২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ১১:৬:১৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান ‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়


স্মৃতিচারণে মোহাম্মদ শাহ আলম
বিশ বছর জেলে থাকতে হলেও বন্ড সাইন দিয়ে মুক্ত হবো না
সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৩-০৪-২০২২
বিশ বছর জেলে থাকতে হলেও বন্ড সাইন দিয়ে মুক্ত হবো না মোহাম্মদ শাহ আলম বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র সাধারণ সম্পাদক


মোহাম্মদ শাহ আলম বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র সাধারণ সম্পাদক। বাম গণতান্ত্রিক জোটের শীর্ষ নেতা। জন্ম ১৯৪৯ সালে চট্রগ্রামের পটিয়া উপজেলায় জন্ম গ্রহণ করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণের পাশাপাশি তিনি ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের গেরিলা বাহিনীর ডেপুটি কমান্ডার ছিলেন তিনি। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লেখাপড়া করেন। তিনি বিবাহিত দুই সন্তানের জনক। সাপ্তাহিক দেশ পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি সম্প্রতি মোহাম্মদ শাহ আলমের জীবনের স্মৃতি উল্লেখযোর্গ কিছু ঘটনা বলেন। এখানে তার একটি তুলে ধরা হলো।  

১৯৬৮ সাল ১০ আগস্ট। বঙ্গবন্ধুসহ অনেকে জেলে। এর কিছুদিন পর কমরেড মনি সিংহরাও জেলে। সময়টা ছিল মোনায়েম খানের আমল। তিনি ছিলেন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গর্ভনর। তার  সময়ে একটা নির্দেশ জারি হয় যে থার্ড ডিভিশনে এসসি পাস করলে কোনো শিক্ষার্থী কলেজে ভর্তি হতে পারবে না। ডিপ্লোমা পলিটেকনিকে ভর্তি হতে পারবে। আমরা ছাত্ররা সেদিন এর বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম শুরু করি। আর এছাড়াতো রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটতো ছিলই। তো সরকারের এ নির্দেশের বিরুদ্ধে ১৯৬৮ সাল ১০ আগস্ট ছাত্র তৎকালিন পূর্বপাকিস্তানে ছাত্র ধর্মঘট ডাকে।

আমি তখন চট্টগ্রাম সিটি কলেজ সিটি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। ধর্মঘটের আগে সেখানে আমরা বসে একটা মিটিং করলাম। তখন আইয়্ ুখান আমলে কলেজিয়েট স্কুলের ছ্রাত্ররা খুব বৃত্তি পেতো। এজন্য তারা তখন ধর্মঘটসহ নানান ধরণের আন্দোলনে যোগ দিতো না। কলেজিয়েট স্কুলের ছ্রাত্ররা যেনো ধর্মঘটে শামিল হয় সেজন্য পরিকল্পনা হলো চট্টগ্রামের সিটি কলেজে বসেই। এখনকারমতো তো তখন মোবাইল ফোন ছিল না। ওয়াকি টকি ছিল। পুলিশ তখন হাফ প্যান্ট পড়তো। যাক আমরা কলেজইয়েট স্কুলের ছ্রাত্রদের সম্পৃক্ত করতে সেখানে তৎপরতা চালাতে গেলেই পুলিশ আমাদের ধাওয়া দিল। কলেজিয়েট  স্কুলে ধর্মঘট করতে গেলে সেখানকার শিক্ষকরা ছাত্রদের ব্লক করে রাখতো,পাহারা বসাতো,বেশ তদারকি ছিল।

কিন্তু এতো কিছুর মধ্যেও পরিকল্পনা মাফিক আমরা ছাত্ররা মিলে ধর্মঘট করে ফেলেছি কলেজইয়েট স্কুলের ছ্রাত্রদের নিয়ে। আর পায় কে। সফল হওয়াতে ধর্মঘটের দিন পুলিশ আমাদের ধাওয়া দেয়, এবং আমরাও পালিয়ে যাই। আমরা ধাওয়া খেয়ে পালাতে শুরু করলাম। এসময় ধাওয়া খেয়ে আমরা তখন এক বাড়িতে আশ্রয় নিত গেলাম। আমার সাথে ছিল তিনজন। এই তিনজনেই আশ্রয় নিলাম ঐ বাড়িতে। চট্টগ্রামের স্টেশন কলোনির এক বাড়িতে পালিয়ে আশ্রয় নেই। আমাদের বাড়ির মহিলা আশ্রয় দিল। তিনি আমাদের চকির তলায় পালিয়ে থাকতে বললেন। আমরা চকির তলায় আশ্রয় নিলাম। পুলিশ ঠিকই আসলো ঐ বাড়িতে। অনেক খোজাখুজি করলো। কিন্তু পেলো না।  কারণ ঐ মহিলা পুলিশকে জানালো এখানে কোনো ছাত্র পালিয়ে নাই।

পুলিশ চলে গেলে সেখান থেকে বের হয়ে মুসলিম হাইস্কুলে যাই। সেখানে ধর্মঘট করার দায়িত্ব পরে আমাদের। বিশেষ করে আমার ওপর দায়িত্ব পরে। মুসলিম হাইস্কুলের দখলে ছিল বিহারীরা। ওরা ধর্মঘট করতে চাইতো না। আমি আসলে তখন বেশ মারাদাঙ্গা প্রকৃতির ছিলাম। আমি ও অন্যরা  তখন সে কলেজে ঢুকে পেছন থেকে টেবিল চেয়ার ফেলে দিয়ে চেয়ার ফেলে দিরেয় ধর্মঘট সফল করে চলে আসি। সেখান থেকে আমরা বর্তমানে বিএনপি নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান ভাই ও মৌলবী সৈয়দ ( যিনি প্রেসিডেন্ট জিয়ার সময় নিহত হন, তাকে মেরে ফেলা হয়েছে ) মুসলিম স্কুলে ধর্মঘট সফলে কাজ করি। মৌলবী সৈয়দ তখন সিটি ছাত্রলীগের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। আমি তখন ছাত্র ইউনিয়নের নগর কমিটির পাবলিসিটি সম্পাদক।

তো আমিসহ অনেকে বের হয়ে দেখি চ্ট্টগ্রামে তৎকালিন স্টেট ব্যাংক অব পূর্ব পাকিস্তানের সামনে আবদুল্লাহ আল নোমান ভাই ও মৌলবী সৈয়দকে পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে যাচ্ছে। সেসময় ইন্সপেক্টর গঞ্জাল ও রউফ তাদের ধরে। এটা দেখার পর আমরা চিটাগাং কলেজের উদ্দেশ্যে যাওযার মনস্থির করি। তো আমরা একটি হোটেলে নান রুটে আর গরুর গোস্ত খেয়ে কলেজের উদ্দেশ্যে যাই। চট্টগ্রাম কলেজে ধর্মঘট করা অনেক শক্ত কাজ ছিল। তিনি ছিলেন মহসিন কলেজের প্রিন্সিপাল  প্রিন্সিপাল ছিল অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদ টিকে। তার বাড়ি ছিল পটিয়া। টিকের অর্থ ছিল তমকাইয়ে খেদমত। ১৯৬৫ সালে ভারত পাকিস্তান যুদ্ধে বীরত্বের জন্য আইয়ুব খান তখন কিছু টাইটেল দেয় কয়েকজন ব্যক্তিকে। তাদের এ উপাধির নাম হচ্ছে তমকাইয়ে খেদমত। চট্টগ্রাম কলেজে ধর্মঘট যেনো না করা যায় সেজন্য শিক্ষকরা কলেজ গেটসহ বিভিন্ন পয়েন্টে বসে থাকতো।

তো এরিই ফাকে একটি পক্ষ কলেজের ধর্মঘট ঠিকই সফল করে ফেলে। এতে তো কলেজের ছাত্ররা ভয় পেয়ে যায়। কারণ তারা ভয় পাচ্ছে তাদের বৃত্তি দেয়া বন্ধ করে দেয়া হবে। যাক আমি ও আরো কয়েকজন মিলে চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্রদের ধর্মঘট সফল করতে প্লান করি। আমি তখন কিছু খাতা কিনি। যেনো ঐ কলেজের ছাত্র ভাব ধরে ঢুকে যেতে পারি। যাই হোক পলিসি করে সব্বাই হু হু করে ঢুকে গেলো । আমি কিন্তু ঢুকতে পারলাম না। এদিকে চট্টগ্রাম কলেজে ধর্মঘট যেনো না করা যায় সেজন্য এনএসএফ হকি স্টিক সাইকেলের চেইন নিয়ে মহড়া দিচ্ছিল। এমনি সময়ে  চট্টগ্রাম কলেজে ঢুকতেই প্রিন্সিপাল আমাকে আটকায়। অশ্রাব্য গালি দেয়। একজন শিক্ষকের মুখে এমন অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজে আমি হতভম্ব হয়ে যাই।

তাকে শ্রদ্ধা করেই জানাই আপনি আমাকে গালিগালাজ করছেন কেনো? তিনি তখন আমাকে বলেন চট্টগ্রাম কলেজে ধর্মঘট করতে আসছস কেন। তিনি এরপরতো আমাকে পুলিশের কাছে আমাকে হাওলা করে দিলো। পুলিশের বেশ কয়েকজন এসে তখন আমার দুই বগলে হাত দিয়া ধরে গাড়িতে উঠিয়ে নিল। আমাকে তখন কলেজ থেকে চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনারে কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হলো। আমাকে সেখানে দিনভর অনেক জিজ্ঝাসাবাদ করা হলো। আবদুল্লাহ আল নোমান ভাই ও মৌলবী সৈয়দতো আাগেই গ্রেফতার হয়েছেন। এবার তারাসহ আমি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলাম। কিন্তু ওখানেই বসে জানলাম এই গ্রেফতারের প্রতিবাদে পুরো শহরে তখন তোলপাড়। যাক আমাদেরকে নিয়ে চট্টগ্রাম কোর্ট বিল্ডিংয়ে নিয়ে যওিয়া হয়।

সেখান থেকে আমাদের জেলে পাঠিয়ে দেয়া হয়। ১৯৬৮ সাল ১০ আগস্ট ঢুকলাম জেলে আর ১৯৬৮ এর ফেব্রয়ারিতে বের হলাম। বঙ্গবন্ধু ও কমরেড মনি সিংহরাা যখন বের হয় আমিও তখন বের হই। এটি একটি স্মরণীয় ঘটনা আমার জীবনে। এসময়ে আরো একটি স্মরণীয় ঘটনা কারণ ছিল আরেকটি। আমার বাবা নজীর আহমদ ছিলেন রেলওয়ের একাউন্ট অফিসার। সারা দেশেই তার কাজ। তিনি খবর পেলেন আমি কারাগারে ।  তিনি আমাকে মুক্ত করতে শক্ত উকিল ধরলেন। আমি যখন গ্রেফতার হই উনি তখন লাকসামে ছিলেন। সেখানে স্টোর একাউন্ট তিনি। উনি ব্যবস্থা করলেন আমাকে মুক্ত করতে। বন্ড সাইন দিতে হবে এমন শর্তে। উকিল ফুল বাবুকে ঠিক করলেন আমাকে মুক্ত করতে।

ফুল বাবুর নাম হলো কারণ তিনি প্রতিদিন একটা গোলাপ ফুল তার কোর্টের কোনো গুজে রাখতেন। সে থেকে তার নাম হলো ফুল বাবু। বাড়ি তার মিরেরসরাই। খুব জাদরেল উকিল ঠিক করেছেন বাবা আমাকে মুক্ত করতে। অন্যদিকে আমাব বাবা বাবা নজীর আহমদকে পুলিশ কর্মকর্তারা ভয় দেখাতে লাগলেন।  কেনো সরকারি কর্মকর্তা হয়েও তার সন্তান আন্দোলন সংগ্রাম করছে। সরকারি কর্মতার ছেলে কোনো এমন করছি তার জন্য বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা আমার বাবাকে ভয় দেখাতে থাকে। এসময় বাবা আমাকে পুলিশ কর্মকর্তাদের সামনে নিয়ে গেলেন বন্ড সাইন দিয়ে মুক্তির ব্যাপারটা । যেনো আমি আর এধরণের আন্দোলন সংগ্রামে বা রাজনীতিতে না জড়াই। আমি তখন সবার সামনে বাবাকে বললাম, বাবা আমি আজ বলবো না,বন্ড সাইন দিবো কি-না পরে আবার আসলে বলবো। 

এসময়েই আমার জীবনে একটা বড়ো ঘটনা ঘটে যায়। আমাদের পার্টি করতেন বীরকন্যা প্রীতিলতার বড় ভাই পূর্ণেন্দু দস্তিদার যিনি ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্টের এম এল এ ছিলেন। ১৯৬৫সালে তাকে জেলে ঢুকানো হয়। আমাদের সাথে সাবেক মন্ত্রী আওয়ামী লীগ নেতা মান্নান ভাইও ছিল। এস এম ইউসুফও ছিল। আমরা সেসময়ে ছ্রাত্র আন্দোলনে অংশ নেয়া প্রায় সতেরজনই জেলে আছি বীরকন্যা প্রীতিলতার ফুফাতো বড় ভাই পূর্ণেন্দু দস্তিদারসহ। পূর্ণেন্দু দস্তিদারসহ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল বিভাগের ৪র্থ বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তার হাত ধরেই অনেকে বিপ্লবী হয়েছিলেন।

প্রীতিলতার বড় ভাই পূর্ণেন্দু দস্তিদারের সাথে সাক্ষাতের পরই আমার জীবনটা মানুষ হয়ে গেলো। উনি তখন আমাকে বললেন আমার এক ভাইতো জালালাবাদ যুদ্ধে মারা গেছে । আমাকে তখন ভাই বলছিলেন আমি যেনো ভারতে চলে যাই। আমি সেখানে গেলে মন্ত্রী হবো। পূর্ণেন্দু দস্তিদার কিন্তু জেলে বসেই এম এল এ হয়েছেন। তার সাথে কবি জসিমউদ্দিনে সাথেও পরিচিত ছিল। ওখানে বসে তিনি বাংলা একাডেমীতে বই অনুবাদ করতো। জেলে অনেক আলাপচারিতার মধ্যে পূর্ণেন্দু দস্তিদার তখন আমাকে বললেন নিজের রাজনৈতিক জীবনের ঘাত প্রতিঘাতের কথা। অনেক কিছু বোঝালেন। তাছাড়া উনিতো জেলেই আমাদের বির্ভিন্ন বই পড়িয়েছিলেন, পাঠচক্রও হতো, তাতেও অংশ নিতাম। আবার জেলে ভলিবলও খেলতাম। বললেন, তুমি যদি রাজনীতি করতে আসো তাহলে বন্ড সাইন দিয়ে মুক্তি পেলে তুমি নৈতিকভাবে পরাজিত হয়ে যাবা। যাক আমার বাবা আসলেন জেলে মুক্তির ব্যাপারে কথা বলতে।

বন্ড সাইন দেয়ার ব্যাপারে আমার মতামত নিয়ে আসলেন। আমি তখন বাবার সামনে মাথা নীচু করে বললাম, আমি বন্ড সাইন দিয়ে মুক্তি নিবো না বাবা । বললাম বিশ বছর জেলে থাকবো তা-ও বন্ড দিয়ে মুক্ত হবো না।  (এমন স্মুতিচারণের সময়েই একথা স্মরণ বলতে গিয়ে সিপিবির এ সাধারণ সম্পাদক অঝোরো কাদলেন । অতীতের সে মুর্হুতের কথা মনে করে তিনি অনেকক্ষণ ধরে চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি। ) এর অনেকক্ষণপর আবার বললেন, আমার বক্তব্য শুনে পাশে দাড়িয়ে থাকা ফুলবাবু উকিল বাবাকে লক্ষ্য করে বললেন, আপনার ছেলেকে জন্ম দিয়েছেন ঠিকই তবে সে বিপ্লবী পূর্ণেন্দু দস্তিদারে পথে চলে গেছে। সে থেকে বাবা আর আমাকে কোনোদিন জেলে দেখাতে আসেননি। মা অবশ্য আসতেন,খোজ নিতেন। আমার জীবনের একটা স্মরণীয় ঘটনা কারণ সেদিন আমার বাবাকে ফিরিয়ে দিয়ে বিপ্লবী জীবনকেই বেছে নেই। 

শেয়ার করুন