০৩ অক্টোবর ২০২৫, শুক্রবার, ০৪:২৭:৫৩ পূর্বাহ্ন


‘স্যাংকচুয়ারি সিটি’ নীতি নিয়ে মামলা করেছে ট্রাম্প প্রশাসন
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৮-০৫-২০২৫
‘স্যাংকচুয়ারি সিটি’ নীতি নিয়ে মামলা করেছে ট্রাম্প প্রশাসন


নিউজার্সির চারটি শহর-নিউআর্ক, জার্সি সিটি, প্যাটারসন এবং হোবোকেনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ ‘স্যাংকচুয়ারি সিটি’ নীতির কারণে মামলা করেছে। গত ২২ মে সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্ট অব নিউজার্সির ফেডারেল আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় চাওয়া হয়েছে, ওই চার শহর তাদের ‘স্যাংকচুয়ারি সিটি’ নীতি প্রত্যাহার করে তা কার্যকর বন্ধ করে দেয়। এই চারটি শহর স্থানীয় পুলিশকে অভিবাসন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সহযোগিতা বন্ধ করার নির্দেশনা দিয়েছে, যা ফেডারেল সরকারের আইন প্রয়োগে বাধা সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

বিচার বিভাগের দাবি, রাজ্য ও স্থানীয় সরকার যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ কাজ থেকে নিজেকে আলাদা রাখতে পারে, কিন্তু তারা আইনের প্রয়োগে বাধা দিতে পারে না। ট্রাম্প প্রশাসন এই মামলাকে ‘স্যাংকচুয়ারি সিটি’ নীতির বিরুদ্ধে নেওয়া সাম্প্রতিক এক পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে। এর আগে শিকাগো, ডেনভার, কলোরাডো রাজ্য এবং নিউইয়র্কের রচেস্টার শহরের বিরুদ্ধে একই ধরনের মামলা করা হয়েছিল।

স্যাংকচুয়ারি সিটি নীতির সরকারি কোনো সংজ্ঞা না থাকলেও সাধারণত এটি স্থানীয় পুলিশ ও অভিবাসন দফতরের মধ্যে সীমিত সহযোগিতাকে বোঝায়। স্থানীয় পুলিশ সাধারণত অভিবাসন আইনের সিভিল (অপরাধ নয় এমন) এনফোর্সমেন্টে সহযোগিতা বন্ধ রাখে, তবে ফৌজদারি অপরাধের ক্ষেত্রে বিশেষ মামলা বাদ দেওয়া হয়। অভিযোগ অনুযায়ী, ওই চারটি শহর ফৌজদারি গ্রেফতারির তথ্য ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্টকে জানাতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে।

নিউইয়র্কের মেয়র রাস বারাকা, যিনি ডেমোক্রে‍টিক প্রার্থী হিসেবে গভর্নর নির্বাচনে লড়ছেন, এই মামলাকে অযৌক্তিক এবং ভয় ছড়ানোর চেষ্টা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেন, আমরা কোনো অপরাধ না করা মানুষের প্রতি অন্যায় করবো না। প্যাটারসনের মেয়র অ্যান্ড্রে সায়েগ বলেন, এই মামলা রাজনৈতিক সুবিধা নেওয়ার জন্য নেওয়া এক অবৈধ প্রচেষ্টা। আমরা ভয় পাবো না। হোবোকেনের মেয়র রাভি ভাবালা বলেন, আমরা আমাদের অধিকার রক্ষায় লড়াই চালিয়ে যাব এবং ট্রাম্প প্রশাসনের বেআইনি কার্যকলাপের বিরুদ্ধে আইনি পথে আমাদের দাবি আদায় করবো। আমরা কখনোই পিছিয়ে যাবো না।

২০১৮ সালে নিউজার্সির অ্যাটর্নি জেনারেল স্টেটব্যাপী ইমিগ্র‍্যান্ট ট্রাস্ট ডিরেকটিভ চালু করেন, যা স্থানীয় পুলিশকে অভিবাসন সংক্রান্ত ফেডারেল কর্মকর্তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করতে বাধা দেয়। চার শহরের নীতিও এই নির্দেশনার সংগতিপূর্ণ।

তৃতীয় সার্কিট কোর্ট অব আপিলস একটি নিম্ন আদালতের সিদ্ধান্তের পক্ষে রায় দিয়েছে, যেখানে নিউজার্সির স্টেট ব্যাপী নীতি বহাল রাখা হয়েছে। তবে এই রায় ওই চার শহরের বিরুদ্ধে সরকারের মামলার ওপর কী প্রভাব ফেলবে তা এখনো স্পষ্ট নয়। নিউজার্সির চারটি ডেমোক্র‍্যাট শাসিত শহর ট্রাম্প প্রশাসনের এই মামলার মুখে অবস্থান নিয়েছে, তারা অভিবাসীদের অধিকার রক্ষা করছে এবং আইন প্রয়োগে বাধা দিচ্ছে না। এখন মামলার পরবর্তী পর্যায়ের নির্ভর করছে আদালতের সিদ্ধান্তের ওপর।

শেয়ার করুন