নিউ ইয়র্ক সিটি’র অদূরে আপস্টেট হাডসনে এক মনোমুগ্ধকর ছায়া ঘেরা প্রাকৃতিক পরিবেশে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যেও “ক্রটন পয়েন্ট পার্কে” গত ৯ জুলাই শের আলী গাজী’র পদধন্য প্রবাসী শেরপুর জেলা সমিতি ইউএসএ ইন্ক’র জমজমাট আয়োজনে বার্ষিক বনভোজন সম্পন্ন হয়েছে। প্রবাসী শেরপুর জেলা সমিতি ইউএসএ ইন্ক’র সাধারণ সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় সকাল ১১.১৫ মিনিটে লাল-নীল বেলুন উড়িয়ে বনভোজনের শুভ উদ্বোধন করেন লেখক, সাংবাদিক ও প্রবাসী শেরপুর জেলা সমিতি ইউএসএ ইন্ক’র প্রধান উপদেষ্টা, আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবুল কাশেম।
বনভোজনে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট রিয়েলেটর ইনভেস্টর নুরুল আজিম ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন। বৈরী আবহাওয়ার কারণে বনভোজনে উপস্থিত হতে না পেরে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং প্রবাসী শেরপুরবাসীদের পাশে সহযোগিতার হাত নিয়ে ভবিষ্যতেও থাকবেন বলে দূঢ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন নিউ ইয়র্ক সিটির মেয়রের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক উপদেষ্টা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ফাহাদ সোলায়মান, সাপ্তাহিক প্রবাস সম্পাদক মোহাম্মদ সাঈদ, বাংলাদেশ ফিল্ম ক্লাবের সভাপতি কে. এম কিবরিয়া, মার্কস হোম কেয়ারের প্রতিনিধি ইঞ্জিনিয়ার আবদুল্লাহ আল-কাফি, নাটোর জেলা সমিতি সাধারণ সম্পাদক এম. মোজাম্মেল হক, ইঞ্জিনিয়ার প্রদোষ চক্রবর্তী প্রমুখ। এ সময় প্রবল বৃষ্টি মাথায় নিয়ে প্রায় আড়াই শতাধিক প্রবাসী শেরপুরবাসীসহ আমন্ত্রিত সুধীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্য শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সমিতির সাবেক সভাপতি মামুন রাশেদ, কার্যকরি সদস্য আলহাজ মোঃ শহিদুল আলম শাহীন, সদস্য সচিব মোঃ আল আমিন, সদস্য মোঃ লিটন জামান, সিনিয়র সহ সভাপতি মোঃ আক্তারুজ্জান, কোষাধ্যক্ষ রাকিবুল ইসলাম, উপদেষ্টা সুব্রত সাহা লিপন, আলহাজ মোঃ ফারুক মিয়া প্রমুখ।
অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এই বনভোজনের নানা কর্মসূচির উল্লেখযোগ্য দিক ছিল ছোট্ট ছেলে-মেয়েদের খেলাধুলা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। খেলাধুলা পরিচালনায় ছিলেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাইচ চৌধুরী।
সারাদিন মুষলধারে বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিশাল প্যাভিলিয়ন মধ্য সবচেয়ে আকর্ষণীয় পর্ব ছিল স্বামী-স্ত্রীর কাপল গেম, মহিলাদের বালিশ খেলা ও আকর্ষণীয় রাফেল ড্র। রাফেল ড্র-এর মধ্যে প্রথম পুরস্কার ছিল ঢাকা-নিউ ইয়র্ক-ঢাকা এয়ার টিকেট, সোনার চেইন, ৫৫ ইঞ্চি স্পার্ট টিভি, ল্যাপটপসহ সর্বমোট ২৭টি পুরস্কার। প্রথম পুরষ্কার মার্কস হোম কেয়ারের সৌজন্যে, ঢাকা-নিউ ইয়র্ক - ঢাকা বিমান টিকেটের প্রথম পুরস্কার বিজয়ী হন হিশাম উদ্দিন আহমেদ, দ্বিতীয় পুরষ্কার কারওয়ান বাজার সুপার মার্কেটে সৌজন্যে ৫৫ ইঞ্চি স্মার্ট টিভি বিজয়ী হন জাহাংগীর আলম, সোনার গহনা বিজয়ী হন ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ সুমন, সোনার চেইন বিজয়ী হন সাবেরা জামান কচি। র্যাফেল ড্র দিয়ে আরও যারা সহযোগিতা করেছেন তারা হলেন- অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী, ফাহাদ সোলায়মান, গিয়াস আহমেদ, শাহ নেওয়াজ, এম এইচ জামিল, আলীম খান আকাশ, খামার বাডী, হাসান জিলানী, এম. মফিজুর রহমান, এ কে এম রফিকুল ইসলাম ডালিম, আবদুস সালাম ভূইয়া, শাহাদত হোসেন রাজু, সিপিএ লিয়াকত আলী।
বৃষ্টি ভেজা দিনে দেশের গান পরিবেশন করেন সংগঠনের শিল্পীবৃন্দ। দুপুরে নিউ ইয়র্ক সিটির স্বনাম খ্যাত সাগর রেস্টুরেন্টের সুস্বাদু খাবার পরিবেশন করা হয়। বনভোজনের সার্বিক সহযোগিতা ছিলেন হাজী শাহীন, হাজী ফারুক, সুমন, রাসেল, ঝন্টু ও ডাক্তার সোহাগ।
সংগঠনের সভাপতি নাহিদ রায়হান লিখনের সমাপনি বক্তব্যের দিয়ে বনভোজনের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।