২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ০৬:৩৬:০৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান ‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়


বিএনপির সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মির্জা ফখরুল
‘ঢাকায় উপনির্বাচনের তামাশা’
নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৮-০৭-২০২৩
‘ঢাকায় উপনির্বাচনের তামাশা’


সরকারের পদত্যাগের দাবিতে ঘোষিত এক দফা দাবি আদায়ের নেয়া কর্মসূচির প্রথম দিনে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘‘ গতকাল (সোমবার) ঢাকায় নির্বাচন কমিশন একটা উপনির্বাচনের তামাশা করেছে। সেই উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলো অত্যন্ত হেভিওয়েট প্রার্থী। সে আবার আওয়ামী লীগের থিংক ট্যাঙ্কের প্রধান-দেশের সব মানুষ তাকে চিনে প্রফেসর ড. আরাফাত।

প্রতিদ্বন্দ্বি কে? হিরো আলম। ওই নির্বাচনেও ভোটাদেরকে নিতেই পারে নাই। ভোটকেন্দ্র শূণ্য, ভোটকেন্দ্র খালি। ইলেকশন কমিশন যেটা একেবারে পঙ্গু, অর্থব, বংশবদ, দাসানু-দাস তাদের অধীনে মাত্র ১১% ভোট পড়েছে। আমরা তো দেখলাম কোথাও ভোটার নাই। পাঁচ ঘন্টা পর একটা ভোটার আসছে ওকে সেিন্রয় লাফালাফি কাড়াকাড়ি। আবার ভোটের রেজাল্টের পর আরাফাত সাহেব আবার আংগুল দেখায়- ভিক্টরি। লজ্জা লজ্জা সেইম, সেইমৃ। হিরো আলম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব্ নয়, তার সঙ্গে করতে গিয়ে তাকে ভোট কেন্দ্র থেকে বের করে পিটিয়ে পিটিয়ে সাপ যেভাবে মারে সেভাবে গতকাল তাকে মারা হয়েছে।”


পুলিশের ভুমিকার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘‘ আবার পুলিশ বলে কি আমরা তো আমাদের কাজ করেছি। ঠিকই করেছেন। যে একমাত্র  প্রতিদ্বদ্বী তাকে যখন মেরেছে তখন আপনারা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখেছেন। আর ইলেকশন কমিশন বলছে যে, না ওই ১১% ভোটের মধ্যে নাকি শ্রেষ্ঠ নির্বাচন হয়েছে। এসব তামাশা করে কোনো লাভ নাই। এসমস্ত তামাশা করে জনগনের সাথে প্রতারণা করে কেনো লাভ হবে নাই।
‘‘ ২০১৪ সালে করেছো.. ১৫৪ জনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত করে জোর করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় বসেছো, ২১০৮ তে নির্বাচনের আগের রাতে ভোট করে নিয়ে গিয়ে রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করে আবার ক্ষমতায় বসেছো। এই ১০/১৫ বছরে বাংলাদেশের মানুষের পকেট খালি করে দিয়েছো।ট্যাক্স দিতে দিতে, সারা চার্জ দিতে দিতে মানুষের এখন বেহাল অবস্থা। বিদুতের বিল দিতে দিতে ৃ. চাল-ডাল-তেল-লবনরে দাম বাড়তেই আছেৃ..।

‘অসত ব্যবসায়ীদের সরকার এটা’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ অসত ব্যবসায়ীদের সরকার একটা। জনগনের টাকা লুট করে নিচ্ছে, যারা এলএমজির দাম বাড়ায়, বিদ্যুতের দাম বাড়ায়, লুটপাট করে টাকা বিদেশে নিয়ে যায়, সিঙ্গাপুর, কানাড়ায় বাড়ি বানায়ৃ তাদের জন্য এই সরকার। শেখ হাসিনা(প্রধানমন্ত্রী) তাদের সঙ্গে পাঁচ ঘন্টা আলাপ করে।”
‘‘ লজ্জায় হয়, দুঃখ হয়, ঘৃণা জানাই, ঘৃণা জানাই এই সরকারকে, ঘৃণা জানাই এই অবৈধ প্রধানমন্ত্রী যে আপনি আজকে গণতন্ত্রকে কবরে পাঠিয়ে দিয়েছে, নির্বাচনী ব্যবস্থাকে শেষ করে দিয়েছেন।”


‘ডেঙ্গুর পরিস্থিতি।। মেয়র-মন্ত্রীরা বিদেশে’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ ডেঙ্গুর কথা নাই বা বললাম। ডেঙ্গু হচ্ছে এখানে । আর আমাদের দক্ষিনের মেয়র অবকাশ যাপন করতে চলে গেছেন ইউরোপে। স্বাস্থ্য মন্ত্রী গেছেন আমেরিকায় । বাহ বাহ। কি রকম দায়বদ্ধতা।”
‘‘ আর কোনো দিন নয়। এখন আমাদের রাস্তায় নামতে হবে। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে এই অবৈধ সরকারকে পরাজিত করতে হবে

শেয়ার করুন