হাজার বছরের বাঙালি সংস্কৃতির আদি উৎসব বর্ষবরণ, নব সাজে নব উদ্যমে বাঙালির প্রাণ জেগে ওঠে এই দিনে বহু বর্ণিল আয়োজনে। প্রতিটি বৈশাখ আসে নতুন উদ্দীপনা ও নতুন স্বপ্নে। বাঙালির এই আদি ও অকৃত্রিম বর্ষবরণ ১৪৩০, ঈদ আনন্দ উৎসব, বৈশাখী মেলার বর্ণিল এবং জমজমাট অনুষ্ঠানের আয়োজন করে শো টাইম মিউজিক। উৎসবমুখর আয়োজনটি ছিল গত ২৩ এপ্রিল সন্ধ্যায় উডসাইডের কুইন্স প্যালেসে। এই আয়োজনের বিশেষ আকর্ষণ ছিলো বৈশাখী উৎসবে পান্তা ইলিশের, মনোজ্ঞ সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও রকমারি দেশীয় পণ্যের স্টল। বর্ণিল ও নানাবিধ আয়োজনে মুগ্ধতায় বিমোহীত ছিল হলভর্তি প্রবাসী বাংলাদেশী। অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনায় ছিলেন কমিউনিটির পরিচিত মুখ মিয়া মোহাম্মদ দুলাল এবং বাবু জামান। শো টাইম মিউজিকের প্রেসিডেন্ট আলমগীর খান আলম জানান, প্রায় পাঁচ শতাধিক অতিথিকে পান্তা ইলিশ দিয়ে আপ্যায়িত করা হয়। উৎসবমুখর এবং নবআনন্দের এই দিনে সবাইকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান শো টাইম মিউজিকের কর্নধার আলমগীর খান আলমগীর।
বর্ষবরণের এই পুরো অনুষ্ঠানকে সাজানো হয় নতুন আদলে। মঞ্চই যেন বলেদিচ্ছিলো এটি বর্ষবরণের অনুষ্ঠান। পরিকল্পনাই বলে দিচ্ছিলো ঈদ আনন্দ উৎসব, স্টল স্মরণ করে দেয় বৈশাখী মেলার। শুধু মঞ্চ নয় পুরো অডিটোরিয়াম সাজানো হয় বৈশাখ ও বর্ষবরণের আদলে। হল রুমে ঢুকতেই মনে হবে বাঙালীপনার ছোঁয়া লেগেছে। পোশাক আশাকে বাঙালির প্রাণের স্পন্দন।
অনুষ্ঠানটি বিকেল ৬টায় শুরু হলেও চলে গভীর রাত পর্যন্ত। যেখানে প্রাণের উচ্ছ্বাস সেখানে কী নির্দিষ্ট ফ্রেমে অনুষ্ঠান শেষ করা সম্ভব? নিশ্চয় নয়। প্রবাসের জনপ্রিয় শিল্পী চন্দন চৌধুরী, শাহ মাহবুব ও রোখসানা মির্জা সঙ্গীত পরিবেশন করেন। শিল্পীদের পরিবশনা দর্শকরা প্রাণভরে উপভোগ করেন, সেই সাথে দর্শকদের উল্লাস। বিপার শিল্পীদের নৃত্য পরিবেশনা সবার প্রশংসা কুড়িয়েছে।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন নিউইয়র্ক সিটি মেয়রের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক উপদেষ্টা ফাহাদ সোলায়মান, কম্যুনিটি এক্টিভিস্ট নাসির আলী খান পল, বিশিষ্ট চিকিৎসক চৌধুরী সারওয়ারুল হাসান, আশা হোম কেয়ারের প্রেসিডেন্ট আকাশ রহমান, মাকর্স হোমস কেয়ারের ডিরেক্টর কামাল হোসেন, বিশিষ্ট রিয়েলএ্যাস্টেট ব্যবসায়ী রীনা সাহা, জেবিবিএ’র সহ সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় পার্টির সভাপতি হাজী আব্দুর রহমান, লায়ন্স ক্লাবের প্রেসিডেন্ট আহসান হাবিব, সাধারণ সম্পাদক হাসান জিলানী, শিল্পী সেলিম ইব্রাহিম, কম্যুনিটি এক্টিভিস্ট ইশতিয়াক রুমি, জাহাঙ্গীর আলম জয়, জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান চৌধুরী শেফাজ, কম্যুনিটি এক্টিভিস্ট মঈনুজ্জামান চৌধুরী, আব্দুর রশীদ বাবু, এশা রহমান, শাহিদা শিকদার হাই, এম এন হায়দার মুকুট, সাংবাদিক আকবর হায়দার কিরণ, আবিদ রহমান, ড. রফিক আহমেদ, এ এস এম মাইনুদ্দিন পিন্টু, বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতির প্রেসিডেন্ট ডা. এনামুল হক, বিশিষ্ট ব্যববসায়ী নূরুজ্জামান সর্দার প্রমুখ।