২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০২:২২:৩৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


টি২০ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ কি পেলো?
সালেক সুফী, অস্ট্রেলিয়া থেকে
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৯-১১-২০২২
টি২০ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ কি পেলো?


বিসিবি প্রধান নিজেই বলেছিলেন, আমাদের মূল টার্গেট পরবর্তি বিশ্বকাপ। তার অর্থ এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশ অংশ নিয়েছিল পরবর্তী ২০২৪ বিশ্বকাপের জন্য শিক্ষা সফরের উদ্দেশ্যে! টুর্নামেন্টের এক পর্যায়ে মানে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে অধিনায়ক সাকিব বললেন, ‘আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে আসিনি।’ ৬ দলের সুপার ১২ গ্রুপে ৫ম স্থান অর্জন করে দেশে ফেরা বিশেষত আইসিসি সহযোগী দেশ নেদারল্যান্ডের পরে অবস্থান- সাফল্য না ব্যার্থতা তার বিচার বিশ্লেষণের বিষয়।

টুর্নামেন্টে  হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর বাংলাদেশ ৯ আর ৩ রানে জয় পেয়েছে নিচের সারির নেদারল্যান্ড আর জিম্বাবুয়ের দলের বিরুদ্ধে। এগুলো নিয়ে উচ্ছ্বাস করার অবকাশ কম আছে। বাকি তিনটি ম্যাচের একটিতে উড়ে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের বিরুদ্ধে। কিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গেলেও ৫ উইকেটে হেরেছে ভারত পাকিস্তানের কাছে। টুর্নামেন্ট এখন সেমিফাইনাল পর্যায়ে। কিন্তু তল্পিতল্পা নিয়ে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ। এমনকি যেটা বলা হচ্ছে যে বাংলাদেশ তাদের টি২০ বিশ্বকাপের আসরের সবচে ভাল রেজাল্ট করে ফিরেছে। তবুও ঢাকা বিমানবন্দরে তাদের রিসিভ করতে কোনো কাক পক্ষীরও ছায়া দেখা যায়নি। 

অনেকেই বলেছে টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ অংশ নিয়েছে সবচে অপ্রস্তুত দল হিসেবে। এমনকি দলে  টুর্নামেন্ট চলার সময়েও অনেক এক্সপেরিমেন্ট করা হয়েছে। টি ২০ বিশ্বকাপ আসরে পসিটিভ ব্যাটিং করার মতো ন্যূনতম সংখ্যার মান সম্পন্ন মারকুটে (হিটার) ব্যাটসম্যান ছিল না। উল্লেখ করার মতো দুটি ইনিংস খেলেছে শান্ত আর একটি লিটন।  আফিফ প্রতিশ্রুতি পূরণ করলেও মিডল অর্ডারে মুশফিক- মাহমুদুল্লার শুন্যতা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে ইয়াসির, মোসাদ্দেক, সোহান। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই সাকিবের ব্যাট হাসেনি। বাজে বাটিং’র কারণে বাংলাদেশ সুযোগ পেয়েও জয়ী হতে পারেনি ভারত ও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে।

তাসকিন টুর্নামেন্ট জুড়ে ভালো বোলিং করেছে। মুস্তাফিজ কিপ্টে বোলিং করলেও ম্যাচ জয়ী কিছু করতে পারে নি।  বাংলাদেশ টুর্নামেন্টে কোনো বড় দলের বিরুদ্ধে জয় না পেলেও আয়ারল্যান্ড হারিয়েছে ইংল্যান্ডকে, নেদারল্যান্ড জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে, পাকিস্তানকে  হারিয়ে দিয়েছে জিম্বাবুয়ে, নামিবিয়া হারিয়েছে শ্রীলংকাকে, স্কটল্যান্ড হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। সৌভাগ্য বাংলাদেশের কোয়ালিফাইং রাউন্ড খেলতে হয়নি। নাহলে বিপদ হতে পারতো। তাছাড়া এমন কোনো বড় দলকেও কিন্তু হারায়নি। বড় দলের মধ্যে সচারাচার হারানো সেই জিম্বাবুয়ে।  

অথচ অনেক আশায় বুক বেঁধে প্রবাসী বাংলাদেশিরা বিপুল সংখ্যায় প্রতিটি খেলার ভেনুতে জোর হয়ে উৎসাহ জুগিয়েছে। বাংলাদেশকে অস্ট্রেলিয়া দ্বিপাক্ষিক সিরিজে আমন্ত্রণ করে না হয়তো বিসিবির ক্রিকেট দ্যূতিয়ালির দুর্বলতার কারণে। এমনিতে দেশে যত নাচুনি কুদুনি করুক বিসিবি কর্মকর্তারা ভেজা বেড়াল সেটি আর বুঝতে বাকি নেই। এবারের টুর্নামেন্টে তাই অনেক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত গেছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। একটু শক্তিশালী  অবস্থান নিতে পারে নি বাংলাদেশ। 

যাহোক, সাফল্য ব্যর্থতার সমীকরণে বাংলাদেশের এবারের অর্জন নেদারল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, জিম্বাবুয়ে থেকেও কম এটা বললে বাড়িয়ে বলা হবে না। যদিও কিছু মানুষ শান্তর দুটো ইনিংস, লিটনের ভারতকে কাঁপিয়ে দেয়া বা তাসকিনের নিয়মিত ভালো বোলিং বিশাল অর্জন বলে তৃপ্তির ঢেউ তুলবে। ওটা ব্যাক্তি পারফরমেন্স। কিন্ত সার্বিক বিবেচনায় টিম বাংলাদেশ কী করলো বা কী করা উচিৎ ছিল সেটা বিবেচনায় নিলে সফলতা নেই এটাই বলে দেয়া যায় অনায়াসে।

শেয়ার করুন