৩০ মার্চ ২০১২, শনিবার, ১১:১০:২৫ পূর্বাহ্ন


বাংলাদেশ সোসাইটির সাধারণ সভা
ট্রাস্টি বোর্ড সভাপতি-সম্পাদকের মেয়াদ ২ বছর
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৭-০৬-২০২৩
ট্রাস্টি বোর্ড সভাপতি-সম্পাদকের মেয়াদ ২ বছর সাধারণ সভায় বাংলাদেশ সোসাইটির কার্যকরি কমিটির সদস্যবৃন্দ


প্রবাসের মাদার সংগঠন হিসাবে পরিচিত বাংলাদেশ সোসাইটির সাধারণ সভা গত ৫ জুন সোমবার সন্ধ্যায় উডসাইডের কুইন্স প্যালেসে অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি আব্দুর রব মিয়ার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন সিদ্দিকীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন গঠনতন্ত্র সংশোধনী কমিটির চেয়ারম্যান সাবেক সাধারণ সম্পাদক একে এম ফজলে রাব্বী, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সভাপতি আক্তার হোসেন, বাংলাদেশ সোসাইটির সিনিয়র সহ সভাপতি মহিউদ্দিন দেওয়ান, সহ সভাপতি ফারুক চৌধুরী, গঠনতন্ত্র সংশোধনী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, আজিজুর রহমান, খোকন মোশাররফ, মাহবুবুর রহমান বাদল।

বাংলাদেশ সোসাইটির সাধারণ সভায় ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য নির্বাচন কমিশনের সদস্য এবং সাধারণ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সদস্যের উপস্থিতিতে ১৫টি সংশোধনী উপস্থাপন করা হয়। এই ১৫টি সংশোধনীর মধ্যে ১২টি কণ্ঠভোটে পাশ হয় এবং ৩টি কণ্ঠভোটে বাতিল হয়ে যায়।

বাংলাদেশ সোসাইটির গঠনতন্ত্র সংশোধন দীর্ঘদিনের দাবি ছিলো। কিন্তু অতীতে যারাই ক্ষমতায় এসেছেন, তারা সব সাধারণ সভা করতে পারেননি। বর্তমান কার্যকরি কমিটি তাদের দায়িত্ব পালন করেছেন সাধারণ সভা করে। বলা যায়, মোটামুটি উৎসবমুখর পরিবেশে বাংলাদেশ সোসাইটির সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এবারের সাধারণ সভাটি ছিলো অনেকটা পরিচ্ছন্ন এবং শান্তিপূর্ণ। তবে একবার অহেতুক একটি উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। যদিও তা বেশি দূর গড়ায়নি। সাধারণ সভায় ছিলো সৌহার্দ্য-সম্প্রীতির অনন্য উদাহরণ। বাংলাদেশ সোসাইটির সাধারণ সভা হবে, সেখানে উত্তেজনা থাকবে না, বাকবিতন্ডা থাকবে না- তা কি করে সম্ভব। সেই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন বর্তমান সভাপতি আব্দুর রব মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন সিদ্দিকীর নেতৃতাধীন কমিটি।

সাধারণ সভায় সংশোধনী কমিটির চেয়ারম্যান একেএম ফজলে রাব্বী সংশোধনী উপস্থান করেন। পাশ করা সংশোধনীগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক পদে কেউ টানা দুইবারের বেশি ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। এই দুই নির্বাচন করতে হলে তাদের এক বছর বিরতি দিতে হবে। বাংলাদেশ সোসাইটির ট্রাস্টি বোর্ডের মেয়াদ করা হয়েছে দুই বছর। এবং বাংলাদেশ সোসাইটির ট্রাস্টি বোর্ডে যারা থাকবেন তারা নির্বাচনী কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। আবার ট্রাস্টি বোর্ড থেকে নির্বাচন কমিশনে নিয়োগ করা যাবে না। ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য নির্বাচিত হবেন কার্যকরি কমিটির দুই তৃতাংশ সদস্যের ভোটে। বাংলাদেশ সোসাইটির বর্তমান লাইফমেম্বারের ফি স্বামী- স্ত্রী ৫০০ ডলার ছিলো। এটি ৮০০ ডলার করার প্রস্তাব করা হলে তা কন্ঠভোটে বাতিল হয়ে যায়।

বাংলাদেশ সোসাইটির সাধারণ সভায় কার্যকরি কমিটির সকল সদস্যকে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। সাধারণ সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান এডভোকেট জামাল আহমেদ জনি, নির্বাচন কমিশনের সদস্য রুহুল আমিন সরকার, ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য হাজী মফিজুর রহমান, ওয়াসি চৌধুরী, আজিমুর রহমান বোরহান, আব্দুল হাসিম হাসনু, সরাফ সরকার, এমদাদুল হক কামাল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান সেলিম, সাবেক কর্মকর্তা বাবুল চৌধুরী, আক্তার হোসেন, সালামত উল্যাহ, তোফায়েল ইসলাম, মফিজুল ইসলাম ভুইয়া রুমি, ষেয়দ এনায়েত আলী, ওয়োহেদ কাজী এলিন, সিরাজুল হক কামাল, বৃহত্তর নোয়াখালি সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদ মিন্টু, সোসাইটির সাবেক কর্মকর্তা তপন জামান, আব্দুল মান্নান, সৈয়দ এমকে জামান,  মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম, তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী, বৃহত্তর নোয়াখালি সোসাইটির সভাপতি নাজমুল হাসান মানিক, সাধারণ সম্পাদক ইউছুপ জসীম, সহ সভাপতি তাজু মিয়া, এস বাসেত রহমান, নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের সভাপতি রাফেল তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জামান, প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম, সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আতোয়ারুল আলম, কাজী ফৌজিয়া, জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সভাপতি বদরুল হোসেন খান, সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম, বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবি সিদ্দিক পাটেয়ারি, রূপসী চাঁদপুর ফাউন্ডেশনের সভাপতি মাওলানা ফখরুল ইসলাম মাছুম, সোহেল গাজী, আলমগীর হোসেন, মোহাম্মদ সোহেল, মোহাম্মদ সাদেক, বদরুল হক আজাদ, ইঞ্জিনিয়ার মাইন উদ্দিন, দেবাশীষ দাস বাবলু, জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির সভাপতি ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, জহিরুল ইসলাম মোল্লা, মীর মশিউর রহমান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বিলাল চৌধুরী, মইনুজ্জামান চৌধুরী, জি মোল্লা সানি, আতিকুল হক জাকির, শাখাওয়াত বিশ্বাস, টি মোল্লা, এম বাসেত রহমান, গিয়াস আহমেদ, গিয়াস উদ্দিন প্রমুখ।

শেয়ার করুন