২৬ এপ্রিল ২০১২, শুক্রবার, ০৪:০৪:২৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :


বাংলাদেশের গণজাগরণ
নেতৃত্বহীন আন্দোলনে মানুষের আত্মাহুতির অঙ্গীকার
মঈনুদ্দীন নাসের
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৪-১২-২০২২
নেতৃত্বহীন আন্দোলনে মানুষের আত্মাহুতির অঙ্গীকার বাংলাদেশের রাজনৈতিক ময়দান প্রতিবাদে মুখর


বাংলাদেশের রাজনৈতিক ময়দান প্রতিবাদে মুখর। মানুষের বাঁধভাঙা জোয়ার অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। কিন্তু মানুষের আকাক্সক্ষা চরিতার্থ করার মতো অবস্থান সৃষ্টির ক্ষেত্র সৃষ্টি হয়নি। আন্দোলন বলতে অবশ্য যা বোঝায় তার কোনো ডাক না থাকলেও মানুষ শুনেছে মঞ্চের কথা। মঞ্চে কে আছে তার কোনো হিসাব না করেই মানুষ সাড়া দিয়েছে। কিন্তু মানুষকে পরিচালনা করার মতো শক্তি বা সাহসী মানুষটির কোনো দেখা পাওয়া যায়নি। 

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মঞ্চ থেকে ১০ দফার ঘোষণা এলেও সে মঞ্চ মানুষের আস্থা অর্জন কতটুকু করতে পেরেছে তা বলা যায় না। আমরা ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থান দেখেছি। সে সময় মঞ্চের কোনো বালাই ছিল না। মওলানা ভাসানী যেখানে গিয়েছেন, সেখানেই মঞ্চের জমজমাট চেহারা বসেছে। আজ সেই বিরল ব্যক্তির দেখা মেলা ভার। তারপরও মঞ্চের প্রধান জীব্য হচ্ছে নেতৃত্ব। বাংলাদেশের মানুষ আজ নেতৃত্বের সংকটে রয়েছে। মানুষের জিজ্ঞাসা, মানুষের দাবি, মানুষের চাওয়া, মানুষের মুক্তির স্লোগান সড়ক-মহাসড়কের দু’পাশের দেয়ালে আঁচড়ে পড়লেও তাকে ‘খেলা হিসেবে’ দেখছে ফ্যাসিবাদী চরিত্রের শাসকগোষ্ঠী। অথচ এ শাসকগোষ্ঠীর হাতেই আজ দেশের মানুষ জিম্মি।


বাংলাদেশে গণতন্ত্রের লেবাস খুলে পড়েছে। ফ্যাসিবাদকে আর গণতন্ত্র নয় ফ্যাসিবাদের আলখেল্লা পড়িয়েই মাঠে নামিয়েছে শাসক মহল। লুটপাটের অর্থনীতিকে স্থায়ী সিস্টেমে পরিণত করা হয়েছে। মানুষকে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও জ্বলন্ত লৌহ শিকলের প্রকোষ্ঠে। মানুষের মুক্তির স্লোগান আজ ক্ষুরের শাণিত দ্বারপ্রান্তে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকট আজ ধেয়ে আসছে। ২০০৯ সালে ক্ষমতারোহনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদচারণা প্রথমবারের মতো আজ পশ্চাৎমুখী।

শ্রীলঙ্কার স্তরের ব্যাস্টিক অর্থনীতির দ্বারপ্রান্তে অর্থনৈতিক সংকটের সম্ভাবনা। বাংলাদেশ পার্শ্ববর্তী ভারতের সাহায্যের দিকে মুখিয়ে আছে। ভারতীয় পত্রিকায় চলছে শেখ হাসিনার পক্ষে প্রচারণা। ভারতকে শেখ হাসিনার পক্ষে জাগানোর আহ্বান এসেছে বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে। তবে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে লেখা হয়েছে, বাংলাদেশকে পেছন থেকে সাহায্য করার জন্য আঞ্চলিক শক্তিসমূহকে এগিয়ে আসতে হবে। ভারতের সহায়তা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন বলে বলা হচ্ছে। কিন্তু অর্থমন্দায় বাংলাদেশকে কি ভারত সাহায্য করতে পারে? কখনই ভারত বাংলাদেশের অর্থমন্দায় কাজে আসেনি। বাংলাদেশে  ভারতের মানুষকে কাজে  পাঠিয়ে ভারত, পক্ষান্তরে বাংলাদেশ থেকে বিদেশি  মুদ্রা তুলে নিয়েছে। কিন্তু বিনিময়ে ভারত অদ্যাবধি কিছুই দেয়নি। না দিয়েছে চুক্তি মোতাবেক ফারাক্কার পানি, না করেছে তিস্তা চুক্তি, না করেছে কোনোরকম অর্থনৈতিক বা বাজার সমঝোতা। 

বাংলাদেশে ব্যাংক লুট আজ হরিলুটে পর্যবসিত। ইসলামী ব্যাংকের মতো শক্তিশালী ব্যাংক আজ মুখ থুবড়ে পড়ার মতো অবস্থায়। যে অর্থ ব্যাংক থেকে লুটপাট হয়েছে, তা দিয়ে তিনটি পদ্মাসেতুর ব্যয় মেটানো সম্ভব ছিল। সেসব টাকা উদ্ধারে কোনো প্রচেষ্টা সরকারের নেই। যারা অর্থ লুট করেছে বা অর্থ লুটের কাজে সহায়তা দিয়েছে তাদের পুরস্কৃত করা হয়েছে এ সরকারের পক্ষে। বাংলাদেশে প্রতিবাদ ও সহিংসতা আজ যত্রতত্র। একইসঙ্গে প্রতিবাদী স্বরকে পুলিশের গুলিতে স্তব্ধ করা হচ্ছে। অথচ এই গুলির আওয়াজ বন্ধ করার মতো কোনো আন্দোলন গড়ে ওঠেনি। 

বাংলাদেশের বিরোধীদল জাতীয়তাবাদী দল বা বিএনপি ও অন্যান্য বিরোধীদল স্বচ্ছ নির্বাচন অনুষ্ঠানে তত্ত্বাবধায়ক প্রশাসন চায়। কিন্তু ক্রোধমত্ত শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছাড়তে রাজি নয়। তিনি বলেন, ‘বোমাসন্ত্রাসীদের’ ক্ষমতায় আসতে দেয়া হবে না। অর্থাৎ ভোট তারা পেলেও তাদের ক্ষমতায় বসানো হবে না। অর্থাৎ নিজেই ঘোষণা করছেন ভোট যে পাবে পাক, ক্ষমতায় আমার সিংহাসন পাতা থাকবে আর এটাই হচ্ছে বাংলাদেশি রাজনীতির বর্তমান মূলকথা। পশ্চিমা দুনিয়ায় রাষ্ট্রদূতদের ১৫ জন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে যৌথ বিবৃতিতে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে। ভারত ও চীন কিন্তু এক্ষেত্রে নিঃশব্দ রয়েছে। গণতন্ত্র বা ফ্যাসিবাদ চীনের জন্য বিবেচ্য নয়। তবে তা ভারতের জন্য বিবেচ্য হতে পারে। কারণ ভারত গণতান্ত্রিক দেশ, কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ভারত ও চীনের অবস্থান সমমাত্রিক। একে অপরের পথপানে চেয়ে থাকে। অথচ আওয়ামী লীগের রাজনীতির ধারা কোনোভাবেই চীনের কমিউনিস্ট পার্টি বা ভারতের গণতন্ত্রের রূপধারিনী নয়। বাংলাদেশে জনপ্রিয় নেতা ভারতের পছন্দ নয়, সে জন্য অতীতে বঙ্গবন্ধু মুজিব বা শহিদ জিয়ার মৃত্যু ভারতকে তেমন করে ভাবায়নি কিংবা তার চেয়েও বেশি মাত্রায় ছিল ভারতের নেতিবাচক সংশ্লিষ্টতা। বাংলাদেশে অনেকে মনে করছে, রাজনৈতিক পরিবর্তনের বাতাস বইতে শুরু করেছে এখন, যা ২০০৯ সাল থেকে অদ্যাবধি চোখে ধরা পড়েনি। বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিএনপি-আওয়ামী লীগের মধ্যে খেলা, রাজনীতিতে সামরিক হস্তক্ষেপে অপ্রত্যাশিত হলেও অমূলক নয়। এই হস্তক্ষেপ আরো বেসাময়িংক করে তুলতে পারে সমস্যাকে। বর্তমানে প্রথমত. আওয়ামী লীগ সম্পর্কে জনগণের হতাশা ব্যাপক। পদ্মাসেতুর বৃহৎ ৪১টি পিলার এই হতাশার গোড়ায় পদ্মার জল সেচেও তা মেরামত করতে পারবে না। এই হতাশা অনেক গভীরে আর এখন আওয়ামী লীগের ক্র্যাকডাউনের প্রস্তুতি ছাড়া উপায় নেই। দ্বিতীয়ত. বাংলাদেশের অর্থমন্দা এতোই বেসামাল যে, শেখ হাসিনার প্রধান সহসঙ্গীরা নির্বাচনের অর্থে টান পড়লে বিকল্প কি করবেন তা নিয়ে বিবেচনা করছেন।

তৃতীয়ত. হাসিনা কিংবা বিএনপির হাতে এমন কোনো অঙ্ক নেই যে, কীভাবে অর্থনীতি সামাল দেবে বা জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে পূরণ করবে?

বাংলাদেশে বিএনপির ডাকে বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে অবশেষে ঢাকায় ১০ ডিসেম্বর ব্যাপক জনসমাবেশ হয়েছে। সরকার এসব সমাবেশ না করতে বাপক ধরপাকড় ছাড়াও যাতে মানুষ উপস্থিত হতে না পারে, সে জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে যে, যানবাহন ধর্মঘট, নদীপথ, সড়কপথে যানচলাচল বন্ধ করা ইত্যাদি। আওয়ামী লীগের ঘাঁটি বলে খ্যাত খুলনা ও ফরিদপুরেও ব্যাপক সমাবেশ রোধ করতে পারেনি আওয়ামী লীগ। বিএনপিকে সাম্প্রতিককালেও রাজনৈতিকভাবে মৃত বলে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু এতো ব্যাপক জনসমর্থন বিএনপি কেমন করে দেখাতে পারলো। সমাবেশগুলোতে বিএনপি ছাড়াও সাধারণ জনগণ অংশ নিয়েছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এটা সম্ভব হয়েছে সম্ভবত জনবিচ্ছিন্ন আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপিকে মানুষের দুর্দশার একমাত্র ব্রোকার হিসেবে মনে করেছে। যদিও তাদের কোনো একক নেতা নেই। 

আশ্চর্যের কথা হচ্ছে, এই সমাবেশের বিরুদ্ধে বিশেষ করে ঢাকা সমাবেশের প্রাক্কালে বিএনপির নেত্রীর ভাই শামীম এস্কান্দার এক বিবৃতিতে বিএনপি নেতাদেরকে তার বোনের বিরুদ্ধে বা বোন বেগম জিয়াকে নিয়ে কোনো খেলা না করার আহবান জানিয়েছেন। লন্ডন থেকে তারেক জিয়া যার ওপর আমেরিকার অভিসম্পাত রয়েছে, তাকে দীর্ঘদিন নীরব থাকতে দেখা গেলেও মানুষ বিএনপির আমনেতাদের ডাকে সাড়া দিয়েছে। ঢাকা থেকে বিএনপির নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসকে গ্রেফতার করা হয়। তারপরও মানুষ সমবেত হয়েছে বাঁধভাঙা জোয়ারের মতো। ১০ দফা দাবিনামা পাঠ করেছেন স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য মোশারফ হোসেন কিন্তু মানুষ তাতেও সম্মতি জানিয়েছেন। পরবর্তী আন্দোলনের কর্মসূচি কিন্তু তেমন উত্তেজনাপূর্ণ নয়। একই সময় মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে গ্রেফতার রেখে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শিগগিরই সমঝোতা হয়ে যাবে। আসলে কি তাই?

বাংলাদেশে সমষ্টিক অর্থনীতির উন্নয়ন বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সারা বিশ্বে তার প্রশংসা করা হয়। কিন্তু তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্পদ পুনর্বণ্টনের বিষয়টাকে জোরদার করে না এবং তাতে প্রাতিষ্ঠানিক সমন্বয়ও জোরালো হয় না। ব্যাষ্টিক অর্থনীতির রয়েছে একটা বড় সমস্যা। এর মধ্যে শেখ হাসিনার সরকার নিত্যদিন জনগণের ওপর চালাচ্ছে নির্যাতন। অথচ তারা নিজেরাই দুর্নীতিগ্রস্ত আর শেখ হাসিনার জন্য তা খোঁড়া ঘোড়ায় আদলের রূপ নিয়েছে। আর সে কারণে যথেষ্ট প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও মানুষ জড়ো হয়েছে। শেখ হাসিনার সবরকম প্রতিবন্ধকতাকে উপেক্ষা করেই জড়ো হয়েছে। আর এই জড়ো হওয়াটাই হাসিনার সাজানো পথ উল্টো হয়ে গেল। কিন্তু বিরোধী শিবির নেতৃত্বের অভাবে জনগণের এ সাড়াকে কতটুকু সফল পরিণতির দিকে এগিয়ে নিতে পারবে তা বলা মুশকিল। সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা এতে কতটুকু দমন-পীড়ন চালিয়ে পরিস্থিতিকে কুপোকাত করতে পারবে তা দেখার বিষয়। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে যে নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি হবে তা বিরোধী শিবিরে দেখা যাচ্ছে না। শেখ হাসিনা ঢাকায় ৩০ হাজার পুলিশ নিয়োগ করেছেন। প্রয়োজনে আরো দমননীতির ব্যবহারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। মিডিয়াকে হুমকি দেয়া হয়েছে আরো দমনের। ঢাকা র‌্যালিতে একদিকে শেখ হাসিনার জনসমর্থন শূন্যের কোঠায় পৌঁছেছে বলে দৃশ্যমান হয়েছে। অন্যদিকে ঢাকা র‌্যালির নেতৃত্বে বিএনপির অযোগ্যতা পুরো আন্দোলনের ধারাকে নড়বড়ে করে ফেলতে পারে। শেখ হাসিনার জন্য আন্দোলন চললেও যেমন তা সমস্যায় আবার আন্দোলন ব্যবহৃত হয়ে মানুষ যদি ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়, তাহলে নেতৃত্বহীন আন্দোলনও সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। এখন অনেক মানুষ স্বপ্রণোদিত হয়ে আজ বিরোধী শিবিরে অবস্থান নিচ্ছে। শেখ হাসিনা অনেক চেষ্টা করেও ঢাকায় সমাবেশকে কমাতে পারেনি। তার স্ট্রং ইমেজ আজ নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। মির্জা ফখরুল বা মির্জা আব্বাস দেখেছেন ঢাকায় কি ঘটেছে। আন্দোলন যে গতিপথ পেয়েছে, তারা তা দেখেছেন। তারা আরো দেখেছেন শেখ হাসিনা মরিয়া হয়ে ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু তাতেও আন্দোলন দমিত হবে না তা আরো বেগবান হবে। অত্যাচারীর খড়গ কৃপণ কি শক্তিশালী হবে, না তা শক্তির বারোটা বাজিয়ে ছাড়বে। কারণ তাতে আমেরিকায় স্যাঙ্কশন দমানোর আর বিশেষ জো নেই। 

এদিকে ইউক্রেনের মধ্যে রাশিয়ার যুদ্ধ ঢাকার সমষ্টিক অর্থনীতিকে আঘাত করেছে। মৌলিক ত্রাণসামগ্রীর বণ্টন ও আপসকামী প্রতিষ্ঠানসমূহের কানে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো নড়বড়ে হয়েছে। অর্থনৈতিক মন্দা এখনো বলা যায় না বিদেশের ঋণের বোঝার কারণে যা শুরু হবে ২০২৪ সালে। তবে যে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে তাহলো এস আলম গ্রুপকে ইসলামী ব্যাংকের গত এক বছরে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার লোন দিয়েছে, যা কাগজকলমে ‘দেউলিয়া’ বা হিসাব নেই। এই অর্থ তার সিঙ্গাপুরে বিনিয়োগ করছে। এই ধরনের ঋণই শ্রীলঙ্কার মতো বাংলাদেশকে অথনৈতিক বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিতে পারে। শেখ হাসিনা কি এই ঋণের সঙ্গে জড়িত। তা যতোই হোক না কেন, আওয়ামী লীগ বিরোধী শিবিরেও হায়েনা সৃষ্টি করেছে। তার কি সহজ মুলোৎপাটন হবে?

ভারতের পত্রপত্রিকায় বাংলাদেশকে রক্ষার কথা এখন সরাসরি আওয়ামী লীগের সমর্থনের মধ্য দিয়ে দান করা যাবে বলে মনে করে না। এক্ষেত্রে জনগণের বিশ্বাস অর্জনই বড় প্রশ্ন।

শেয়ার করুন