২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ০১:২২:৫৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান ‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়


সহিংসতা হরতাল অবরোধ- গন্তব্য কোথায়?
মাসউদুর রহমান
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৫-১১-২০২৩
সহিংসতা হরতাল অবরোধ- গন্তব্য কোথায়? রাস্তায় বিজিবি মোতায়েন


দীর্ঘদিন থেকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের যে শঙ্কা ছিল, সতর্ক করেছিল বারবার, তার বাস্তবতা এখন ভোগ করছে বাংলাদেশের মানুষ। নির্বাচনকে কেন্দ্র চরম অনিশ্চয়তায় কবলে দেশ। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও প্রতিপক্ষ বিএনপি ও মিত্রের পেশিশক্তি প্রদর্শন চলছে আশঙ্কাজনকভাবে অনাবরত। জনগণের দেশ, এটা সবাই মানছেন, বলছেন। জনগণ যাকে ভোট দেবে সে ক্ষমতায় বসবে, দেশ চালাবে। এসব বাস্তব কথা হলেও এগুলো রাজনীতিবিদদের মুখের হাতিয়ার। মানুষ সব অনুধাবনে সক্ষম, কিন্তু মতপ্রকাশের সে স্বাধীনতা নেই। যে বলতে যাবেন তাকে লাগিয়ে দেওয়া হবে কোনো পক্ষের তকমা। সত্যটাও এখন বলা যাবে না, যদি রাজনীতিবিদদের পছন্দসই না হয়।

শুধুই যে পছন্দ-অপছন্দ সেখানেও থেমে নেই। এখন পেশীশক্তির প্রদর্শনী, যা কখনো ভয়ানক রক্তক্ষয়ী, ধ্বংসাত্মক লড়াই। মানুষের মঙ্গলের জন্য লড়াইয়ে সেই মানুষের মরে যাওয়া মানুষ রক্তাক্ত হওয়া রাজনীতি নয়। যে রাজনীতির দল যা বলবে সেটা সাধারণ মানুষ যাদের ভোটের অধিকার, তাদের মানতেই হবে। সে মানাটা ভালো লাগুক কি না লাগুক। বিষয়টা এমন-দেশে থাকতে হলে এটা করতেই হবে। নতুবা নিস্তার নেই। রোষানলে পড়তে হবে। বড় ধরনের ড্যামারেজ দিতে হবে। এটা গণতন্ত্রের সংজ্ঞায় ফেলে মানতেও হচ্ছে!

গত ২৮ অক্টোবর থেকে দেশে ঘটে যাচ্ছে নিত্য সব ঘটনা। প্রধান বিচারপতির বাসায় হামলা, পুলিশ ও সাধারণ মানুষ নিহত হওয়ার ঘটনা, যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী ট্রাকে আগুন, অবরোধ-মানুষকে জিম্মি করে ফেলা এগুলো সাধারণ মানুষ প্রত্যাশা করে না। কে ঘটিয়েছে, সেটা মুখ্য নয়। ঘটেছে এটাই মুখ্য এবং অনবরত চলছে। কখন কে এর শিকার হবেন, সেটা কেউ বলতে পারেন না। এটাই মূলত আতঙ্কের। এ ঘটনা কারা ঘটিয়েছে এ নিয়েও একপক্ষ আরেক পক্ষের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত বা আক্রান্তরা হচ্ছেন নিঃস্ব।

টানা তিন টার্ম ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের এখন তৃতীয় টার্মের শেষলগ্ন। জানুয়ারি ২৯ তারিখের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন শেষ করার বাধ্যবাধকতা। এমনি মুহূর্তে এমন পেশিশক্তির প্রদর্শনীতে নাজেহাল দেশের মানুষ। সব কাজকর্ম বিঘ্ন ঘটছে ক্ষমতায় কোন রাজনীতিক দল যাবে সেটার দৌড় নিয়ে। যে যেরকম পারছে জনগণকে বুঝ দিচ্ছেন। কিন্তু সত্যটা যে সাধারণ মানুষ খুব ভালো জানেন সেটা তারা প্রকাশ্যে বুঝতে চেষ্টাও করছেন না।

বাংলাদেশে এমন একটা পরিস্থিতি যে আসবে সেটা আঁচ করা গেছে। বিগত অনেক সময়ই এমন একটি মুহূর্তের অবতারণা ঘটে। ওয়ান ইলেভেন, ২০১৩-এর বড় উদাহরণ। এর পেছনেও ছিল যেমনটা ৮৬ সালে এরশাদবিরোধী আন্দোলন। তবে মানুষ অত পেছনের উদাহরণ টানতে আর চায় না। জ্বলজ্যান্ত যখন ওয়ান ইলেভেন বা ২০১৩। দুইবারের বাংলাদেশের সে সময়ের পরিস্থিতির পেছনে বিদেশি দেশসমূহের হস্তক্ষেপ ছিল বলে হাজারো বিশ্লেষণ শোনা যায়। এমনকি ২০১৮ সালের নির্বাচনও। যেটা নিয়ে খোদ বিদেশি রাষ্ট্রদূতরাও বলেছেন, দিনের ভোট আগের রাতে সম্পন্ন হওয়ার কথা।

তাহলে এবারের প্রেক্ষাপট কী-এটাই এখন জানার আগ্রহ। মানুষ ভোট দিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে নেতা হিসেবে বেছে নেবে এটা এখন কেউ কল্পনাতেও আনতে চান না। অবিশ্বাসের দোলাচালে তারা বিশ্বাস করতে শুরু করেছেন, কে জিতলো না জিতলো সেটার প্রয়োজন নেই দেখার। দেশে চাই একটি সুষ্ঠু রাজনৈতিক পরিস্থিতি। দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে, শিক্ষাব্যবস্থা, মানুষের সাধারণ চলাফেরা ও কাজকর্ম যেন করা যায় নির্বিঘ্নে। কিন্তু এটা যে, পরিস্থিতিতে হওয়ার কথা সে পরিস্থিতি বর্তমানে নেই বাংলাদেশে। দুশ্চিন্তা সেখানে।

দুই রাজনৈতিক দল দুই মেরুতে রয়েছেন পছন্দসই দলসমূহ নিয়ে। তাদের মর্জিতেই এখন দেশের ১৭ কোটি মানুষ। এক দল দীর্ঘ তিন টার্ম ক্ষমতায় থেকে চায় ধারাবাহিকতায় থাকতে, অন্যপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে চরম স্বেচ্ছাচারিতা ও নানা নির্যাতন, দুর্নীতি এবং ভোট চুরির অভিযোগ এনে চায়, তাদের হটিয়ে দিতে। এ লক্ষ্যেই এখন শোডাউন প্রতিনিয়ত।

আর এ শোডাউনের ধরন আলাদা। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ যেহেতু ক্ষমতায় তাই তারা, বিরোধীদলের আন্দোলনকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের তকমা দিয়ে রাষ্ট্রযন্ত্রের সব অস্ত্র ব্যবহার করছেন। পরিবর্তন এনেছেন রাজপথের আন্দোলন ধারাতেও। ইতিপূর্বে দেখা গেছে, সরকারবিরোধী পক্ষ রাজপথের আন্দোলনে ব্যস্ত থাকে। এখন সরকারদলীয় আওয়ামী লীগও প্রতিপক্ষ বিএনপির যে কোনো রাজপথের কর্মসূচি ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে তারাও শান্তি সমাবেশ, আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখার অজুহাত দিয়ে কর্মসূচি দিয়ে মাঠে থাকছেন।

২৮ অক্টোবরের যে ঘটনা সেটার সূচনাও ওই দুই পক্ষের একস্থানে (কাকরাইল মোড়) মুখোমুখি হওয়ার সূত্র থেকেই। অথচ আওয়ামী লীগের নিজস্ব কর্মসূচিতে বিএনপি সেদিন প্রোগ্রাম রাখে না। তাছাড়া এবার বিএনপি দীর্ঘদিন ধরেই তাদের আন্দোলন ছিল অহিংস। পুলিশের গুলিতে কর্মী নিহত হচ্ছেন, কিন্তু হরতালটুকুও দেননি। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে তারা মোমবাতি প্রজ্বালন কর্মসূচিও পালন করেছে রাস্তার দুই ধারে ফুটপথে দাঁড়িয়ে। সেই দল ২৮ অক্টোবরও বারবার বলেছিল তারা তাদের নীতি অনুসারে অহিংস থাকবে। কিন্তু ২৮ অক্টোবরে যদি বসে পড়ে এমন শঙ্কা করে ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষনেতারা আগ থেকেই বলছিলেন ২৮ অক্টোবর বিএনপি যদি বসে পড়ার চিন্তা করে, তাহলে হেফাজতের যে পরিস্থিতি হয়েছিল শাপলা চত্বরে তার চেয়েও ভয়ানক হবে। অলিগলিতে যেখানে যাবে সেখান থেকে খুঁজে বের করা হবে। এরপর তো সমাবেশটা শুরুও হতে পারলো না, এর আগেই পণ্ড। অথচ অনুমতি নিয়েই শুরু করেছিল সেই মহাসমাবেশ।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন সব ক্ষমতাসীনদের কথা শুনতে বাধ্য বা স্বাভাবিকভাবে তাদের নিয়ন্ত্রণে। অন্যপক্ষ এগুলোতে অনেকক্ষেত্রে নির্যাতিত। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় গত ২৮ অক্টোবর থেকে অবরুদ্ধ, তালা মারা এখনো। দলের শীর্ষস্থানীয় সব নেতাকর্মী দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে এক বা একাধিক মামলায় অভিযুক্ত, শাস্তিপ্রাপ্ত। অথচ এ দলের নেতাদের আহ্বানেই নজিরবিহীন অবরোধ, হরতাল পালিত হয়। রাস্তায় মানুষ নেমে আসে। সর্বশেষ গত ২৮ অক্টোবর বিভিন্ন বাধাবিপত্তি উপেক্ষা করেও বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ সমাবেশের অন্যতম এক মহাসমাবেশ তারা আয়োজন করে। মানুষের সমর্থন না থাকলে এতো বিপুল পরিমাণ মানুষ কীভাবে দীর্ঘ ১৭ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা, কথিত হালুয়া রুটির ভাগিদার না হয়েও রাস্তায় নেমে এলো। প্রমাণিত এদের প্রতি সাধারণ মানুষের অগাধ বিশ্বাস বিদ্যমান। এর আগেও বারবার বিপুল পরিমাণ জনসমর্থন পরিলক্ষিত হয়ে আসছে বিগত বছরের ডিসেম্বর থেকে। যখন যেখানেই দলটি সমাবেশ আয়োজন করেছে, সেখানেই মানুষের ঢল। ফলে জনসমর্থন শূন্য দলটি, সেটা বলার অবকাশ নেই। বিএনপির রাজনীতির অধিকার নেই, সেটা বলার সুযোগ নেই।

কারণ তারা প্রশাসন বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ লড়াইয়ে পারবেন না এটাই স্বাভাবিক। আর সে লড়াইটাও হবে দেশের বিরাজমান আইনের পরিপন্থী। তাহলে তাদের হাতে থাকলো গণতন্ত্রের ধারা অনুসারে যে কর্মসূচি, হরতাল ধর্মঘট, অবরোধ। সেগুলোই তারা করছেন। মানুষ সবকিছুরই শিকার।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হুকুমের গোলাম বাংলাভাষায়। এখানে তাদের কিছুই করার নেই। চাকরি করতে হলে ক্ষমতাসীনদের হুকুম তাদের শুনতে হবে, সেটা ন্যায় কী অন্যায়, সেটা দেখার বিষয় তাদের নয়। অন্যদিকে বিরোধীপক্ষ এটা মেনে নিয়েই গণতান্ত্রিক ওই আন্দোলনে কঠোরভাবে শামিল হয়ে রয়েছেন। মানুষ এখন জিম্মি। থমথমে পরিস্থিতি। কখন কী ঘটে, সে দুশ্চিন্তায় ঘুম হারাম হয়ে যাওয়ার মধ্যে চলছেন তারা। হরতাল অবরোধে দূরপাল্লার গাড়ি, বাস, পণ্যবাহী ট্রাক সবই বন্ধ। যেটা চলার মতো যেমনটা ট্রেন, সেটাও চলে ভয়ার্ত পরিবেশে। যাত্রীরা যারা ওঠেন তারাও অতীতের ঘটনা স্মরণ রেখে। কারণ গানপাউডার দ্বারা আক্রমণ করা হতো এসব যানবাহনকে। ফলে যাত্রীরা এখানেও নিরাপদ নয়। আতক্সিক্ষত। তাছাড়া আইনশৃখলা বাহিনী এখনো সক্রিয়, এটা তাদের দায়িত্ব যে মানুষের জানমালের হেফাজত করা।

একের পর এক বিরোধীদলের এমন কর্মসূচি। সরকারও তাদের অবস্থানে অনড়। তাহলে এর সমাধান কোথায়? এভাবেই চলতে থাকবে? কবে নাগাদ শেষ হবে? এর সঠিক কোনো উত্তর এখন নেই কোনো বাংলাদেশি মানুষের মুখে। সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে বলা হচ্ছে, এমন জ্বালাও-পোড়াও করে অতীতেও রেহাই পায়নি কেউ। এদেরকে কীভাবে দমন করতে হয় সেটা জানা আছে।

আবার বিরোধীপক্ষ অনড়-এটা জীবন-মরণ ক্ষণ। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে ক্ষমতাসীনদের ক্ষমতা ছাড়া করতেই হবে। নতুবা বিরোধীদলের বিরুদ্ধে যে অর্ধকোটি মামলা এবং তার দ্বারা যে ৩৫ লাখ নেতাকর্মী আক্রান্ত তাদের নিস্তার নেই। তারা অচিরেই শেষ হয়ে যাবেন।

সব মিলিয়ে কঠিন এক প্রেক্ষাপটে দুই দলের অবস্থান। কিন্তু এ দুইয়ের বাইরে যে নিরপেক্ষ একটা সুশীল সমাজ বরাবর উঁকিঝুঁকি দিতেন, বাংলাদেশে ইতিপূর্বে- তারা সবাই এখন নিশ্চুপ। তারা যে হস্তক্ষেপ করে দুই পক্ষকে এক টেবিলে এনে একটা সমাধানের পথ বের করবেন, সেটার কোনো উদ্যোগ তো দূরে থাক, দেশের এমন কঠিন মুহূর্তে সেসব তথাকথিত সুশীল একেবারে গর্তে লুকানো অজানা এক স্বার্থে। সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কেউই নেই এ মুহূর্তে। এর বাইরে বিভিন্ন সমাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা খবর চ্যানেলে ভাসছে নানা গুঞ্জন। দেশের মানুষ দিশেহারা।

বৃহৎ এ রাজনৈতিক দলের দু’চার কোনো অন্যায় কাজ করে থাকে, বেআইনি কাজ করে থাকে, তাহলে তাদেরকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শাস্তি দেবে এটাই রীতি। কিন্তু দু-চারজনের জন্য দলের শীর্ষস্থানীয় সব নেতাকে একে একে গ্রেফতার করে দলকে নেতৃত্বশূন্য করার প্ল্যান এটা সাধারণ মানুষ ভালোমতো নিচ্ছে না। সবকিছু শেষে একটা একদলীয় শাসনব্যবস্থার প্রচলন, যা গণতন্ত্রের আবডালে হবে সেটাও কিন্তু বন্ধুপ্রতিম দেশগুলো মানবে না এটাই স্বাভাবিক।

এমনি মুহূর্তে অনেকেই আগের মতো বিদেশি মদদ প্রত্যাশা করছেন। কিন্তু এ প্রশ্নেও অনেক সুশীল ও আধুনিক চিন্তাধারার মানুষ বেশ সরব, সচেতন। তারা প্রায়শই বলছেন, দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে বিদেশিরা কেন হস্তক্ষেপ করবে, এটাই বাস্তব। যে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি বন্ধুদের হস্তক্ষেপ কাম্য নয়। কিন্তু যেখানে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নিজেরা ঐকমত্যে ব্যর্থ, ক্ষমতার দ্বন্দ্বে এক দল অন্যদলের সঙ্গে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, সহিংসতায় মত্ত হবেন, তখন ক্ষতিগ্রস্ত স্বামী হারানো, সন্তানহারা, বাবা হারানো, সম্পদ হারানো, বেঁচে থাকার সহায় সম্বল হারানো সাধারণ মানুষের স্বার্থে বা সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াবে তাহলে কে?

শেয়ার করুন