২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ০৭:০৯:৫০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে দরিদ্রমুক্ত দেশ গড়ে উঠবে - আসাদুজ্জামান খান কামাল ৭০ শতাংশ মৃত্যু অসংক্রামক রোগে, বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি ‘বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনে ব্যবস্থা নিন’ ভূল স্বীকার করে সরে দাড়ানোয় একজনের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার বাফেলোতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত ‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান


ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সব মামলা প্রত্যাহার চেয়ে ১৯ আন্তর্জাতিক সংস্থার আহ্বান
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩১-০৮-২০২৩
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সব মামলা প্রত্যাহার চেয়ে ১৯ আন্তর্জাতিক সংস্থার আহ্বান


ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের হওয়া সব মামলা বাতিলের আহ্বান জানানো হয়েছে। আর বাংলাদেশে এ আহ্বান জানায় মানবাধিকার ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় কাজ করা ১৯টি আন্তর্জাতিক সংস্থা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছেও ওই আহ্বান জানানো চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে এ সংক্রান্ত মামলায় আটক সাংবাদিক সহ অন্যান্য ব্যক্তিদের মুক্তিরও দাবি জানানো হয়েছে।   

বিশ্বব্যাপী সাংবাদিক ও গণমাধ্যমের অধিকার নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংগঠন কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টসের (সিপিজে) ওয়েবসাইটে বুধবার (৩০ আগষ্ট) ১৯ সংস্থার এই চিঠি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, শুধু শান্তিপূর্ণভাবে নিজের মতপ্রকাশের কারণে যাঁদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে, কর্তৃপক্ষের উচিৎ অবিলম্বে সেসব মামলা বাতিল করা। একই সঙ্গে এসব মামলায় যাঁদের আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাঁদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।

সংস্থাগুলো বলেছে, সংবাদ প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট কারও বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক আইনি পদক্ষেপ ভয় দেখানোর শামিল, যা একটি স্বাধীন গণমাধ্যমের কার্যক্রমকে রুদ্ধ করে। সাংবাদিকতা কোনো অপরাধ নয় উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়েছে, কর্তৃপক্ষ বা যাঁদের নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে, তাঁদের কোনো ধরনের প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের শিকার হওয়ার ভয় ছাড়াই গণমাধ্যমগুলোর স্বাধীনভাবে বাংলাদেশের সব জাতীয় ও স্থানীয় ঘটনার সংবাদ প্রকাশের ক্ষমতা থাকা উচিত। বিশেষত, বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে গণমাধ্যমের এই ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।  

বাংলাদেশ সরকারের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন রহিতের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে সংগঠনগুলো। তবে এই আইনের বদলে যে সাইবার নিরাপত্তা আইন করা হচ্ছে, তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে তারা। চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত আইনটিতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বেশ কয়েকটি দমনমূলক ধারা থাকছে, যেগুলো আগে বাংলাদেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, ব্যক্তিগত গোপনীয়তা, নাগরিক স্বাধীনতাসহ স্বাধীন সাংবাদিকতা ও মানবাধিকারকর্মীদের কণ্ঠরোধে ব্যবহার করা হয়েছিল।


সংস্থাগুলো হলো:-

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, আর্টিকেল নাইনটিন (দক্ষিণ এশিয়া), এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন, বাংলাদেশি জার্নালিস্ট ইন ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া, ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট জাস্টিস প্রজেক্ট, সিভিকাস: ওয়ার্ল্ড অ্যালায়েন্স ফর সিটিজেন পার্টিসিপেশন, কোয়ালিশন ফর উইমেন ইন জার্নালিজম (সিএফডব্লিউআইজে),  কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস, ফোরাম ফর ফ্রিডম এক্সপ্রেশন, বাংলাদেশ; ফ্রি প্রেস আনলিমিটেড, আইএফইএক্স; ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন ফর হিউম্যান রাইটস (এফআইডিএইচ), ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব জার্নালিস্টস (আইএফজে), ইন্টারন্যাশনাল ওমেন’স মিডিয়া ফাউন্ডেশন, পেন আমেরিকা; পেন বাংলাদেশ, পেন ইন্টারন্যাশনাল; রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস ও রবার্ট এফ কেনেডি হিউম্যান রাইটস।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ই মেইলে চিঠিটি পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, ধর্মপ্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমদকে চিঠির অনুলিপি পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। 


শেয়ার করুন