বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গত ১৩ এপ্রিল মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ২০২১ কান্ট্রি রিপোর্টস হিউম্যান রাইটস প্র্যাকটিসেস শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাতে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা, বিচার ব্যবস্থায় সরকারি হস্তক্ষেপ সম্পর্কে বিশদ বিবরণ দেওয়া হয়েছে।
বিএনপি মনে করে, ফ্যাসিবাদী সরকারের মারাত্মক মানবাধিকার লংঘন সরকারের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে বিরোধীদলের নেতা-কর্মীদের গুম, খুন, নির্যাতনের যেসব অভিযোগ উঠেছে, এই রিপোর্টের মাধ্যমে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পেয়েছে, বিশেষ করে সম্প্রতি র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা, সে সত্যকে আরো আরো প্রতিষ্ঠা করেছে। গত শনিবার গুলশানস্থ চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্টিত সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় আগের দিন শুক্রবার স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্তগুলো তুলে ধরেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে নির্মম নির্যাতনের ফলে হত্যাকাণ্ড, প্রতিবাদকারী ব্যক্তিদের বাবা মা ভাই বোনদের গ্রেপ্তার, বিচার প্রক্রিয়া প্রভাব বিস্তার, বিশেষ করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া, ও কারাগারে পাঠানো রাজনৈতিক ভাবে প্রবাহিত বলে উল্লেখ করা প্রকৃতি সত্যকে উদঘাটন করেছে।
প্রমাণিত হয়েছে, এই অনির্বাচিত অনৈতিক আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় অন্যায় ভাবে টিকে থাকতে চায়। প্রতিবেদনে আরও বলেন, প্রমাণিত হয়েছে অনির্বাচিত সরকারের অধীনে অবাধ সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্ভব নয়।
দেশে শক্তিশালী বিরোধী দল নেই- প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে, মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, শক্তিশালী বিরোধী দল আছে বলেই কথাগুলো আমরা বলতে পারছি। পার্লামেন্টে বিরোধী দল নেই- সেটা তাদের কারণে। তারা এদেশে গণতন্ত্রের পরিসর রাখেনি। গনতন্ত্রের পরিসর না থাকলে একটি ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রে তিনি কোন ধরনের শক্তিশালী বিরোধী দল দেখতে চাচ্ছেন- সেটা আমরা ঠিক বুঝি না। উনি যেটা দেখতে চাচ্ছেন অতি অল্প সময়ের মধ্যে সেটা দেখতে পাবেন।