২৬ এপ্রিল ২০১২, শুক্রবার, ০৩:৫৯:১১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :


বাংলাদেশ পরাস্ত ৬২ রানের বড় ব্যাবধানে
আফগান ভীতিতে বিধ্বস্ত সাকিবরা প্রস্তুতি ম্যাচে
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৭-১০-২০২২
আফগান ভীতিতে বিধ্বস্ত সাকিবরা প্রস্তুতি ম্যাচে মোসাদ্দেকের আপ্রাণ চেষ্টা রান নেয়ার। গুরবাজও ছেড়ে দেননি শেষ চেষ্টা করেছেন/ছবি সংগৃহীত


  পরাজয় যেন পিছু ছাড়ছে না বাংলাদেশের। হোকনা প্রস্তুতি ম্যাচ। তাতেও শুধু পরাজয়ই নয়,লজ্জাজনক


পরাজয় বাংলাদেশের। এশিয়া কাপের পর আমিরাতে যেয়ে দুটি ম্যাচ খেলেছে বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে। এরপর নিউজিল্যান্ডে খেললো ট্রাইনেশন পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। সে দলটি অস্ট্রেলিয়ায় পা রেখেই বিধ্বস্ত হয় কিভাবে? পরাজয়ের একটা লিমিট রয়েছে। প্রস্তুতি ম্যাচে পরীক্ষা নীরিক্ষা থাকে। কিন্তু ওই পর্ব পেছনে ফেলে এসেছে। এখন প্রয়োজন উইনিং অভ্যাস গড়ে তোলা। কিন্তু টি-২০ বিশ্বকাপের দুই ম্যাচের আজ একটিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দাড়াতেই পারেনি সাকিবরা।

এমনিতেই আফগান ভীতিতে বাংলাদেশ। যে ফরম্যাটেই হোক না কেন, আফগানিস্তান দেখলেই হাটু কাপা শুরু বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের। যার আরো একটি প্রমান হয়ে গেল ব্রিসবেনে। না হয় টি-২০ ম্যাচে ৬২ রানের হার- এর ব্যাখ্যা দেয়া যায় কিভাবে? এত বড় হার। এটা রীতিমত লজ্জা। যে লজ্জার ও ভীতি বিশ্বকাপের মুল আসরেও মনবলের ভীত নাড়িয়ে দেয়ার মত। 

প্রথম ব্যাটিং করে আফগানিস্তানকে বেশীদুর যেতে দেয়নি বাংলাদেশের বোলাররা। ১৬০ রান, সাত উইকেটে। এটা বাংলাদেশের বোলারদের জন্য কৃতিত্বের। বিশ্বকাপের আসরে ১৮০-২০০ রান হওয়ার কথা। সেখানে প্রস্তুতি ম্যাচে ১৬০ রানে আটকে দেয়া ভালই বলতে হবে। আফগান ব্যাটসম্যানরা কিন্তু ঠিকই খেলে দিয়েছে। ওয়ান ডাউনে নামা ইব্রাহীম জারদান সংগ্রহ করেন ৪৬ রান। তবে লক্ষণীয় ছিল অধিনায়ক মোহাম্মাদ নবির ব্যাটিং। ১৭ বলে ৪১ রান করেন তিনি। যার মধ্যে ছক্কা পাচটি ও চার একটি। অন্যদের মধ্যে রহমাতুল্লাহ গুরবাজের ২৬ ও হজরাতুল্লাহ জাজাইর ১৫ রান উল্লেখযোগ্য। বল হাতে তাসকিন নেন তিনটি এ ছাড়া হাসান মাহমুদ ও সাকিব আল হাসান নেন দুটি করে উইকেট।

এরপর ১৬১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে উইকেটে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ড্যান্স শুরু হয়। শান্ত ও মিরাজ ওপেনিংয়ে নেমে ব্যার্থ। ১৯ রানে আউট হন শান্ত ১২ রান করে। এরপর ক্রিজে আসেন সৌম্য সরকার। কিন্তু ৪ বল খেলে ১ রান করে স্ট্যাম্পিং হন সৌম্য। সাকিব নামেন এরপর। তিনিও এক রান করেই প্যাভেলিয়নের পথ ধরেন। দলের রান তখন ২৬। এ সময় নেমেই আউট আফিফ। ৬.১ ওভারে ২৬ রানে নেই বাংলাদেশের টপ চার ব্যাটসম্যান। দুই রান যোগ হয়ে দলীয় ২৮ রানে আউট ইয়াসির আলী।


দলীয় রান ২৮/৫। এরপর মোসাদ্দেক ও নুরুল হাসানরা মিলে শেষ পর্যন্ত ৫০ এর আগে অলআউট হওয়া থেকে বাচিয়ে দলীয় রান নিয়ে যায় ৯৮ এ। ৯ উইকেটে ওই রান করেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। তবে শান্তনা ২০ ওভার খেলতে পেরেছে সাকিব আল হাসানরা। তবে অস্ট্রেলিয়ায় কী হবে বাংলাদেশের ম্যাচ চিত্র তার একটা নমুনা দেখিয়ে দিল আফগানিস্তান। বলা যায় মুল ম্যাচের চিত্র প্রস্তুতিতে। কারন বাংলাদেশ এ ফরম্যাটে এলোমেলো অবস্থায়। বিশেষ করে অজি কন্ডিশনে মাহমুদুল্লাহ,তামিম, মুশফিকদের মত অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানদের বাইরে রেখে এসে। অনেকেই হয়তো প্রশ্ন তুলবে ওদের কেউ কেউ তো নিজ থেকেই সরে দাড়িয়েছে। এটা ঠিক অমন সিদ্ধান্ত নিতে যদি বাধ্য করা হয় তখন তো সিনিয়ররা সরেই যাবেন! 


শেয়ার করুন