তেল-গ্যাস খনিজসম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ
তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেছেন, এখনো কয়লা সিন্ডিকেট দেশে উন্মুক্ত পদ্ধতি কয়লা তুলে মানুষ-জমি-জলা-পরিবেশ-প্রতিবেশ ধ্বংসের পাঁয়তারা করছে। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারের নতজানু নীতি ও সাম্রাজ্যবাদী আধিপত্যবাদী শক্তির অপতৎপরতা সম্পর্কে সজাগ থাকতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তারা।
তেল-গ্যাস খনিজসম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন গত ২৬ আগস্ট শনিবার ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তারা এসব কথা বলেন। দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে জমি-জলা-পরিবেশ-মানুষ রক্ষার দাবিতে ২০০৬ এর ২৬ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের শহীদ আমিন, সালেকীন, তরিকুল স্মরণে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, এশিয়া এনার্জিকে বহিষ্কার করা হয়নি। শতভাগ দেশের মালিকানায় রেখে প্রয়োজনে কন্ট্রাক্টর নিয়োগ করে সমুদ্রে দ্রুত তেল-গ্যাস অনুসন্ধান করতে হবে। অথচ জানা যাচ্ছে, সমুদ্রে প্রোডাকশন শেয়ারিং কন্ট্রাক্টের নামে রফতানির সুযোগ রেখে মার্কিন কোম্পানিকে কাজ দেওয়ার প্রচেষ্টা চলছে। যা দেশবাসী মেনে নেবে না। তারা বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর ব্যক্তিমালিকানায় দেওয়ার সমালোচনা করে বলেন, দেশের সম্পদ লুটপাটের এ আয়োজন রুখে দাঁড়াতে হবে। পরিবেশ-প্রতিবেশ ও জাতীয় সম্পদ রক্ষায় দল-মত-নির্বিশেষে আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জাতীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক এম এম আকাশ, সংগঠক রুহিন হোসেন প্রিন্স, টিপু বিশ্বাস, বজলুর রশীদ ফিরোজ, সাইফুল হক, আব্দুস সাত্তার, ডা. হারুন অর রশীদ, জাফর হোসেন, সীমা দত্ত, বেলাল চৌধুরী, নাসির উদ্দিন নসু, মাহিন উদ্দিন (চৌধুরী) লিটন, আলমগীর হোসেন, রুবেল মিয়া, খান আসাদুজ্জামান মাসুম, জুলফিকার আলী, আকবর খানসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে জাতীয় কমিটির সংগঠক ও সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স ফুলবাড়ীর বীর শহিদদের প্রতি জাতির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করে ফুলবাড়ী চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নের দাবি জানান। তিনি জাতীয় সম্পদ রক্ষায় দলমত নির্বিশেষে শরিক হওয়ার আহ্বান জানান।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে শহিদদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
এরপর জাতীয় কমিটির, কেন্দ্র, ঢাকা মহানগর, বাম গণতান্ত্রিক জোট, ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ, বাসদ (মার্কসবাদী), জাতীয় গণফ্রন্ট, বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলন, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), গণমুক্তি ইউনিয়ন, গণমঞ্চ, বাসদ (মাহবুব) বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীসহ বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তিরা কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এছাড়া ফুলবাড়ীতে দিনের প্রধান কর্মসূচি ও দেশের বিভিন্ন জেলায় দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়।
ফুলবাড়ীর শহিদদের প্রতি ঢাকায় সিপিবির শ্রদ্ধা নিবেদন
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে জমি-জলা-পরিবেশ-মানুষ রক্ষার দাবিতে ২০০৬ সালের ২৬ আগস্ট অভ্যুত্থানের শহিদ আমিন, সালেকীন, তরিকুল স্মরণে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ২৬ আগস্ট শনিবার সকালে ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, জাতীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক, সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অধ্যাপক এম এম আকাশ, কেন্দ্রীয় কমিটির কোষাধ্যক্ষ ডা. ফজলুর রহমান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অনিরুদ্ধ দাশ অঞ্জন, আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন, অ্যাড. হাসান তারিক চৌধুরী সোহেল, সিপিবি নেতা আব্দুল কাদের, সেকেন্দার হায়াৎ, খান আসাদুজ্জামান মাসুম, জহিরুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম গাজী প্রমুখ। সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে শহীদদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
