২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০৮:২০:৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


চা শ্রমিকদের অধিকারে অসন্তোষ
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৩-০৯-২০২৩
চা শ্রমিকদের অধিকারে অসন্তোষ চা শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে বৈঠক


বাংলাদেশের চা শ্রমিকদের অধিকার পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করতে গিয়ে দেখা গেছে, সামগ্রিকভাবে চা শ্রমিকদের জন্য বিদ্যমান আইনি মানদন্ডের তুলনায় প্রকৃত শ্রমিক অধিকার পরিস্থিতি অসন্তোষজনক। চা বাগানে কর্মসংস্থানের সুযোগ খুবই সীমিত এবং চাকরির নিরাপত্তা সুরক্ষিত নয়।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ-বিলস এর উদ্যোগে ‘চা খাতে নিয়োজিত নারী শ্রমিকদের অধিকার ও শোভন কাজের বিদ্যমান পরিস্থিতি’ শীর্ষক গবেষণার ফলাফলে এসব তথ্য উঠে এসেছে। গত ১২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স  ইউনিটিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ সকল তথ্য প্রকাশ করা হয়। চা শ্রমগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন, চা বাগানে শোভন মজুরি বাস্তবায়ন এবং চা শ্রমিকদের দক্ষতাবৃদ্ধির লক্ষ্যে অক্সফ্যাম-এর সহায়তায় বিলস পরিচালিত “বাংলাদেশে চা শিল্পে নারী শ্রমিকদের ক্ষমতায়ন, শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় সম্প্রতি এই গবেষণা সম্পন্ন হয়। 

গবেষণার উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের নারী চা শ্রমিকদের সামগ্রিক অধিকার পরিস্থিতি চিহ্নিত করা, চা বাগানে নারী শ্রমিকদের শোভন কাজ পরিস্থিতি ও আর্থসামাজিক অবস্থা বিশ্লেষণ, ভ্যালি এবং পঞ্চায়েত কমিটির ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের জ্ঞান ও দক্ষতা মূল্যায়ন এবং নারী চা বাগান শ্রমিকদের অবস্থা সম্পর্কে জাতীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ পরামর্শ গ্রহণ।

গভেষণায় আরো বলা হয় চা শ্রমিকদের ৯৫ ভাগ স্থায়ী এবং পাঁচ ভাগ অস্থায়ী শ্রমিক হিসেবে কাজ করে, শতকরা ৯৭ ভাগ নারী শ্রমিকের কোন নিয়োগপত্র নেই, শতকরা ৮৭ ভাগ শ্রমিকের কোন পরিচয় পত্র নেই, শতকরা ১০ ভাগ নারী শ্রমিক পরিচয় পত্র কি তা জানেন না, শতকরা ১০০ ভাগ শ্রমিক বলেছেন চা বাগানে তাদের কোন সার্ভিস বুক নেই, শতকরা ৪৯ ভাগ শ্রমিক বলেছেন অতিরিক্ত আয়ের জন্য তারা ১ থেকে ২ ঘন্টা ওভারটাইম করেন। 

বিলস ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মজিবুর রহমান ভূঞার সভাপতিত্বে এবং বিলস উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য নইমুল আহসান জুয়েল এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ট্রেড ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিলস উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য কামরুল আহসান, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট এর সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বুলবুল এবং বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের অর্থ সম্পাদক পরেশ কালিন্দী। সূচনা বক্তব্য রাখেন বিলস পরিচালক কোহিনূর মাহমুদ ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন অক্সফাম ইন বাংলাদেশ এর ফেমিনিস্ট লিডারশিপ এন্ড পার্টনারশিপ স্পেশালিষ্ট শাহজাদী বেগম। গবেষণা রিপোর্ট উপস্থাপন করেন বিলস এর উপ-পরিচালক মনিরুল ইসলাম।

বক্তারা বলেন, যেখানে ৫০ ভাগের বেশি নারী শ্রমিক, সেখানে নারী শ্রমিকদের জন্য কোন যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি নেই। চা বাগানের শ্রমিকদের জন্য ভূমি অধিকারের বিষয়টিও পরিষ্কার নয়। সরকার চা বাগানের জমি দিয়েছে চা চাষ করতে কিন্তু দেখা গেছে, সেখানে অন্য ফসলও চাষ করা হয়। এ ছাড়া চা শ্রমিকদের সন্তনদের স্কুলে পাঠানোর যথাযথ উদ্যোগও লক্ষ্য করা যায় না। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন