মার্কিন নিষেধাজ্ঞা খড়গ এখনো সরেনি। সেটা সত্ত্বেও দেশটিতে অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘের চিফ অব পুলিশ সামিটে (ইউএনকপ) অংশ নেওয়ার জন্য ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দলে পুলিশ প্রধান ড. বেনজীর আহমেদকে মনোনীত করা হয়েছে। ছয় সদস্যের মনোনীত এই প্রতিনিধি দলের সদস্যরা হলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্ম সচিব আবু হেনা মোস্তফা জামান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিব মো. আসাদুজ্জামান, পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি নাসিম ওয়াজেদ ও এআইজি মোহাম্মদ মাসুদ আলমের নাম রয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব (পুলিশ-৩ শাখা) হারুন অর রশিদ স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠি প্রধান অর্থ ও হিসাব কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে। ঢাকা থেকে সংশ্লিষ্ট সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে গত বছরের ১০ ডিসেম্বর র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট (রাজস্ব বিভাগ) ও পররাষ্ট্র দফতর। র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক হিসেবে বেনজীর আহমেদ এর নাম রয়েছে সেখানে। জানা গেছে, আগামী ৩১ আগস্ট ও ১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাস্ট্রে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাতিসংঘের চিফ অব পুলিশ সামিট (ইউএনকপ)।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দফতরে এই সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হবে। এতে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রের পুলিশ প্রধানসহ মনোনীত প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। এই সফলের পুরো অর্থ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ বা পুলিশের বাজেট থেকে খরচ করা হবে। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাসহ পুলিশ প্রধান ড. বেনজীর আহমেদকে মনোনীত করা হয়েছে। তবে বেনজীর আহমেদকে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস ভিসা দিয়েছে কি না সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কেউ কিছু জানাতে পারেননি।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, আয়োজক দেশ ও নিউইয়র্কে সদর দফতর থাকার কারণে জাতিসংঘের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী আমেরিকা আমন্ত্রিত অতিথিদের ভিসা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে বিভিন্ন সময়ে জাতিসংঘ অধিবেশনে মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় থাকা ব্যক্তিদের ভিসা না দেওয়ার উদাহরণও রয়েছে। সেই হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পুলিশ প্রধান ড. বেনজীর আহমেদকে ভিসা দিতেও পারে, আবার নাও দিতে পারে।
তবে সংশিলিস্ট সবার নামে জাতিসংঘ থেকে ইনভাইটেশন এসেছে, জিও হয়েছে। এখন ভিসার প্রক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা।