০৩ অক্টোবর ২০২৫, শুক্রবার, ০৬:০৯:৪৯ পূর্বাহ্ন


বিদিশার ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা
নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৯-০১-২০২৫
বিদিশার ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা বিদিশা এরশাদ


মানহানি বক্তব্য দিয়ে ১০০ কোটি টাকার ক্ষতিগ্রস্ত করার অভিযোগে সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদের স্ত্রী বিদিশা সিদ্দিক ঢাকার একটি আদালতে মামলা করেছেন। মামলায় হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ট্রাস্টের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী মো. মামুনুর রশিদ, সাবেক সদস্য ফখর-উজ-জামান জাহাঙ্গীর ও মনিরুজ্জামান টিপুকে আসামি করা হয়েছে।

গত ২৮ জানুয়ারি মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নাজমিন আক্তারের আদালতে তিনি এ মামলা করেন। জবানবন্দি গ্রহণ করে আদালত মামলার অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ডিবি পুলিশকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। মামলার বাদী বিদিশা সিদ্দিক বাসস'কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামীরা গত ২২ জানুয়ারি সকাল ১১টায় সাংবাদিক সম্মেলন করে বিদিশা সিদ্দিক এবং তার পুত্র সন্তান শাহাতা জারাব এরিক এরশাদের বিরুদ্ধে মানহানি, আপত্তিকর বিভ্রান্তিকর অপমানজনক মিথ্যা বক্তব্য প্রদান করেন। এর আগে ২১ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ’হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ট্রাস্ট’ সংক্রান্ত অনিয়ম নিরসনে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের জন্য দরখাস্ত করেন এরিক এরশাদ। এতে আসামীরা পরস্পর যোগসাজসে তাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করে।

অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, একাধিকবার আসামী কাজী মো. মামুনুর রশিদ এবং ফখর-উজ-জামান জাহাঙ্গীরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তারা সময়ক্ষেপণ ও তালবাহানা করছেন এবং প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ট্রাস্টের হিসাব বুঝিয়ে দেননি। তারা ট্রাস্টের অনিয়মকে বৈধ করার জন্য বেআইনীভাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেন। কাজী মো. মামুনুর রশিদ দীর্ঘদিন হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ট্রাস্টের অর্থ ইচ্ছামত নিয়ম বহির্ভূতভাবে খরচ করে আসছেন।

এরিক এরশাদ অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও ট্রাস্টের সভাপতি ও সদস্যরা তাকে অর্থ প্রদান না করে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের ট্রাস্টের অর্থ লুটপাঠ করেছেন। লুটপাটের প্রতিবাদ করায় বিদিশা দিদ্দিকের বিরুদ্ধে আসামীরা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে অপমানজনক সাংবাদিক সম্মেলন করে বক্তব্য দেন। এতে তাকে কলংকিত ও কালিমা লেপন করা হয়েছে। বিদিশা ও তার ছেলে এরিক এরশাদ জাতীয়, আন্তর্জাতিকভাবে, সামাজিকভাবে, মানসিকভাবে মারাত্মক অপমানিত এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগের পাশাপাশি দোসর জাতীয় পার্টিও যখন কোনো রাজনৈতিক কর্মকান্ড করতে ব্যর্থ হচ্ছে, ঠিক সে মুহূর্তে বিদিশার এ মামলা আবারও জাতীয় পার্টিকে আলোচনার টেবিলে নিয়ে আসলেন হুসেইন মুহম্মদের দ্বিতীয় স্ত্রী বিদিশা।

শেয়ার করুন