২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ৬:৫৮:১৯ অপরাহ্ন


মিশিগানে দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়েছে নাটক ‘একাত্তর’
মিশিগান প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৯-১০-২০২৩
মিশিগানে দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়েছে নাটক ‘একাত্তর’ একাত্তর নাটকের একটি দৃশ্য


মিশিগানে বাঙালি জাতিগোষ্ঠীর সংস্কৃতি-ইতিহাস-ঐতিহ্য ধরে রাখার পাশাপাশি অ্যামেরিকায় বেড়া ওঠা প্রজন্মের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দেওয়ার প্রত্যয় নিয়ে ‘একাত্তর’ নাটক মঞ্চস্থ করা হয়েছে। 

গত ১৪ অক্টোবর সন্ধ্যায় ক্লাউশন হাইস্কুল মিলনায়তনে নাটকটি মঞ্চস্থ করা হয়। এর আগে একই অনুষ্ঠানে পরিবেশিত হয় নাচ, গান, আবৃত্তি ও ফ্যাশন শো। এছাড়াও ছিল দেশীয় বিভিন্ন খাবার ও পোশাকের স্টল। বিদেশ কানেক্ট নামের একটি সংগঠন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

মিশিগানে বছরজুড়ে বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড লেগেই থাকে। কখনো নৃত্য ও সংগীতানুষ্ঠান, কখনো বসে আবৃত্তির আসর। বাঙালির ঐতিহ্য চর্চায় অনুষ্ঠিত হয় মেলা। তবে এখানে নাটকের মঞ্চায়ন খুব একটা চোখে পড়ে না। দীর্ঘদিন পর নাটক মঞ্চে আসে। এখানকার কর্মব্যস্ত জীবনে এমন লম্বা সময় বের করার সুযোগ সীমিত। তাই নাটকের মঞ্চায়নও এখানে বিরল। তবে প্রবাস জীবনের এই ব্যস্ততার মাঝেও মঞ্চস্থ করা হয় মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক নাটক ‘একাত্তর’। প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের গেরিলা ও বীরঙ্গনা উপন্যাস অবলম্বনে ‘একাত্তর’ নাটকের নাট্যরূপ ও নিদর্শনায় ছিলেন ড. ওমর ফারুক। 

অভিনয় করেন লিসা জামান, সামসুল আলম সরকার, ড. মোস্তাজির রহমান, আফরোজা মিতু, সাইয়েদা মারজিয়া, এঞ্জেলা খন্দকার ও সাদমান। কোরিওগ্রাফি লিজা রায় ও রোদশী। 

নাটকটিতে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে একদিকে বর্বর পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগরে ক্র্যাক প্ল্যাটুনের মুক্তিযোদ্ধাদের সাহসী অভিযান অন্যদিকে রাজারবাগ পুলিশ লাইনের বন্দি বাঙালি নারীদের অকথ্য দৈহিক নির্যাতন ভোগের পাশাপাশি তাদের সংগ্রাম, সাহস, বীরত্ব ও আত্মদানের কথা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

বিদেশ কানেকটের কোঅর্ডিনেটর শামীম শাহিদ বলেন, আমাদের নতুন প্রজন্ম যারা এখনো মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে অবগত না বা দিন দিন তারা সেটি থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তাদের কাছে তুলে ধরার জন্যেই আমাদের এই প্রচেষ্টা।

নাটকটি দেখে দর্শকেরা খুব খুশি। তারা জানান, নাটক দেখার সময় দেশের কথা মনে পড়েছে। আবেগতাড়িত হয়েছেন। শিউরে উঠেছেন। অভিভাবকদের পাশে বসে থাকা বাচ্চাদের বুঝাতে পেরেছেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সংগ্রাম ও ত্যাগের কথা। 

এমন একটি সুন্দর অনুষ্ঠান উপহার দেওয়ার জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান দর্শকরা। মুক্তিযুদ্ধের গৌরবগাথা নতুন প্রজন্মের মাঝে তুলে ধরতে মুক্তিযুদ্ধর এমন অনুষ্ঠান নিয়মিত করার দাবি করেন তারা।

শেয়ার করুন