২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০৮:৩৭:২৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


কনস্যুলেটে জাতীয় শোক দিবস পালন
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৮-০৮-২০২২
কনস্যুলেটে জাতীয় শোক দিবস পালন বক্তব্য রাখছেন কনসাল জেনারেল মনিরুল ইসলাম/ছবি সংগৃহীত


বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে স্বাধীনতার মহান স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদত বার্ষিকী ও ‘জাতীয় শোক দিবস’ পালন করে।

এ উপলক্ষে কনস্যুলেটে দু’পর্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম নিয়ে এক উন্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয় এবং দ্বিতীয় পর্বে বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দর্শনের ওপর আলোকপাত করে ঞযব ঠরংরড়হ ড়ভ ইধহমধনধহফযঁ রহ এষড়নধষ ঈড়হঃবীঃ- শীর্ষক একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানটিতে নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটর জন ল্যু, নিউইয়র্ক ডিস্ট্রিক্ট-২৪ এর অ্যাসেম্বলি মেম্বার ডেভিড উইপ্রিনসহ বিভিন্ন দেশের ক‚টনীতিকগণ, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন। 

অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শনপূর্বক কনসাল জেনারেল ড. মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে তাঁর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন উপস্থিত অতিথিসহ কনস্যুলেটের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। জাতির পিতা, তাঁর পরিবারের অন্যান্য শহিদ সদস্য ও শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। 

কনসাল জেনারেল তাঁর বক্তব্যের শুরুতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টকে ইতিহাসের জঘন্যতম ও কলঙ্কময় দিন হিসেবে উল্লেখ করেন। বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা ও মহান স্বাধীনতার রূপকার বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে আমরা আজ স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ পেতাম না মন্তব্য করে তিনি বলেন যে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ছিলেন অন্যায়, অবিচার ও শোষণের বিরুদ্ধে এক বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর।

বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্রনীতির মূলভিত্তি ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব কারো সাথে বৈরিতা নয়’ উল্লেখ করে তিনি যোগ করেন যে, বঙ্গবন্ধু শুধুমাত্র বাঙালিরই নয়, বরং তিনি বিশ্বব্যাপী স্বাধীনতাকামী মানুষের প্রেরণার উৎস হয়ে সকলের হৃদয়ে চিরদিন বেঁচে থাকবেন- তিনি যোগ করেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথ ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ অদম্য গতিতে উন্নয়ন ও স্বনির্ভরতার পথে এগিয়ে যাচ্ছে। কনসাল জেনারেল সকলকে যার যার অবস্থান থেকে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর ‘সোনার বাংলা’ স্বপ্নের বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে একটি সুখীও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলার আহŸান জানান। 

আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রামী জীবনী, ব্যক্তিত্ব ও আদর্শের ওপর আলোকপাত করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর পরিবারের অন্য শহিদ সদস্য ও শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এবং দেশের অব্যাহত সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে।


শেয়ার করুন