২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ১১:২৭:৩৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান ‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়


২৮ অক্টোবর কেনোকিছুই আটকিয়ে রাখতে পারবে না : মির্জা ফখরুল
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৫-১০-২০২৩
২৮ অক্টোবর কেনোকিছুই আটকিয়ে রাখতে পারবে না : মির্জা ফখরুল মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর


২৮ অক্টোবর ঢাকার মহাসমাবেশ ‘কেনো কিছুই আটকিয়ে রাখতে পারবে না’ বলে প্রত্যায় ব্যক্ত করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ২৪ অক্টোবর মঙ্গলবার সকালে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব এই মন্তব্য করেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘‘আমি পরিস্কার করে বলতে চাই, আপনারা যখন লিখবেন-কোনো কিছুই আটকিয়ে রাখতে পারবে না। আওয়ামী লীগের কোনো ভয়-ভীতি, তাদের সভা-সমিতি যতকিছুই করুক, আমাদেরকে এবার রাস্তার মানুষকে তাদের দাবি আদায়ের ক্ষেত্রে কোনো কিছুতে আটকিয়ে রাখতে পারবে না। আপনি গ্রেফতার বলেন, মামলা বলেন, রাত্রি বেলা আদালতে মামলা পরিচালনা বলেন, কোনোটাই আটকিয়ে রাখতে পারবে না। সুতরাং এ ব্যাপারে আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন যে এবারকার আন্দোলন ডিসাইসিং এর দিকে যাচ্ছে এবং সেটা জনগণের বিজয় অনিবার্য।

আপনারাও মহাসমাবেশ করছেন, আওয়ামী লীগও সমাবেশ করবে এতে ঝুঁকির আশঙ্কা করছেন কিনা প্রশ্ন করা হলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ যদি সরকারে থাকে প্রতিটি পদক্ষেপই ঝুঁকিপূর্ণ, এভরি স্টেপ ঝুঁকিপূর্ণ- ঝুঁকি চিন্তা করলে তো কোনো লাভ নেই। মানুষ এখন জেগে উঠছে, মানুষ জেগে উঠে তার দাবি (একদফা) আদায়ে বদ্ধপরিকর। একটা পর একটা আন্দোলন করে মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। তখন আওয়ামী লীগের এই কর্মসূচি শান্তির নামে অশান্তি সৃষ্টি করা। আপনারা দেখেন শান্তি ও উন্নয়ন- এই যে শান্তি ও উন্নয়ন-এটার নাম করে সম্পূর্ণ অশান্তি আর গোটা দেশকে পেছন দিকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া, ফেইল্ড স্টেটে পরিণত করা এই কাজটা তারা করছে, সুচারু রূপে করে যাচ্ছে।”

বিএনপি নয়া পল্টনে সমাবেশ ডেকেছে, শাপলা চত্বরে জামায়াত ডেকেছে, বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেইটে আওয়ামী লীগ ডেকেছে- এতো কোন কিছু আশঙ্কা করছেন কিনা প্রশ্ন করা বলে তিনি বলেন, ‘‘আমরা একদফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যেই একটা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দিয়েছি। অন্যান্য দলগুলোর তো অধিকার আছে সভা-সমাবেশ করার। আওয়ামী লীগের অধিকার আছে তারা তাদের কর্মসূচি করতে পারে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে, জামায়াতে ইসলামী করতে পারে, অন্যান্য দলগুলো করতে পারে, গণতন্ত্র মঞ্চ তারা যুগপত আন্দোলনে আছেন তারাও সেইদিন ডেকেছে, প্রায় ৩৪টা দল ডেকেছেন। সুতরাং এটা পার্ট অব ইট, এটা গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অংশ। এটা তো একটা দলের বিষয় না, সমগ্র জনগণের বিষয়। সেই কারণে মনে করতে হবে যে, আমরা বলি যে, আরেকটা মুক্তিযুদ্ধ যেটা বার বার আমরা বলছি যে, এবারকার সংগ্রাম হচ্ছে আমাদের মুক্তির সংগ্রাম।”

‘একতরফা নির্বাচন পরিকল্পনা’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই যে বলছে নির্বাচন হবে, অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে এবং সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন- এসব কথা বলে তারা জনগণকে এবং বিশ্বজনমতকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। মূল বিষয়টা হচ্ছে যে, তাদের যে কাজ, যে অ্যাক্টিভিটিজগুলো এটা সম্পূর্ণভাবে বিপরীত। তারা পুরোপুরিভাবে ত্রাস, সন্ত্রাস করে এখন থেকেই তারা গোটা দেশে একটা ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে যাতে নির্বাচনের আর কোনো পরিবেশ না থাকে এবং বিরোধী দল অংশগ্রহণ না করতে পারে ও ভোটাররাও যাতে ভোট দিতে না যায় তার ব্যবস্থাটা তারা করে ফেলেছে। আর ভোট বাক্স কিভাবে ভরবে সেই ব্যবস্থা তারা করে ফেলেছে অর্থাৎ সামনে আসন্ন নির্বাচনটা তারা সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আবারো তারা ক্ষমতায় আসবে- এই পরিকল্পনা তারা নিয়েছে এবং সেই ব্যবস্থায় তারা এগুচ্ছে।”

গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হয়। এতে গত ১৩ অক্টোবর কুমিল্লায় হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের মিছিলে সংঘটিত হামলার তদন্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। বিএনপির স্থায়ী কমিটি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই ঘটনায় দলের ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলুর নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তারা গত ১৭ অক্টোবর সরজমিনে ঘটনাস্থলে সকলের সঙ্গে কথা বলে তদন্ত প্রতিবেদন দলের কাছে প্রদান করে। প্রতিবেদন এই ঘটনার জন্য স্থানীয় সাংসদ একে এম বাহাউদ্দিন বাহারসহ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা জড়িত বলে উল্লেখ করা হয়।

‘কুমিল্লা ঘটনায় স্থানীয় সাংসদসহ ছাত্রলীগ জড়িত’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘প্রতিবেদন যেটা উপস্থাপন হয়েছে যা শুনলেন, পত্র-পত্রিকায় মিডিয়াতে যে সমস্ত সংবাদ এসেছে সব কিছু মিলিয়ে এটা প্রমাণিত যে, কুমিল্লায় আক্রমণটা হয়েছে সেটা আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য বাহাউদ্দিন বাহার তার নির্দেশে আওয়ামী লীগের নেতা এবং ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা চালিয়েছেন। এই কথা আমরা বার বার বলেছি যে, নতুন কথা কিছু বলা নেই। এখানে যেকেনো সন্ত্রাসের ঘটনায় মূলত নেতৃত্ব দেয় আওয়ামী লীগ। কারণ তারা একটা সন্ত্রাসী দল, তারা প্রথম থেকেই সন্ত্রাস করে এসেছে, সন্ত্রাস করে তারা টিকে আছে। বার বার সন্ত্রাস করা, সন্ত্রাস করে ক্ষমতায় আসা এবং টিকে থাকার চেষ্টা করা- এটা তাদের চরিত্র। এখনো তারা সেই সন্ত্রাস করছ, সারাদেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে।”

সংবাদ সম্মেলনে দলের ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও যুব দলের সহ আইন বিষয়ক সম্পাদক নুরে আলম সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন