যুক্তরাষ্ট্রের নেভাদা স্টেটে প্রথম হেট ক্রাইম রিপোর্টিং হটলাইন চালু হয়েছে। প্রায় নয় মাসের পরিকল্পনার পর এই হটলাইনটি এখন কার্যকর হয়েছে। যদিও হটলাইন স্টাফরা ভিকটিমদের আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর কাছে প্রেরণ করতে পারেন, তবে নেভাদা অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের দাবি, হটলাইনে প্রাপ্ত তথ্য সরাসরি আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর কাছে পাঠানো হবে না। যেকোনো ব্যক্তি ৭৭৫-৬৮৭-৪২৮৩ নম্বরে কল করে হেট ক্রাইম সম্পর্কে তথ্য দিতে পারবেন এবং সাহায্যের জন্য প্রয়োজনীয় সেবা সম্পর্কে জানতে পারবেন। এ পদক্ষেপটি হেট ক্রাইমের শিকারদের সহায়তা প্রদান করতে এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
গত এপ্রিল মাসে নেভাডার অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যারন ফোর্ড ঘোষণা করেন যে, তার অফিস ১১ লাখ ৬৪ হাজার ৪২৪ ডলার ফেডারেল তহবিল পেয়েছে এবং এ ধরনের প্রোগ্রাম চালানোর জন্য একমাত্র রাজ্য হিসেবে এই তহবিল পেয়েছে। ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) হেট ক্রাইমকে এমন একটি অপরাধ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেছে, যা কোনো ব্যক্তির বা সম্পত্তির বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে অপরাধী কর্তৃক জাতি, ধর্ম, অক্ষমতা, যৌন পরিচয়, জাতিগততা, লিঙ্গ বা লিঙ্গ পরিচয়ের প্রতি বিদ্বেষ দ্বারা প্রভাবিত হয়ে সংঘটিত হয়।
গত ২৩ জানুয়ারি নেভাডার অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যারন ফোর্ডের অফিস জানিয়েছে যে এই হটলাইনটি চালু করা হয়েছে। ভিকটিমরা ৭ কল করে হেট ক্রাইম রিপোর্ট করতে পারবেন এবং প্রয়োজনীয় সেবা সম্পর্কে জানতেও পারবেন। ডিসেম্বরে ফোর্ড বলেছিলেন, নেভাডায় হেট ক্রাইম এবং আক্রমণের বৃদ্ধির কারণে এই হটলাইন চালু করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ছিল। এটি এমন একটি পদক্ষেপ, যা সম্প্রদায়ের মধ্যে হেট ক্রাইম বৃদ্ধির প্রতিক্রিয়া হিসেবে নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা এ হটলাইনটি ব্যবহার করে হেট ক্রাইমের শিকারদের জন্য সহায়তা এবং সমর্থন প্রদান করতে চাই। নেভাডা ক্রাইম স্ট্যাটিস্টিক্সের রাজ্য ডেটা অনুযায়ী, গত বছর থেকে হেট ক্রাইমের সংখ্যা বেড়েছে। ২০২৩ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে আক্রমণের সংখ্যা ৮৫ থেকে ১৪৬-এ পৌঁছেছে, যা প্রায় ৭১.৭৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
নেভাদায় হেট ক্রাইমের বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে এই হটলাইন চালু হওয়া একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ, যা প্রতিবাদকারীদের এবং ভিকটিমদের সহায়তা এবং সমর্থন প্রদান করবে। যদিও আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে তথ্য শেয়ার করা হবে না, তবে এটি অনেক মানুষকে তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করতে সাহায্য করবে। এমনকি হেট ক্রাইমের শিকারদের জন্য এটি একটি নিরাপদ ও সহায়ক পরিবেশ তৈরি করবে, যেখানে তারা নির্ভয়ে অভিযোগ করতে পারবেন।