২০ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০৪:১৫:৫৩ পূর্বাহ্ন


জাতিসংঘে আব্দুল মুহিত
শান্তিরক্ষীদের ওপর আক্রমণে জবাবদিহি নিশ্চিত করুন
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২১-১২-২০২২
শান্তিরক্ষীদের ওপর আক্রমণে জবাবদিহি নিশ্চিত করুন জাতিসংঘে বক্তব্য রাখছেন রাষ্ট্রদূত আব্দুল মুহিত


‘অবশ্যই শান্তিরক্ষীদের ওপর আক্রমণের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। এ লক্ষ্যে সমাজের সকল অংশীদারদের নতুন নতুন প্রচেষ্টা ও উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন। গত ১৫ ডিসেম্বর শান্তিরক্ষীদের বিরুদ্ধে অপরাধের জবাবদিহি নিশ্চিত ও সুরক্ষার লক্ষ্যে গঠিত গ্রুপ অব ফ্রেন্ডস’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বক্তব্যে এ কথা বলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আব্দুল মুহিত। 

নতুন গঠিত এই গ্রুপ অব ফ্রেন্ডস-টিতে কো-চেয়ার হিসেবে রয়েছে বাংলাদেশ, মিশর, ফ্রান্স, ভারত, মরক্কো এবং নেপাল। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য প্রদান করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শংকর। বাংলাদেশসহ অন্য পাঁচটি সহ-সভাপতি দেশের স্থায়ী প্রতিনিধিরা স্ব স্ব দেশের পক্ষে বক্তব্য প্রদান করেন। এছাড়া বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘের পিস অপারেশন বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জ্যঁ পিয়েরে ল্যাক্রুয়া এবং অপারেশনাল সাপোর্ট বিভাগের প্রতিনিধি। 

শান্তিরক্ষীদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের জবাবদিহি নিশ্চিত করার বিষয়টিকে একটি বহু অংশীদারভিত্তিক প্রচেষ্টা হিসেবে উল্লেখ করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি জবাবদিহির বিষয়টিকে নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ করার ওপর জোর দেন। 

জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আব্দুল মুহিত বলেন, বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে দূরদর্শিতার স্বাক্ষর রেখে গেছেন, তা থেকেই উদ্ভূত হয়েছে বিশ্বশান্তি রক্ষার প্রতি বাংলাদেশের সুদৃঢ় অঙ্গীকার। শান্তিরক্ষীদের বিরুদ্ধে সৃষ্ট অপরাধের জবাবদিহি নিশ্চিত ও সুরক্ষার লক্ষ্যে তিনি স্বাগতিক দেশের সাথে কার্যকর যোগাযোগ রক্ষা, ঘটনার দ্রুত তদন্ত, সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে  স্বাগতিক দেশের সক্ষমতা বৃদ্ধি, ডিজিটাল প্রযুক্তির বাস্তবায়ন এবং ভুল ও বিকৃত তথ্যের প্রচার বন্ধ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। নবসৃষ্ট এই গ্রুপ অব ফ্রেন্ডসটি যে সকল কাজ করবে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- স্বাগতিক দেশকে সহযোগিতা প্রদান, মানুষের মধ্যে সচেতনতাবোধ তৈরি, সঠিক তথ্যের আদান-প্রদান, সর্বোত্তম অনুশীলন ও সম্পদ ভাগাভাগি এবং সহযোগিতামূলক উদ্যোগ গ্রহণ। এ সকল কর্মসূচির মাধ্যমে গ্রুপটি শান্তিরক্ষীদের বিরুদ্ধে সংঘটিত সকল প্রকার সহিংসতামূলক কার্যকলাপ প্রতিহত করার নিমিত্তে কাজ করে যাবে। উল্লেখ্য, উদ্বোধনী দিনে ৩৬টি দেশ গ্রুপটিতে যোগদান করে।

শেয়ার করুন