৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ০৩:২৯:০৬ অপরাহ্ন


‘শেখ মুজিব ডাকাত ছিলেন’
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২০-১১-২০২৪
‘শেখ মুজিব ডাকাত ছিলেন’ মঞ্চে অতিথিরা


শেখ মুজিব বাংলাদেশকে ডাকাতের রাষ্ট্রে পরিণত করেছিলেন। তিনি নিজেও ডাকাত ছিলেন। আর সেই ডাকাতকে মারার জন্যই কর্নেল ফারুকরা ৩২ নম্বরে গিয়েছিলেন। আপনাদের আমাদের সবার খেয়াল রাখতে হবে আগামীতে যাতে আর কোন ডাকাত বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় আসতে না পারে। গত ১৭ নভেম্বর মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ফাউন্ডেশন নিউইয়র্ক আয়োজিত মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ভাসানী গবেষক ড. আবিদ বাহার এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি গত ১৭ নভেম্বর বিকেলে জ্যাকসন হাইটসের জুইস সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়।

ভাসানী ফাউন্ডেশনের সভাপতি আলী ইমামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মঈনুদ্দীন নাসেরের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ভাসানী গবেষক কানাডার মন্ট্রিয়েল থেকে আগত ড. আবিদ বাহার। কলকাতা ভাসানী চর্চা কেন্দ্রের ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসিফ আক্রাম। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ড. মাহফুজ চৌধুরী, রহমত উল্যাহ, সাংবাদিক সাঈদ তারেক, ভাসানী ফাউন্ডেশনের সহ সভাপতি কাজী ফৌজিয়া, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সোবহান, প্রফেসর দেলোয়ার হোসেন, সাংবাদিক মাহমুদ খান তাসের, তিউ জামান, নাজমুল আলম শ্যামল, জন্মভূমির সম্পাদক রতন তালুকদার, দেশ সম্পাদক মিজানুর রহমান, সোহেল আহমেদ, আনোয়ার হোসেন লিটন, বাংলাদেশ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদ এ খান, প্রবাস সম্পাদক মোহাম্মদ সাঈদ, নিউইয়র্ক কাগজ সম্পাদক মনোয়ারুল ইসলাম, এডভোকেট হারিস উদ্দিন আহমেদ, ড. নার্গিস রহমান, মোস্তফা করিম ফরিদ, খন্দক চিন্তাার ফরহাদ, আমির খান জাকির, এডভোকেট মুজিবর রহমান, যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব চৌধুরী চান্দু, মাহতাব উদ্দীন আহমদ, দেলয়োর হোসেন শিপন, মীর মশিউর রহমান, কাজী আশরাফ হোসেন নয়ন, মোহাম্মদ হোসেন খান, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল খালেক, মফিজুল ইসলাম ভূইয়া রুমি, জাহাঙ্গীর সরওয়ার্দী, ফারুক হোসেন মজুমদার, জাবেদ উদ্দিন, নীরা রাব্বানী, সোহেল রহমান, শাহ আলম দুলাল, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম হাওলাদার প্রমুখ।

ড. আবিদ বাহার বলেন, শেখ মুজিব বাংলাদেশকে ডাকাতের রাষ্ট্রে পরিণত করেছিলেন। তিনি নিজেও ডাকাত ছিলেন। আর সেই ডাকাতকে মারার জন্যই কর্নেল ফারুকরা ৩২ নম্বরে গিয়েছিলেন। আপনাদের আমাদের সবার খেয়াল রাখতে হবে আগামীতে যাতে আর কোন ডাকাত বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় আসতে না পারে।

ড. আসিফ আক্রাম বলেন, মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী শেষ জীবনে রুবিয়াত’র উপর নির্ভর ছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন এই রুবিয়াতের উপরই রাষ্ট্র বা সমাজ পরিচালিত হোক। কিন্তু সেই সময় অনেকেই মনে করেছিলেন এটা মৌলবাদী। এটা তাদের বুঝার ভুল। মাওলানা ভাসানী সবার সমান অধিকার এবং ধর্র্মীয় স্বাধীনতার কথা বলেছিলেন। তিনি আরো বলেন, মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসী আল্লাহর সকল সৃষ্টিকে রক্ষার তাগিদ দিয়েছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন আল্লাহর সুষ্টিকে প্রাধান্যে রেখে ইসলামী সমাজতন্ত্র। তিনি বলেন, আমরা যদি মাওলানা ভাসানীর আদর্শ গ্রহণ করতাম, তাহলে আজকে বাংলাদেশের এই অবস্থা হতো না।

অন্যান্য বক্তারা ক্ষোভের সাথে বলেন, বাংলাদেশে সরকারিভাবে ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী কেন পালন করা হয়নি। প্রধান উপদেষ্টা কেন মাওলানা ভাসানীর কথা বলেননি। নিশ্চয় তিনি সামরাজ্যবাদের ভয়ে বলেননি। অনুষ্ঠানে বক্তারা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীকে ইতিহাসে সঠিক জায়গা এবং মূল্যায়নের আহবান জানান।

অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর উপর প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

শেয়ার করুন