২৬ এপ্রিল ২০১২, শুক্রবার, ১১:০১:০৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


সন্ত্রাস সৃষ্টি করে জনগণের দাবিকে তারা দাবিয়ে দিতে চায়- মির্জা ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২২-০৫-২০২৩
সন্ত্রাস সৃষ্টি করে জনগণের দাবিকে তারা দাবিয়ে দিতে চায়- মির্জা ফখরুল


কিছু দিন ধরে সরকারের মন্ত্রী-নেতারা বারবার করে একটা কথা বলছেন- অগ্নিসন্ত্রাস হবে, আবার আগুন নিয়ে খেলবে বিএনপি। এটা কিন্তু অত্যন্ত পরিকল্পিত একটি বক্তব্য। তারা (ক্ষমতাসীনরা) সন্ত্রাস করবে সেজন্যই এ কথাগুলো বলতে শুরু করেছে। কিছুটা সফলও হয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন দূতাবাস থেকে তাদের নাগরিকদের সতর্ক করা হচ্ছে, নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে, সংঘাত হতে পারে। আওয়ামী লীগ মানেই সন্ত্রাসী, আওয়ামী লীগ মানেই দুর্নীতিবাজ। দলটির রসায়ন থেকে এ দুটো বের হয়ে আসে- কথাগুলো বলেছেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

সোমবার বনানীতে এক গোলটেবিল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (অ্যাব) উদ্যোগে ‘দেশের জ্বালানি খাতে অমানিশা: লুটপাট আর অরাজগতার চালচিত্র’ শীর্ষক এ সভা হয়। এতে মির্জা ফখরুল বলেন, সম্প্রতি খুলনা, রাজবাড়ী, নেত্রকোনা, পটুয়াখালীতে ক্ষমতাসীনরা সন্ত্রাস করেছে। এর কারণটা হচ্ছে প্রতিবাদকে বন্ধ করতে হলে সন্ত্রাসই একমাত্র পথ। এ সন্ত্রাস সৃষ্টি করে জনগণের দাবিকে তারা দাবিয়ে দিতে চায়।

ন্যাড়া বারবার বেলতলায় যায় না- মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, গোটা বাংলাদেশকে লুট করে শেষ করে দিয়েছে। আরও পাঁচ বছর লুট করতে তারা ভোট চাইতে শুরু করে দিয়েছে। আর বলছে, নির্বাচন তো হবে, নির্বাচনে আসেন। হাত-পা বাঁধা, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই, মুখ বন্ধ। ইতোমধ্যে আবার খেলা শুরু করে দিয়েছে। নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে, অত্যাচার-নির্যাতন করছে, গায়েবি মামলাকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে। সুতরাং এবার কোনো পাতানো নির্বাচন, দিনের ভোট রাতে করার নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ পা দেবে না। এ ফাঁদে মানুষ পা দেবে না।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা মারামারি করতে চাই না, সংঘাত চাই না। সরকারের পদত্যাগসহ আমাদের দাবি মেনে নিতে হবে। সুন্দরভাবে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হবে। আবারো স্পষ্ট করে বলতে চাই, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দবি মেনে নিতে হবে। তত্ত্বাধায়ক সরকার ছাড়া এখানে কোনো নির্বাচন হবে না।’

অ্যাবের সভাপতি প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজুর সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব কেএস আসাদুজ্জামান চুন্নুর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের অধ্যাপক ফরহাদ হালিম ডোনার, ইউনিভারসিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদা দলের অধ্যাপক লুৎফর রহমান, শিক্ষক-কর্মচারি ঐক্যজোটের অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সৈয়দ আবদাল আহমেদ প্রমুখ। 


শেয়ার করুন