০২ মে ২০১২, বৃহস্পতিবার, ০৮:০৩:৫৪ অপরাহ্ন


চীনা রাষ্ট্রদূত এইচই লি জিমিং এর তিস্তা নদীর অববাহিকা ও তিস্তা ব্যারেজ পরিদর্শন
তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবে রুপ নেয়ার আশার আলো
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১০-১০-২০২২
তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবে রুপ নেয়ার আশার আলো তিস্তা মহাপ্রকল্প এলাকায় পরিদর্শনে যেয়ে সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত/ছবি সংগৃহীত


চীনের সহায়তায় তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবে রুপ নেয়ার আশার আলো উকি দিচ্ছে। গত দুই বছর যাবৎ মাঠ পর্যায়ের পর্যবেক্ষন করে প্রকল্প প্রায় চুড়ান্ত করে চীনের প্রতিষ্ঠান চায়না পাওয়ার ও চায়না রিভার ইয়োলো। সার্বিক প্রকল্পের ডিজাইনও করে ফেলেছে। রোববার সকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত এইচই লি জিমিং নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্ট এলাকার তিস্তা নদীর অববাহিকা ও তিস্তা ব্যারেজ পরিদর্শন করেন। এতে এলাকার লোকজনের মধ্যে আশার আলো জেগেছে। 

প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে সাড়ে আট হাজার কোটি টাকা। সরকার ও চীন উভয়ই এ পরিকল্পনা ও প্রকল্প বাস্তবায়নে আন্তরিকার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে। 

এতে করে প্রকল্পের আওতায় থাকা এবং মহাপরিকল্পনায় তিস্তা নদীর ডান-বাম উভয় তীর ঘেঁষে ২২০ কিলোমিটার উঁচু গাইড বাঁধ, রিভার ড্রাইভ, হোটেল-মোটেল-রেস্তরাঁ, পর্যটন কেন্দ্র, ১৫০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র, শিল্প-কারখানা, ইপিজেড, ইকোনমিক জোন, কয়েক লাখ হেক্টর কৃষি জমি উদ্ধার, বনায়ন ইত্যাদি রয়েছে। এতে পাল্টে যাবে তিস্তাপাড়ের লাখো মানুষজনের জীবনমান।

চীনা রাষ্ট্রদূত তিস্তাপাড়ের সার্বিক পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখেন ও তিস্তাপাড়ের মানুষজনের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তিনি বলেণ,তিস্তা মহাপরিকল্পা বাস্তবায়ন দ্রুত আলোর মুখ দেখবে। উক্ত এলাকার সাধারন মানুষের কথা উল্লেখ করে লি জিমিং বলেন, এই এলাকার মানুষরা কী ভাবছেন সেটি সবার আগে খেয়াল করছি আমরা। মানুষের কতটা চাহিদা রয়েছে সেটিও দেখা হচ্ছে।

প্রকল্পের ব্যাপারে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, তিস্তাকে ঘিরে মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে পূর্ব চীনের জিয়াংসু প্রদেশের সুকিয়ান সিটির আদলে তিস্তার দুই পাড়ে পরিকল্পিত স্যাটেলাইট শহর গড়ে তোলার কথা ভাবা হচ্ছে। নদী খনন ও শাসন, ভাঙন প্রতিরোধ ব্যবস্থা, আধুনিক কৃষি-সেচ ব্যবস্থা, মাছচাষ প্রকল্প, পর্যটনকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এতে ৭ থেকে ১০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর ফলে উত্তরের জেলা লালমনিরহাট, রংপুর, নীলফামারী, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম জেলার আর্থিক সমৃদ্ধি হবে।

চীনা দূত বলেন, তিস্তা একটি বৃহৎ নদী। এটি খনন করতে পারলে এ অঞ্চলের মানুষের জীবনমানের পরিবর্তন হবে। এটি বাংলাদেশে আমার প্রথম কাজ। যদিও এ প্রকল্প বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জের, এরপরও এটি করব। যেহেতু তিস্তা আন্তর্জাতিক নদী, সে কারণে লাভ ও ক্ষতি কি রকম হচ্ছে সেটিও বিবেচনায় নেয়া হচ্ছে বলে জানান রাষ্ট্রদূত। বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে এগুলো মূল্যায়ন করা হবে।

এ সময় চীনা দূতাবাসের রাজনৈতিক উপদেষ্টা মি. ওয়াং ঝিহং, অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক বিভাগের দ্বিতীয় সচিব মি. জিইউ ঝিকিন সফর সঙ্গী হিসেবে ছিলেন। এছাড়া পরিদর্শনের সময় চীনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথা বলেন লালমনিরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহার হোসেন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিভিন্ন কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক সহ অন্যান্য কর্মকর্তা। 


শেয়ার করুন