২০ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০৪:২৭:০৫ অপরাহ্ন


‘ধর্মঘট’ নিষিদ্ধের বিল উত্থাপন স্বৈরাচারী
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ১২-০৪-২০২৩
‘ধর্মঘট’ নিষিদ্ধের বিল উত্থাপন স্বৈরাচারী


বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম এবং সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স এক বিবৃতিতে সরকারকে ধর্মঘট নিষিদ্ধ করার ক্ষমতা দিয়ে জাতীয় সংসদে ‘অত্যাবশকীয় পরিষেবা বিল’ উত্থাপনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। বিবৃতিতে তারা বলেন, ধর্মঘটের অধিকার কেড়ে নেয়ার উদ্যোগ একটি অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরাচারী পদক্ষেপ। 

গত ১১ এপ্রিল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তারা আরো বলেন, সংবিধান, আইন, আইএলও কনভেনশন ও আন্তর্জাতিক বিধি-বিধান অনুযায়ী শ্রমিক-কর্মচারিদের ন্যায্য দাবিতে ধর্মঘটের অধিকার স্বীকৃত বিষয়। সরকার শ্রমিক-কর্মচারিদের ন্যায্য অধিকার-পাওনা নিশ্চিত করতে না পেরে দমনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এটি কোনোভাবেই জনগণ গ্রহণ করবে না। অত্যাবশকীয় খাত নামে প্রতিবাদের অধিকার কেড়ে নেয়ার অর্থ হলো শ্রমিকের ওপর বিনা বাধায় নিপীড়ন-নির্যাতনকে সম্প্রসারিত বা বৈধ করা। 

নেতৃবৃন্দ বলেন, জরুরি সেবাগুলো অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ একটি কর্তব্য। সেই অর্থে এই কাজের সাথে যারা যুক্ত থাকবে তাদের অধিকার বেতন-পাওনাদি এবং অন্যান্য যাবতীয় চাহিদা নিশ্চিত করাও সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্য। সেই কর্তব্য পালন করতে ব্যর্থ হয়ে সরকার জনগণের স্বার্থবিরোধী এই আইন পাসের চেষ্টা চালাচ্ছে। এই আইন পাস হলে তা মালিকদের সুরক্ষা এবং শ্রমিকদের ভীতি প্রদর্শন ও শাস্তি প্রদানের একটি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হবে। লড়াই-সংগ্রামের পথ অবরুদ্ধ রেখে জনগণের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করার এই প্রয়াস একটি স্বৈরাচারী পদক্ষেপ। 

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ হুঁশিয়ারি জানিয়ে বলেন, কোনোভাবেই সরকারের এই অগণতান্ত্রিক সংবিধানবিরোধী পদক্ষেপ মেনে নেয়া হবে না এবং যেকোনো মূল্যে তা প্রতিহত করা হবে। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ জনগণ ও শ্রমিকশ্রেণিকে এই গণবিরোধী পদক্ষেপের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

পুনরায় সারের মূল্যবৃদ্ধিতে সিপিবির ক্ষোভ

এদিকে সিপিবি সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম এবং সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স আরেক বিবৃতিতে ইউরিয়া সারের মূল্য কেজিতে ৫ টাকা বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিয়ে সরকারের গৃহীত এই সিদ্ধান্ত একটি কৃষক ও জনস্বার্থবিরোধী সিদ্ধান্ত। কৃষিখাতে পর্যাপ্ত ভর্তুকি প্রদানের জোর দাবি জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, সারা পৃথিবীতে করোনাকালে যে অর্থনৈতিক ঝুঁকি তৈরি হয় বাংলাদেশের অর্থনীতিকে সচল রাখার জন্য আমাদের কৃষকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সরকারের উচিৎ কৃষিখাতে পর্যাপ্ত ভর্তুকি প্রদান করে জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। কিন্তু সেটা না করে ব্যবসায়ী-মুনাফালোভী এবং মধ্যসত্ত্বভোগীদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার বারবার এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। যা আমাদের কৃষি খাতের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বিবৃতিতে অবিলম্বে বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার করে ন্যায্য দামে সারসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণ সরবরাহ নিশ্চিত করার ব্যবস্থা  নেয়ার জোর দাবি জানানো হয়।

শেয়ার করুন