০৩ মে ২০১২, শুক্রবার, ০১:৫৯:১০ পূর্বাহ্ন


স্টার ফার্নিচারের পঞ্চম শাখার উদ্বোধন ১৭ ফেব্রুয়ারি
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৮-০২-২০২৩
স্টার ফার্নিচারের পঞ্চম শাখার উদ্বোধন ১৭ ফেব্রুয়ারি সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রকি আলিয়ান


প্রবাসে বাংলাদেশি মালিকানাধীন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান স্টার ফার্নিচার। ২০১১ সাল থেকেই স্টার ফার্নিচার প্রবাসে সুনাম, নিষ্ঠা এবং সততার সঙ্গে ব্যবসা করে আসছে এবং বাঙালিদের বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। যে কারণে স্টার ফার্নিচারের জয়যাত্রা অব্যাহত রয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় স্টার ফার্নিচারের পঞ্চম শাখা বাংলাদেশি অধ্যুষিত ব্রুকলিন এবং ওজনপার্কের ১১৭৭ লিবার্টি অ্যাভিনিউয়ে উদ্বোধন হচ্ছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে। গত ৬ জানুয়ারি সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন পার্টি হলে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে স্টার ফার্নিচারের প্রেসিডেন্ট এবং কমিউনিটির পরিচিত মুখ রকি আলিয়ান এ কথা জানান। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্টার ফার্নিচার পরিবারের অংশীদার সাবরিনা খান, আতিক ইকবাল এবং আইরিন সাদিয়া। এছাড়াও স্টার পরিবারকে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। যার মধ্যে ছিলেন এ টি এম হেলালুর রহমান, কামরুল হাসান এবং মাহতাব হোসেন।

লিখিত বক্তব্যে রকি আলিয়ান সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, আমাদের অগ্রযাত্রায় বিভিন্ন মিডিয়ার সহযোগিতা পূর্বেও ছিল, আছে এবং আগামীতেও থাকবে বলে আমাদের বিশ্বাস। সে বিশ্বাসের সঙ্গে নিজেদের শ্রম ও সততা, কমিউনিটির প্রতি দায়বদ্ধতাসহ সব শুভ ইচ্ছার সমন্বয়ে স্টার ফার্নিচারের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে- এমনটাই আমাদের প্রত্যাশা। ‘প্রচারেই প্রসার’ এ প্রবাদ বাক্যটি ব্যবসা পরিচালনা ও অগ্রগতিতে একটি বাস্তব সত্য। সে গুরু দায়িত্বটি আপনারা প্রতিনিয়তই পালন করে যাচ্ছেন বলে আবারও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, আমি রকি আলিয়ান ও আমার পাশে উপস্থিত আছেন স্টার পরিবারের অংশীদাররা। এদের মধ্যে আছেন সাবরিনা খান, আতিক ইকবাল এবং আইরিন সাদিয়া। বাংলাদেশে থাকার কারণে স্টার ফার্নিচারের প্রতিষ্ঠাতা এবং আমার বড় ভাই দুলাল হোসাইন মাল আজ আমাদের মাঝে উপস্থিত হতে পারেননি। কিন্তু বাংলাদেশ থেকেই আপনাদের সালাম এবং ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, আমাদের অর্থ, শ্রম ও উদ্যমী প্রচেষ্টায় এই প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ব্রাঞ্চ সুনামের সাথে এগিয়ে চলছে। স্বল্পমূল্যে গুণগত মানের ফার্নিচার এবং ম্যাট্রেস সবার বাসায় পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে এই পথচলায় আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাদের সবকে আরো একবার জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা।

আপনাদের উপস্থিতিতে একটি সুসংবাদ দিতে চাই, আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি স্টার ফার্নিচারের আরো একটি শাখা উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। বাঙালি অধ্যুষিত ব্রুকলিনের এবং ওজনপার্কের সীমারেখায় এই শাখাটি অবস্থিত (ঠিকানা: 1177 LIBERTY AVENUE, BROOKLYN, NY 11208)। এই শাখাটি নিউইয়র্ক সিটিতে স্টার ফার্নিচারের ৫ম শাখা হতে যাচ্ছে। 

তিনি আরো বলেন, কোভিড-১৯ এর কারণে আমরা অনেক কাছের মানুষদের হারিয়েছি। বিশ্ব অর্থনীতির মন্দাসহ নানা কারণে বহু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কম-বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। সেই পরিস্থিতি কাটিয়ে আমরা এগিয়ে চলার চেষ্টা করছি। আপনাদের সহযোগিতা পেলে আমরা আরো এগিয়ে যাবো। কমিউনিটির সেবায় কাজ করে যাবো সততার সাথে। আপনারা জানেন, নিউইয়র্কের যে কোনো স্থানে স্টার ফার্নিচার বাংলাদেশি ক্রেতাদের সব সময় ফ্রি ডেলিভারি দিয়ে আসছে। ২০১৮ সাল থেকে প্রতিটি শাখায়ই ফাইন্যান্সিংয়ের সুযোগ রাখা হয়েছে। ক্রেতারা চাইলে ফোনেও অর্ডার করারও সুযোগ রয়েছে। আমরা ঈদ সেল, ট্যাক্স রিফান্ডসহ বিভিন্ন দিবসে ‘বিশেষ সেল’ অফার দিয়ে আসছি। ন্যূনতম মূল্যে গুণগত মানের ফার্নিচার এবং ম্যাট্রেস পৌঁছে দিচ্ছি আপনাদের নিজ বাসায় কিংবা বাড়িতে।

নতুন শাখার উদ্বোধন উপলক্ষেও থাকবে বিশেষ অফার। প্রতিটি ফার্নিচার ও ম্যাট্রেসেই থাকবে ২০ শতাংশ ছাড়। নিউইয়র্কের যে কোনো স্থানে, যে কোনো পণ্যের জন্যই ফ্রি ডেলিভারির সুযোগ (যে কোনো অ্যামাউন্ট হতে পারে) এবং প্রতি জন ক্রেতার জন্যই থাকবে বিশেষ উপহার।

তিনি বলেন, অবগত আছেন যে, গ্রাহকসেবার সুবিধার্থে নিউইয়র্ক সিটির বিভিন্ন স্থানে আমাদের শাখাগুলো অবস্থিত, যথাক্রমে- ৭৮-১৪ রোজভেল্ট অ্যাভিনিউ, জ্যাকসন হাইটস। ১৯৩৫ ওয়েস্ট চেস্টার অ্যাভিনিউ, ব্রঙ্কস (পার্কচেস্টার)। ৩৫৮ ইস্ট ২০৪ স্ট্রিট, নর্থ ব্রঙ্কস। ১১৬-১৩ জ্যামাইকা অ্যাভিনিউ, রিচমন্ড হিল।

এছাড়া ৫ম শাখা অর্থাৎ, ১১৭৭ লিবার্টি অ্যাভিনিউস্থ নতুন ব্রাঞ্চটির উদ্বোধন এ মাসেই হচ্ছে। ১৭ ফেব্রুয়ারি বাদ জুমা আপনারা সপরিবারে সবাই আমন্ত্রিত।

তিনি বলেন, কমিউনিটির পথচলায় মিডিয়াকর্মীদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ ও প্রশংসনীয়। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটিকে এগিয়ে নিতে যে নিরন্তর চেষ্টা আপনারা অব্যাহত রেখেছেন, আমার বিশ্বাস আগামী প্রজন্ম শ্রদ্ধার সঙ্গে আপনাদের কথা স্মরণ করবে।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি স্ংাবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমাদের পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৩০ জন মানুষ কাজ করছে। যার মধ্যে বেশির ভাগ হচ্ছে বাংলাদেশি। অন্যদিকে আমাদের ক্রেতাদের মধ্যে ৬০ শতাংশ বাংলাদেশি রয়েছেন। বাংলাদেশি ক্রেতাদের জন্য আমাদের সব সময় ১৫ থেকে ২০ শতাংশ ডিসকাউন্ট থাকে। তাদের কাছ থেকে আমরা মিনিমাম লাভ করি। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের স্টারে প্রায় পাঁচ শতাধিক আইটেম রয়েছে।

শেয়ার করুন