৩০ এপ্রিল ২০১২, মঙ্গলবার, ১০:১৪:১৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
যুক্তরাষ্ট্রে এবার বন্দুকধারীর গুলিতে তিন আইনশৃংলাবাহিনীর সদস্য নিহত ‘বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের প্রতিভা বিকাশে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা রাখা যাবে না’ সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে দরিদ্রমুক্ত দেশ গড়ে উঠবে - আসাদুজ্জামান খান কামাল ৭০ শতাংশ মৃত্যু অসংক্রামক রোগে, বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি ‘বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনে ব্যবস্থা নিন’ ভূল স্বীকার করে সরে দাড়ানোয় একজনের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার বাফেলোতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত ‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ


বেরসিক বৃষ্টি হানায় নিষ্ফলা পরিসমাপ্তি ক্রিকেট মহারণ
সালেক সুফী
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৩-০৯-২০২৩
বেরসিক বৃষ্টি হানায় নিষ্ফলা পরিসমাপ্তি ক্রিকেট মহারণ রবীন্দ্র জাদেজাকে আউটের পর শাহীন আফ্রিদী/ছবি সংগৃহীত


পাকিস্তান ভারতের পরম কাঙ্খিত ক্রিকেট মহারণ বেরসিক বৃষ্টি হানায় নিস্ফলা শেষ হয়েছে। শ্রীলংকার শৈল শহর ক্যান্ডির পাল্লেকেলেতে টস জয় করে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ভারত। পাকিস্তানের উঁচু মার্গের পেস বোলিং মোকাবিলায় শুরুতেই তীব্র চাপের মুখে পড়েছিল। শাহীন শাহ আফ্রিদির গতি এবং সুইং এবং এর সাথে হারিস রউফের প্রচন্ড গতির শিকার হয়ে স্বল্প পূজিতেই ফিরেছিল রোহিত শর্মা (১১) , বিরাট কোহলি (৪) ,শুভমন গিল (১০) এবং স্রেস আইয়ার (১৪) ।  ১৪.১ ওভারে ৬৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে যখন ধুঁকছে ভারত, তখন দুই তরুণ ঈশান কিষান ( ৮২) এবং হার্দিক পান্ডিয়া (৮৭) পঞ্চম উইকেটে প্রতি আক্রমণ করে ১৩৮ রান জুড়ে দেয়ার পর ম্যাচে ফিরে আবারো ইনিংস গুটিয়ে দিলো শাহীন আফ্রিদি (৪/৩৫) , নাসিম শাহ ( ৩/৩৬) এবং হারিস রউফ (৩/৫৮) । ২৬৬ রানে শেষ হলো ভারতের ইনিংস।


ভারত ইনিংসে কয়েকবার বৃষ্টি বিঘ্ন ঘটালেও ইনিংস শেষে মুসল ধারার বৃষ্টি এসে খেলাটির নিষ্ফলা পরিসমাপ্তি ঘটালো। পয়েন্ট ভাগাভাগি হওয়ায় পাকিস্তান টুর্নামেন্টে প্রথম দল হিসাবে গ্রুপ অফ ফোরে উন্নীত হলো। ভারত কাল ৪ সেপ্টেম্বর নেপালের সাথে খেলে হয়তো পৌঁছে যাবে লক্ষ্য মঞ্জিলে।  
পাকিস্তানের বিশ্বসেরা পেস আক্রমনের বিরুদ্ধে ভারতের বিশ্ব সেরা ব্যাটসম্যানদের মল্লযুদ্ধ দেখার অপেক্ষায় থাকা ক্রিকেট বিশ্ব কাল দেখেছে তুখোড় লড়াই। রোহিত ,কোহলি ,স্রেস আয়ার বা শুভমন গিলকে যেভাবে আফ্রিদি এবং হারিস ফিরিয়েছে সেই বলগুলো নিঃসন্দেহে ক্রিকেট প্রেমীদের তৃপ্তি দিয়েছে। আফ্রিদি যে বল দুটিতে রোহিত এবং ভিরাটের উইকেট ভেঙে দেয়, সে দুটি ছিল চোখ চেয়ে দেখার মত।  পাশাপাশি ক্রমাগত তীব্র গতিতে (১৪৫+ / ঘন্টা ) বোলিং করে হারিস ফিরিয়ে দেয় আয়ার এবং গিলকে। ৬৬ রানে ৪ উইকেট হারানো ভারত ইনিংস যখন গুটিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তখন রুখে দাঁড়ায় দুই মেধাবী তরুণ ঈশান কিষান ( ৮২) আর হার্দিক পান্ডিয়া (৮৭) । বলতেই হবে পাকিস্তানের স্পিনার শাদাব খান ( ০/৫৭) এবং মোহাম্মদ নেওয়াজ ( ০/৫৫) দলের আক্রমণের ধারা বজায় রাখতে পারে নি। ফিল্ডিং ভালো হয় নি। ভারতের পঞ্চম উইকেট জুটি ১৩৮ রান করে বিশাল স্কোর গোড়ার পর্যায়ে আক্রমণে ফিরে এসে হারিস রউফ , শাহীন আফ্রিদি এবং নাসিম শাহ আবারো ধস নামায়।


ভারত ৬২ রানে শেষ ৬ উইকেট হারালে ২৬৬ রানে শেষ হয় ইনিংস। ভারত ইনিংসে পান্ডিয়া ৯০ বলে সাতটি চার এবং একটি ছয় দিয়ে ৮৭ রান এবং ঈশান ৮১ বলে নয়টি চার আর দুটি ছয়ে ৮২ রান করে ১৩৮ রান জুড়ে না দিলে ভারত ইনিংস মুখ থুবড়ে পড়তো। তবে পাকিস্তান বোলাররা ইনিংসের শুরুতে এবং শেষে যেভাবে তান্ডব চালিয়েছে তা থেকে অনুমান করা যায় দলদুটির  টুর্নামেন্টে আগামীর খেলাগুলো তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা পূর্ণ হবে। পাকিস্তান হয়তো একজন বাড়তি পেস বোলিং অলরাউন্ডার যুক্ত করবে। ভারত হয়তো ব্যাটিং নিয়ে ভাববে।  
বৃষ্টি আসি আসি করেও ভারত ইনিংসে খুব একটা বাগড়া দেয় নি। কিন্তু ইনিংস বিরতিতে শুরু হওয়া বৃষ্টি খেলাটির নিস্ফলা পরিসমাপ্তি ঘটানোয় ক্রিকেট


প্রেমিকরা উপভোগ্য খেলা দেখতে বঞ্চিত হয়। খেলা হলে ম্যাচটি উভয় দলের জন্যই উন্মুক্ত ছিল।
দেখা যেত ফ্লাড লাইটের নিচে ভারত বোলিং পাকিস্তানের মেধাবী ব্যাটিং লাইন আপের বিরুদ্ধে ২৬৭ রানের লক্ষ প্রতিরক্ষা করতে পারে কিনা। যাহোক অমীমাংসিত ফলাফলের কারণে উভয় দল পয়েন্ট ভাগাভাগি করে পাকিস্তান পৌঁছে যায় গ্রুপ অফ ফোরে।  ভারতের অপেক্ষা নেপালের বিরুদ্ধে ৪ সেপ্টেম্বর খেলা ম্যাচটির। এই টুর্নামেন্টে আরো দুবার না হলেও অন্তত একবার দুটি দল আবারো মুখোমুখী হবে। দেখার অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করবে কোটি কোটি ক্রিকেট অনুরাগী।

শেয়ার করুন