২৬ এপ্রিল ২০১২, শুক্রবার, ০১:৪৪:৫৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :


মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস বিকৃত করলেই প্রতিবাদ
সোহেল তাজের হুশিয়ারী
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৭-০৪-২০২২
সোহেল তাজের হুশিয়ারী


বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদের সন্তান সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ আবারও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। দিন কয়েক আগে তিন দফা দাবী নিয়ে স্বারকলীপি দিতে গনভবনে যান স্বদলবলে পদযাত্রা করে। এবার তার ভেরীফাইড ফেসবুকে পোষ্ট দিয়েছেন হুশিয়ারী বা সতর্কীকরন দেখিয়ে। সেখানে তিনি বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি করার চেষ্টা করলে প্রতিবাদ করবেন তিনি, ঘোষনা দেন। নিম্নে তুলে ধরা হলো এ উপলক্ষে তার ফেসবুকের দেয়া পোষ্ট/ ঘোষনা।
“হুঁশিয়ারি/সতর্কীকরণ: আমি প্রহরী '৭১ এর পক্ষ থেকে জানাতে চাই যে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি করার চেষ্টা করলে- সে যেই হোক না কেনো- প্রমান সহ প্রতিবাদ করা হবে ও বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আমাদের যদি এই দেশের প্রতি বিন্দু মাত্র ভালোবাসা থাকে তাহলে আমাদের সকলেরই চেষ্টা করা উচিৎ উপকার বা অবদান না রাখতে পারলেও অন্তত এই দেশের ভবিষ্যৎ যাতে ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সেদিকে সোচ্চার থাকা। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু, জাতীয় চার নেতা, ৩০ লক্ষ শহীদসহ যারা এই দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছে তাদের প্রতি যদি নূন্যতম কৃতজ্ঞতাবোধ থাকে তাহলে আমরা সবাই অন্তত তাদের ত্যাগ এবং অবদানকে অস্বীকার করতে পারি না বরং তাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে পারি বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে সঠিক ভাবে সংরক্ষণ করে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু, জাতীয় চার নেতা, ৩০ লক্ষ শহীদ সহ যারা এই দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছে তাদের প্রতি যদি নুন্যতম কৃতজ্ঞতা বোধ থাকে তাহলে আমরা সবাই অন্তত তাদের ত্যাগ এবং অবদানকে অস্বীকার করতে পারি না বরং তাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে পারি বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে সঠিক ভাবে সংরক্ষণ করে ও আগামীকাল (আজ) ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবস ও ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ গ্রহণ করে ও বঙ্গবন্ধুকে রাষ্ট্রপতি করে এই সরকার গঠন করা হয় ও বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে উপ রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন, তাজউদ্দীন আহমদ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী, এ এইচ এম কামারুজ্জামান মন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। আমার খুব আশ্চর্য লাগে যখন অনেক বিজ্ঞ মানুষদের মুখ থেকে শুনি, আর তাদের লেখায় পড়ি, যে এই সরকার নাকি অস্থায়ী সরকার ছিল ও তারা আসলে যেন জেনে না জেনে ইতিহাসকে গুবলেট বানিয়ে ফেলেছে- অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির সাথে গোটা সরকারকেই অস্থায়ী বানিয়ে দিয়েছে যা ইতিহাস বিকৃতির শামিল এবং আমি মনে করি তা বঙ্গবন্ধু, জাতীয় চার নেতা এবং বাংলাদেশকে অবমাননা করার শামিল।

সাবেক স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ, ছবি/ সংগৃহীত 

নিম্নে আমার ব্যাখ্যা:

অস্থায়ী সরকার বলে কোনো সরকার ছিল না- এটা ছিল গণপ্রজতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার ও বঙ্গবন্ধু ছিলেন এই সরকারের রাষ্ট্রপতি (প্রথম রাষ্ট্রপতি) এবং ওনার অবর্তমানে উপ রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন ও পরবর্তীতে ১৯৭২ সালের জানুয়ারী মাসে বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে আসার পর ১২, জানুয়ারী ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ সরকার বিশেষ অর্ডিন্যান্স জারি করে ও এই অর্ডিন্যান্স জারির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব ভার গ্রহণ করেন এবং একই সঙ্গে মন্ত্রীসভার ১১ জন সদস্যের নামের তালিকা পেশ করেন ও মহান মুক্তিযুদ্ধের পরিচালনাকারী বাংলাদেশের প্রথম সরকারই হচ্ছে পরবর্তী সকল সরকারের ভিত্তি মূল, তাই এই সরকারকে অস্থায়ী সরকার বলার কনো সুযোগ নাই।”

শেয়ার করুন