৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ০৭:২৭:০৭ পূর্বাহ্ন


হঠাৎ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ সতর্কতা
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩০-০৭-২০২৫
হঠাৎ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ সতর্কতা রাজপথে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী


গত বছরের ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর জুলাই অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী ছাত্র জনতার দাবির মুখে আওয়ামী লীগের অংগ সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করে। এরপর জুলাই অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের মত গুরতর অপরাধে অপরাধ সংগঠিত হওয়ার আলামত পাওয়ার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সব ধরনের কার্যক্রমের উপরও নিষেধাজ্ঞার খড়গ নেমে আসে। সেটা এখনও বহাল। 

কিন্তু এমন নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দেশের বিভিন্নস্থানে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করার চেষ্টা অব্যাহত রেখে দেশের আইনশৃংখলা বিনষ্ট করার চেষ্টায় লিপ্ত দলটির কতিপয় উশৃঙ্খল। এতে সরকার দুশ্চিন্তাগ্রস্ত। বিশেষ করে মেজিস্ট্রেসি পাওয়ার নিয়ে সেনাবাহিনী মাঠে। সাথে সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও যেখানে সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্বপালনরত, তেমনি মুহূর্তে, রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে অনলাইন-অফলাইনে আবারও তৎপর নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। 

এতে করে বিশেষ ১১ দিন দেশে সহিংস নৈরাজ্যের আশঙ্কায় সারা দেশে বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে পুলিশ। পুলিশের বিশেষ শাখা ‘এসবি’ আশঙ্কা করছে, ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত অনলাইন ও অফলাইনে সংঘবদ্ধ প্রচারণার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নৈরাজ্য তৈরি করতে পারে। দলটির কিছু নেতা ও কর্মী এ সময় সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় হামলা, বিশৃঙ্খলা কিংবা ভাঙচুর চালাতে পারে বলেও ধারণা করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। 

এ অবস্থায় ২৮ জুলাই দেশের সব জেলা পুলিশ সুপারসহ গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটে একটি সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে এসবি। যেখানে এই সময়কালকে ‘বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়, ঐতিহাসিক জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি ঘিরে সরকারবিরোধী দল ও ফ্যাসিবাদবিরোধী সংগঠনগুলো কর্মসূচি পালন করছে, যাকে ঘিরেই সহিংসতা উসকে দেওয়া হতে পারে। 

দেশের সব পুলিশ ইউনিটকে রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ, সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও যানবাহনে নজরদারি, সাইবার গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো এবং স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত সময়ের জন্য চালু করা হয়েছে বিশেষ অভিযান। এই সময়ে বাস টার্মিনাল, রেলস্টেশন, লঞ্চঘাট, বিমানবন্দর ও শহরের বিভিন্ন এলাকায় মোবাইল টহল বাড়ানো হয়েছে। ব্যক্তি মালিকানাধীন মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাসসহ সব সন্দেহভাজন যানবাহনে তল্লাশি এবং ওয়ারেন্টভুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী গণমাধ্যমে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের দোসররা দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। দেশ থেকে পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে এনে রাজনৈতিক নৈরাজ্য সৃষ্টির ষড়যন্ত্র চলছে। তাদের কঠোর হাতে দমন করা হবে। যারা দেশে-বিদেশে বসে পরিস্থিতি অশান্ত করার পরিকল্পনায় লিপ্ত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

শেয়ার করুন