০২ মে ২০১২, বৃহস্পতিবার, ০৪:৩২:৪২ অপরাহ্ন


বাংলা বানান ও বাক্য বিকৃতভাবে ব্যবহার বন্ধে গণস্বাক্ষর অভিযান
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৬-০৮-২০২৩
বাংলা বানান ও বাক্য বিকৃতভাবে ব্যবহার বন্ধে গণস্বাক্ষর অভিযান সংবাদ সম্মেলনে গাইবান্ধা সোসাইটির নেতৃবৃন্দ


দীর্ঘদিন থেকে নিউইয়র্কে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বাংলা বানান ও বাক্য বিকৃতভাবে ব্যবহার হচ্ছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে শুদ্ধভাবে বাংলা লেখার আহ্বান জানিয়ে আমরা ২৬, ২৭ ও ২৮ আগস্ট গণস্বাক্ষর কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। এই গণস্বাক্ষরের চিঠি-সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। কর্মসূচিকে সফল করতে বিভিন্ন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। গত ১২ আগস্ট সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের গোল্ডেন পার্টি হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গাইবান্ধা সোসাইটির কর্মকর্তারা এসব কথা বলেন। সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আউয়াল দুলালের সভাপতিত্বে এবং সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাধারণ সম্পাদক রেজা রহমান। গণস্বাক্ষর বাস্তবায়ন উপকমিটির আহ্বায়ক দীলিপ মোদকের পরিচালনায় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সদস্যসচিব ফাহমিদা চৌধুরী লুনা, সহ-সাধারণ সম্পাদক প্রতীমা সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ শফিউল আজম, ক্রীড়া সম্পাদক মাহফুজুল ইসলাম তুহিন, সাহিত্য সম্পাদক মুক্তি সরকার, সদস্য নাজমা বেগম, সনজীবন কুমার, জিয়াউর রহমান হেনরি, লায়লা তানি, প্রশান্ত কুমার, হোসনে আর বেগম রত্না।

লিখিত বক্তব্যে রেজা রহমান বলেন, আমরা স্বাক্ষর অভিযান শেষে তা আগামী ২৮ আগস্ট গণস্বাক্ষরের চিঠি আনুষ্ঠানিকভাবে নিউইয়র্ক কনসাল জেনারেলের হাতে তুলে দেবো। ইতিমধ্যে তার সঙ্গে আমাদের মতবিনিময় হয়েছে। তিনি তার পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এছাড়াও যেসব প্রতিষ্ঠানে বাংলা বানান ও বাক্য বিকৃতভাবে ব্যবহার হচ্ছে, তাদের কাছেও চিঠি দিয়ে শুদ্ধ বাংলা লেখার আহ্বান জানাবো।

তিনি বলেন, ১৯৫২ সালে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে শহিদ হয়েছেন-রফিক, জব্বার, শফিউর, সালাম, বরকতসহ অনেকেই। রক্তের বিনিময়ে অর্জন করা সেই ভাষা নিউইয়র্কে ভুলভাবে উপস্থাপন হলে আমরা আহত হই, আমাদের রক্তক্ষরণ হয়। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছেও প্রশ্নবিদ্ধ হতে হয়। এসব গ্লানি থেকে মুক্ত হতে আমাদের এই পদক্ষেপ।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের অবহেলিত জনপদ গাইবান্ধার প্রবাসীদের নিয়ে আমাদের এই আঞ্চলিক সংগঠন। আর্থিক ও সাংগঠনিকভাবে আমাদের ক্ষমতা খুবই সীমিত। এই সীমাবদ্ধতার মধ্যে থেকেও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শুদ্ধ বাংলা লেখার আহ্বান জানাচ্ছি। কারণ এই নগরের একজন গর্বিত নাগরিক হিসেবে সমন্ত অন্ধকার ও অসংগতিকে দূর করা আমাদের দায় বলে মনে করি। আমারা মনে করি, এটি আমাদের নৈতিক কর্তব্য। আমাদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে সার্বিক সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে শা ফাউন্ডেশন। এর জন্য ফাউন্ডেশনের প্রধান শাহ্ জে চৌধুরীকে জানাচ্ছি অভিনন্দন। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। তাই আমাদের বিশ্বাস, আপনারাও এই নগরে বাংলা ভাষাকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও প্রতীমা সরকার। সংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, আমরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গেও বৈঠক করবো এবং অন্যান্য সামাজিক ও আঞ্চলিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দর সঙ্গে মতবিনিময় সভা করবো।

শেয়ার করুন