০৩ মে ২০১২, শুক্রবার, ৬:৪২:০৮ অপরাহ্ন


নির্দলীয় সরকারের অধীনে
সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যবস্থা দুর্ভিক্ষ ঠেকাতে আবশ্যক
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ১০-১১-২০২২
সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যবস্থা দুর্ভিক্ষ ঠেকাতে আবশ্যক আজ ১০ নভেম্বর শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষ্যে বিকাল ৪টায় গণফোরাম কেন্দ্রীয় কার্যালয় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়/নিজস্ব ছবি


শহীদ নূর হোসেন দিবসের আলোচনা সভায় গণফোরাম (একাংশ) দাবী করে দলনিরপেক্ষ-নির্দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যবস্থা বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ ঠেকাতে একান্তই আবশ্যক বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন নেতবন্দ।
আজ ১০ নভেম্বর শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষ্যে বিকাল ৪টায় গণফোরাম কেন্দ্রীয় কার্যালয় (ইডেন কমপ্লেক্স২/১-এ, আরামবাগ, ১৬৭ মতিঝিল ইনার সার্কুলার রোড, ঢাকা-১০০০।)-এ গণফোরাম (একাংশ)  সম্পাদক সিনিয়র অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন- আজ ১০ই নভেম্বর শহীদ নূর হোসেন দিবসে শহীদ নূর হোসেনকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি গণতন্ত্রের জন্য সে আত্মত্যাগ করেছিল। স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক এই শ্লোগান বুকে ও পিঠে লিখে যে স্বপ্ন নিয়ে নূর হোসেন শহীদ হয়েছিলেন সেই স্বৈরাচার আজও নিপাত যায়নি, গণতন্ত্রও মুক্তি পায়নি। বর্তমান সরকার যা করছে এইটা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। সব দিক থেকে বাংলাদেশকে ফোকলা করে ফেলেছে।

শিক্ষা-স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে, কোর্ট-কাছারী খাদের কিনারায়, নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস, কোনটা আছে! আমলা ধ্বংস, পুলিশ ধ্বংস সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে। এমন ভাবে সবাইকে ভোগ-বিলাসে গা ভাসাতে বাধ্য করেছে হাজার হাজার লক্ষ কোটি টাকা লুটপাট করেছে। দুর্নীতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে হাইকোর্ট বলছে আগে বস্তায় বস্তায় টাকা দিতো এখন ডলারে লেনদেন হয়।


দেশের অর্থনীতি যতনা যুদ্ধের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের অব্যবস্থাপনার কারণে তারচেয়ে বেশি ধ্বংস হয়েছে। এরা দুর্ভিক্ষ ডেকে আনছে যাতে তাদের ক্ষমতা একটু প্রলম্বিত করা যায়। সরকারের ডেকে আনা দুর্ভিক্ষ রুখতে সচেষ্ট থাকবে গণফোরাম। দলনিরপেক্ষ-নির্দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যবস্থা বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ ঠেকাতে একান্তই আবশ্যক। তাহলেই নূর হোসেনের “স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক” এই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে।

আরও বক্তব্য রাখেন গণফোরাম নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট এ.কে.এম. জগলুল হায়দার আফ্রিক, সভাপতি পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট ফজলুল হক সরকার, আতাউর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব খান ফারুক, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ রওশন ইয়াজদানী, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মো: নাসির হোসেন, সাহিত্য ও সংস্কৃতিক সম্পাদক ও ঢাকা জেলা গণফোরামের সভাপতি আব্দুল হামিদ মিয়া, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম, মহিলা সম্পাদক নিলুফার আহম্মেদ শাপলা,

 ছাত্র সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো: সানজিদ রহমান শুভ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আজম রুপু, কেন্দ্রীয় কিমিটর সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিবুর রহমান বুলু, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহবায়ক এম এ কাদের মার্শাল, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জান্নাতুল মাওয়া, রিয়াদ হোসেন, আনোয়ার ইব্রাহীম, অয়ন আহমেদ সহ ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ, ছাত্র ও যুব ফোরামের নেতৃবৃন্দ।


শেয়ার করুন