আমিরাতের কাছে ক্রিকেট ইতিহাসের সবচে বাজে সিরিজ হারের পর বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক লিটন কুমার দাস এখনও স্বপ্ন দেখিয়ে যাচ্ছেন। ম্যাচের পর বললেন, বাংলাদেশের চেয়ে শ্রেয়তর খেলেই জিতেছে প্রতিপক্ষ।
“অবশ্যই প্রত্যাশিত নয়। আমরা যখন এখানে এসেছি, সবসময় জিততেই চেয়েছি। তার পরও, এটা (পরাজয়) জীবনেরই অংশ। ক্রিকেটে কখনও কখনও প্রতিপক্ষও ভালো খেলে। তাদেরকে কৃতিত্ব দিতে হয়।”
তবে আমিরাতকে কৃতিত্ব দিলেও নিজেদের হারের মূল খলনায়ক তার কাছে ‘শিশির।’ আগের ম্যাচে ২০৫ রান করে হারের পরও দুই দফায় তিনি বলেছিলেন, শিশিরের প্রভাবে হেরেছে তার দল। শেষ ম্যাচে ১৬২ রানের পুঁজি নিয়েও তার কণ্ঠে একই কথা।
“আমরা কিছু ভুল আজকে করেছি ব্যাটিংয়েও। এই উইকেটে ও কন্ডিশনে আমাদের প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স হয়নি। তিন ম্যাচেই আমরা দ্বিতীয় ইনিংসে বল করেছি। শিশিরই মূল ব্যাপার ছিল, আমার মতে।”
শেষ নয় এখানেই। পরে আমিরাতের কৃতিত্বের প্রশ্নেও আবার বললেন শিশিরের কথা।
“তারা সত্যিই ভালো খেলেছে। আজকে প্রথম ভাগে তারা ভালো খেলেছে। ভালো বোলিং করেছে তারা, এজন্য বেশি রান করতে পারিনি আমরা। তবে ব্যাটিংয়ে কিছুটা শিশিরের সুবিধা পেয়েছে তারা।”
“যারা ব্যাট করেছে, তাদেরকেও কৃতিত্ব দিতে হবে। তারা অস্থির হয়নি।”
চরম হতাশার সিরিজে কিছু প্রাপ্তিও অবশ্য দেখছেন লিটন। প্রথম ম্যাচ পারভেজ হোসেন ইমনের সেঞ্চুরি, পরের দুই ম্যাচে তানজিদ হাসান তামিমের ব্যাটিং, এছাড়াও তাওহিদ হৃদয় আর জাকের আলির কথাও বললেন অধিনায়ক। পাশাপাশি শোনালেন আরও শেখার তাগিদ।
“যেভাবে পারভেজ ইমন, তানজিদ তামিম, হৃদয় ব্যাট করেছে… জাকের সত্যিই ভালো ব্যাট করেছে। দু-একজন ভালো বোলিংও করেছে। তবে আমাদের আরও শিখতে হবে এবং প্রয়োগ করতে হবে ম্যাচে।”
এই সিরিজ শেষে বৃহস্পতিবার বিশ্রাম নিয়ে শুক্র ও শনিবার দুবাইয়ে অনুশীলন করবেন লিটনরা। এরপর উড়াল দেবেন লাহোরের পথে। পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজ শুরু আগামী বুধবার।