২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ০৫:১৯:৫২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :


রাজনীতির মাঠ উত্তপ্ত মিশেলের প্রেসক্রিপশনে
মাসউদুর রহমান
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৫-০৮-২০২২
রাজনীতির মাঠ উত্তপ্ত মিশেলের প্রেসক্রিপশনে যাবার আগে সংবাদ সম্মেলনে মিশেল ব্যাচেলেট/ছবি সংগৃহীত


জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনারের গুরুত্ব কতখানি সেটা প্রথমত উপলব্ধি প্রয়োজন। বাংলাদেশের অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব,সুশীলরা সেটা অনুধাবনই করতে পারছেন না। জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার জন্য এমনটা হতে পারে- এটাতে দোষের কিছু নেই। তবে যারা ‘জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনারের’ প্রভাব, গুরুত্ব সম্পর্কে জানেন, তারা ভয়ে চুপসেও যেতে পারেন। তার কথা,তার উদ্যোগ,তার গুরুত্ব বিশ্বের ১৯১টি সদস্য দেশে। জাতিসংঘের ১৯২টি সদস্য দেশের মধ্যে বাংলাদেশ তার গুরুত্বটা অনুধাবন না করতে পারলেও বাকি ১৯১ দেশ জানেন, তার ক্ষমতা।

তিনি সর্বত্র তার ক্ষমতার প্রয়োগ ঘটানোর প্রয়োজন মনে করেন, এমন নয়। যারা মূলত জাতিসংঘটাকে ফ্রন্টলাইনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন এ মুহূর্তে। তাদের প্রত্যাশা অনুসারে তিনি কাজ করবেন এটাই স্বাভাবিক। তাহলে ফ্রন্টলাইনে কারা? জাতিসংঘের ফ্রন্টলাইনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র,যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন,কানাডা,জাপান,অস্ট্রেলিয়া,নিউজিল্যান্ড প্রমুখ প্রভাবশালী দেশ। এখানে স্পষ্ট বিষয়টা। মিশেলের পেছনে কারা বা জাতিসংঘ মানবাধিকারের দৌরাত্ম্য কতখানি।

হাইকামিশনারই মূলত জাতিসংঘ মানবাধিকারের মূল বা কেন্দ্রীয় মানুষ। ফলে তার গুরুত্বটা ব্যক্তি মিশেল ব্যাচেলেট নয়। ওই চেয়ারটার গুরুত্ব। ব্যক্তি মিশেলের সঙ্গে কার কী সম্পর্ক সেটা মুখ্য নয়। একটা প্রতিষ্ঠানের প্রধান তার দায়িত্ব সবটা মিলেই গুরুত্ব। যতোক্ষণ ওই পদে, ততোক্ষণ তিনি ও তার ক্ষমতা অনেক। না থাকলে তাকে তো প্রয়োজনও নেই। আসলে জাতিসংঘের সদস্য দেশসমূহে মানবাধিকারের বিষয়গুলো দেখভালের দায়িত্ব জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের। এককভাবে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের কোনো সদস্য দেশের প্রতি ব্যবস্থা গ্রহণের কোনো এখতিয়ার বা শক্তি নেই। 

যেহেতু জাতিসংঘ তাদের মানবাধিকারের বিষয়ের দেখভালের দায়িত্ব এ কমিশনের ওপর ন্যস্ত করেছেন। তার অর্থ এ মানবাধিকার কমিশনের দেয়া পর্যবেক্ষণ,সুপারিশ জাতিসংঘ সম্মানের সাথে গ্রহণ করে ব্যবস্থা গ্রহণ করে। সার্বক্ষণিক তাদের সহায়তা দিয়ে আসছে। আর সে সিদ্ধান্ত বা সুপারিশমালা পর্যবেক্ষণ করে বাস্তবায়ন করে আসছেন ওই ফ্রন্টলাইনার দেশ মার্কিনযুক্তরাষ্ট্র,যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, কানাডা, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড প্রমুখ প্রভাবশালী দেশ। অন্যরাও এ সিদ্ধান্তসমূহকে প্রচণ্ডভাবে সহায়তা দান করে আসছে। তাহলে দিনশেষে বিষয়টা কোথায় গিয়ে দাঁড়ালো? 

এটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না যে, মিশেল এ সফরের সকল কার্যক্রমের রিপোর্ট তার সংস্থার কাছে পেশ করবেন। যেখানে সিদ্ধান্ত হবে- তারা এ ব্যাপারে কী উদ্যোগ নেবেন। তার দিয়ে যাওয়া প্রেসক্রিপশন অনুসারে কাজ শুরু করে দিলে তারা সেটাতে সহায়তা দেবে। কোনো ব্যবস্থা গ্রহণে যাবে না। জাতিসংঘ মানবাধিকারের পর্যবেক্ষণ,সুপারিশমালা না মানার রেজাল্টটা কী দাঁড়াবে- এ বিষয়ে স্পষ্ট যা তাহলো, বিশ্ববাসীর কাছে একঘরে হয়ে যেতে হবে। একঘরে হলে ওই সদস্য দেশের কাছে গোটাবিশ্ব কি তেল,গ্যাস,এনএনজি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের চাহিদার জন্য যেসব পণ্য আমদানি করতে হয় সেগুলো দিয়ে সহায়তা করবে?

এ দেশসমূহযদি কোনোরকম সম্পর্ক না রাখে। তাহলে একঘরে হওয়া দেশের পণ্য কী সেসব দেশে নেবে? দেশটার কী হবে? দেশের মানুষের কী হবে- এটা ভেবে দেখার বিষয়। যে মিশেল ব্যাচেলেট বাংলাদেশে সফর করে গেছেন, তার গুরুত্বটা এবার কীভাবে মূল্যায়ন করবে বাংলাদেশ এটা নিতান্তই বাংলাদেশের মানুষের বিষয়। তবে ব্যক্তিগতভাবে মিশেল ব্যাচলেট একজন মোস্ট সিনিয়র পারসন। আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে প্রচণ্ড ঝানু, দক্ষ, সুশিক্ষিত, অভিজ্ঞ কূটনীতিবিদ। তাকে হালকাভাবে নিয়ে তার সফরের কার্যক্রম নিয়ে কতিপয় দায়িত্বশীলদের সমালোচনামূলক দেয়া বক্তব্য অসৌজন্যমূলক। তিনি চলে গেছেন বলেই তিনি এগুলো জানবেন না সেটা ঠিক নয়। তার বিরুদ্ধে কে কী বলেছে এটা তিনি ও তার সংস্থায় নোট নেবেন, যা সার্বিকভাবে দেশের জন্য মঙ্গলজনক নয়। এটাও ঠিক দায়িত্বশীলদের ওই সব কথাবার্তায় প্রমাণিত যে সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরে অনেকেই তাকে মূল্যায়ন করেনি। কিন্তু সেটা জেনে বুঝে করেছেন কি-না সে প্রশ্নটা উঠতে শুরু করেছে। 

ইতিমধ্যে কিছু পরিবর্তন অবশ্যই লক্ষ করা গেছে বাংলাদেশের রাজনীতিতে, যা একেবারেই দৃশ্যমান। যেমনটা র‌্যাবের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর গুম-খুন ম্যাজিকের মতো উড়ে গেছে। এগুলো এখন আর নেই বললেই চলে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও উন্নয়নে সহযোগী (দাতা দেশসমূহ) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাংলাদেশের মানবাধিকারসহ বিভিন্ন ইস্যুতে যে উদ্বেগ যেটা তারা বারবার বলছেন। একইসঙ্গে জাতিসংঘও। সেটাতে বাংলাদেশে বিরোধী মতের ওপর দমনপীড়ন হ্রাস পেয়েছে। আগে মিছিল-মিটিংয়েই নামতে পারতেন না। এখন অনায়াসেই করে যাচ্ছেন। গুম থেকেও অনেকেই ফিরছেন। তারা কীভাবে গুম হয়েছিলেন সে বক্তব্যটা দিচ্ছেন। এরকমটা আগে দেখা যায়নি কখনো। তবে এটা ঠিক বাংলাদেশের মানবাধিকার সরাসরি পর্যবেক্ষণ করতে আসা স্বয়ং মানবাধিকার হাইকমিশনারের ঢাকা সফরের গুরুত্ব অপরিসীম। বাংলাদেশে তার চারদিনের সফরে তিনি অনেকের কথা শুনেছেন। তবে তিনি নিজেই বলেছেন, তিনি শুনেছেন বেশি, বলেছেন কম। 

একমাত্র বাংলাদেশকে টার্গেট করে সুদূর থেকে উড়ে আসা মিশেল ব্যাচেলেট বাংলাদেশে তার সিরিজ বৈঠক করেছেন, শরণার্থী, নাগরিক সমাজ, কূটনীতিক, বিরোধীদলমতের প্রতিনিধি, সরকারের চারজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী (পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.এ কে আব্দুল মোমেন,স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল,আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও শিক্ষামন্ত্রী দীপুমনি) এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। এসব বৈঠকে তার মূল এজেন্ডা বা জানতে চাওয়া ও তার আগ্রহের কথা বলা জুড়েই ছিল বাংলাদেশে বিরাজমান মানবাধিকার পরিস্থিতি। 

গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং হেফাজতে নির্যাতনসহ কয়েকটি বিষয়ে জাতিসংঘ দূত সুনির্দিষ্টভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, মানবাধিকার প্রসঙ্গে অনেকেই তাকে সুস্পষ্ট তথ্য দিয়েছেন। তিনি সেগুলো শুনেছেন। ফলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিদ্যমান অভিযোগগুলো অস্বীকার করার ধারা থেকে বেরিয়ে এসে প্রতিটা বিষয়ে আমলে নিয়ে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন।এর মধ্যে গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং হেফাজতের নির্যাতনের গুরুতর অভিযোগ নিয়ে সরকারের কাছে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তা সুরাহার স্বার্থে স্বচ্ছ তদন্ত সংস্থা গঠনের প্রস্তাবনা রেখেছেন এবং এটা কীভাবে করলে জাতিসংঘের মানদণ্ড স্ট্যান্ডার্ড হবে সে নীতিমালা দেয়ার জন্য জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন। 

অর্থাৎ এমন তদন্তের ব্যবস্থা হবে যাতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার শিকার ব্যক্তি, পরিবার এবং সিভিল সোসাইটিকে আস্থায় নেয়া যায়,সর্বত্র বিশ্বাসযোগ্য হয়। তিনি বলেছেন, সব অভিযোগ সত্য না-ও হতে পারে। কিন্তু সেটিও তো নির্ধারিত হতে হবে পক্ষপাতহীন তদন্তে। মিথ্যা হলে খারিজ, কিন্তু সত্য হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে হবে। নির্যাতনবিরোধী কমিটিসহ জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের বিভিন্ন কমিটি কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং নির্যাতন নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে আসছে উল্লেখ করে মিশেল বলেন, এসব অভিযোগের অনেকটাই র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র‌্যাব) দায়ী করা হয়।

এজন্য তিনি বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছেন। তিনি মনে করিয়ে দিয়ে বলেন, বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা বিদেশে মানবাধিকার সমুন্নত রেখেই কাজ করে। কিন্তু দেশের অভ্যন্তরে এর সদস্যদের বিরুদ্ধে কেন মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ থাকবে? তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে সর্বাধিক সংখ্যক সদস্য শান্তিরক্ষী বাহিনীতে কাজ করতে যায়। ফলে তিনি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের দেশে মানবাধিকারের রেকর্ড যাচাইয়ের তাগিদ দিয়েছেন। 

এছাড়াও তিনি বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি টালমাটাল হওয়ার আশঙ্কা ব্যক্ত করে তিনি নির্বাচনকেন্দ্রিক রাজনৈতিক ও নাগরিক সমাজের কর্মকে নির্বিঘ্ন করার পরামর্শ দিয়েছেন। দেশের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক সমস্যা এবং আগামী বছর হতে যাওয়া জাতীয় নির্বাচন নিয়ে যে সংকট রয়েছে তা সব স্টেকহোল্ডার, রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজের সঙ্গে বসে সংলাপের মাধ্যমে সমাধানে পরামর্শ দিয়েছেন।

এখন প্রশ্ন উঠতে পারে সরকার এতোকিছু কেন শুনতে যাবে। বিশেষ করে গুম খুনের বিরুদ্ধে স্বাধীন তদন্ত সংস্থা। ওটা করতে যাওয়া মানেই জাতিসংঘের মনোনীত লোকজনকে তদন্তের সুযোগ করে দেয়া। তার অর্থ গুম খুনে আক্রান্ত যারা এতোদিন কথা বলে আসছেন। গুম খুন নিয়ে এতোদিন সুশীলসমাজের একাংশ যেভাবে বক্তব্য দিয়ে আসছেন। গুম খুন নিয়ে এতোদিন মানবাধিকার কর্মীরা যেভাবে প্রতিবাদ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা ও জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদে প্রতিকার চেয়ে আসছেন। তার অর্থ সরকারবিরোধী দলগুলো বিশেষ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল এতোদিন যেসব তাদের দমনপীড়নে যেভাবে সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আসছেন, যে তাদের ৩৫ লাখের অধিক মামলা দেয়া হয়েছে নেতাকর্মীদের ওপর। ঘরছাড়া, বাড়িছাড়া করা হয়েছে। সেগুলোর সতত্য বেরিয়ে আসবে। 

কোনো অজুহাতে মামলা দিয়ে বছরের পর বছর জেলে আটকে রাখা। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। সিলেটের ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলমের মতো জাঁদরেল বিএনপি নেতাদেরও গুম থেকে রেহাই দেয়া হয়নি- এসব কথাগুলো সত্য। এগুলো আবারো ওই স্বাধীন তদন্ত সংস্থার কাছে প্রমাণাদিসহ উপস্থাপিত হবে এবং তদন্ত সংস্থা শেষ পর্যন্ত সব অভিযোগ তদন্ত করে অর্ধেকটাও সত্য পেলে সেই জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার কাছে রিপোর্ট দিলে এ সরকারের বিরুদ্ধে, দেশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ পাবে- ফলে এটা কী তারা করতে দেবেন? 

এমনিতেইজাতিসংঘসহ কিছু কিছু দেশের মানবাধিকার নিয়ে কথা বলার সুযোগে সোচ্চার হয়ে মাঠে নেমেছে বিরোধীপক্ষ। যেভাবে তারা মাঠ কাপিয়ে বেড়ানো শুরু করেছে- এটাও সরকারের জন্য বাজে একটা পরিস্থিতির দিকেই যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছেন আন্দোলনে বাধা না দেয়ার জন্য। সত্যিকারের গণতন্ত্রের চিত্রটা এমনই, যে বিরোধীপক্ষ নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করবে। সেখানে শাসক বাধা দেবে না। কিন্তু এটুকু সুযোগ ক’দিন আগেও ছিলনা। ভোলায় যা ঘটেছে সেটার বিবরণ আর নতুন করে দেয়ার প্রয়োজন নেই। দু’দুটি তাজা প্রাণ ঝরে গেছে। বিএনপি দু’জন নিবেদিতকর্মী হারিয়েছে।

কিন্তু ইদানীং সে অবস্থা নেই। ফলে জাতিসংঘের কথা মানলেও বিপদ। না মানলেও বিপদ। জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেটের সফরটা মূলত বাংলাদেশের রাজনীতিটাকে উত্তপ্ত করে রেখে গেছেন বলেই মনে হচ্ছে। কারণ বিএনপি মাঠে নামলে প্রতিরোধে নামবে আওয়ামী লীগও। বেশ ক’বারই আওয়ামী লীগ রাজপথে মিছিল করেছে। দলের দায়িত্বশীলরা বলেছেন, তারা রাজপথ ছাড়েননি। রাজপথে লড়াই করবেন। রাজপথ দখল করতে দেয়া হবে না- এ জাতীয় কথা।এখন এর রেশ কোথায় যেয়ে ঠেকবে সেটা কে জানে!


শেয়ার করুন