাগীয় শহরগুলোয়। টুর্নামেন্টের জন্য কোনো পৃষ্ঠপোষক নেওয়া হবে না। পুরো খরচ আয়োজকেরাই বহন করবেন। তবে জানানো হয়েছে, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে খেলোয়াড়েরা যে রকম সুযোগ-সুবিধা পান, এই টুর্নামেন্টেও সে রকম সুযোগ-সুবিধাই থাকবে।