সরকার পদত্যাগের এক দফার যুগপত আন্দোলনে এনডিএম(জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন) ও বিএনপির মধ্যে ঐক্যমতে হয়েছে।
শুক্রবার গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিকালে ঘন্টাব্যাপী বৈঠকের পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের একথা জানান।
তিনি বলেন, ‘‘ এই সভায় আমরা ঐক্যমতে পৌঁছেছি এক দফা আন্দোলনে যেটা বিএনপিসহ যুগপত আন্দোলনের সকল দলের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে ঘোষণা হয়েছে। আজকে এনডিএম এই এক দফাকে সমর্থন করে এই ফ্যাসিস্ট দখলদার অবৈধ সরকার পতনের আন্দোলনে আমাদের সাথে তারা যোগ দিয়েছে।”
‘‘আগামীতে আমরা যুগপত আন্দোলনের যে কর্মসূচি দেবো সেখানে এনডিএমের কার্যকর ভুমিকা থাকবে এবং তারা ওই কর্মসূচিগুলোতে যোগ দেবে।”
এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেন, ‘‘ আমাদের আজকে আলোচনা হয়েছে পার্টি টু পার্টি এনডিএম ও বিএনপির মধ্যে। বিএনপি যে এক দফা আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন সেখানে আমরা একাত্মতা ঘোষণা করে গত ১৫ জুলাই এক দফা আন্দোলনের ডাক দিয়েছি। আমরা এক সাথে আছি। দাবি আমাদের একটাই এই প্রধানমন্ত্রী, এই নির্বাচন কমিশন ও এই সরকারের অধিনে কোনো নির্বাচন সম্ভব না, আমরা কেউ এই নির্বাচনে যাবো না। আগামী নির্বাচন হতে হবে আন্দোলনের মাধ্যমে আামরা জাতিকে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন দেবো।”
‘‘ আজকের আলোচনায় নতুন নির্বাচনকালীন সরকার কেমন হতে পারে সেটা আমাদের দলের প্রস্তাবনাগুলো আজকে বিএনপির নেতৃবৃন্দের কাছে তুলে দিয়েছি। আজকে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে যে, আমরা এই যুগপত আন্দোলনে মাঠে রাজপথে একসাথে থাকবো। আমরা যুগপত আন্দোলনের কর্মসূচি আলাদাভাবে করব যতক্ষন পর্যন্ত এই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন না হয়।”
একই সঙ্গে বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দির মুক্তি, তারেক রহমান সহ সকল বিরোধী নেতা-কর্মীর মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিও জানান এনডিএম প্রধান।
বৈঠকে এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলের ছিলেন ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হুমায়ুন পারভেজ খান, কেন্দ্রীয় নেতা মমিনুল আমিন, নুরুজ্জমান হিরা, শাহেদুল আজিম।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর সাথে ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু ও যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
