২৯ মার্চ ২০১২, শুক্রবার, ৬:০১:০৮ অপরাহ্ন


ঈদ আনন্দ রঙ অনিন্দ্য : সুন্দর সফল অনুষ্ঠান
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১২-০৫-২০২২
ঈদ আনন্দ রঙ অনিন্দ্য : সুন্দর সফল অনুষ্ঠান অনুষ্ঠানে কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ


রকি আরিয়ান। কমিউনিটির অত্যন্ত পরিচিম মুখ। একজন সফল ব্যবসায়ী। একজন সুদর্শন উপস্থাপক। উপস্থাপক বললে অনেকটা ভুল হবে। তিনি আসলে একের মধ্যে অনেক। বলা যায় তারই পরিকল্পনা, রচনা এবং সঞ্চালনায় পুরো ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান- ঈদ আনন্দ রঙ। নামটিও দিয়েছেন চমত্কার। যেন নাম ঠিক তেমনই কর্ম। অনিন্দ্য সুন্দর একটি ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান। কয়েক বছর ধরেই তিনি এককভাবে অনুষ্ঠানটি করছেন। মাঝে দুই বছর করোনার হানা। প্রকৃতির কাছে মানুষ অসহায়। যুদ্ধ করে সব কিছু জয় করা যায় কিন্তু প্রকৃতির সাথে যুদ্ধ করে জয়ী হওয়া যায় না। মানুষের আত্মসমর্পণ একমাত্র প্রকৃতির কাছে। প্রকৃতির গতিবিধি পরিবর্তন হয়। সেই সাথে মানুষের। করোনা চলে গেল, মানুষ তার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এলো। তবে পুরোপুর নয়, এখনো করোনা উঁকি মারে, হুমকি দেয়। ভাগ্য ভাল এই হুমকি জীবননাশের নয়, যা ছিলো দুই বছর আগেও। যে কারণে মানুষ আগের মতোই। রকি আরিয়ানও একজন মানুষ। তবে সাধারণ নয়, অসাধারণ একজন মানুষ। যার চিন্তা-চেতনা- মনন অন্য মানুষের চেয়ে ভিন্ন।

যেমন চিন্তা, তেমন কাজ। কমিউনিটিতে বহু অনুষ্ঠান হয়। বলতে গেলে চর্বিত চর্বণ। একের অনুকরণে আরেকজনের নদীপাড়ের চেষ্টা। তাও আবার অন্যের পকেটের দিকে তাকিয়ে। সেদিক থেকে রকি আরিয়ান অনন্য। তিনি নিজেই স্বয়ংসম্পূর্ণ। আগেই বলেছি তিনি ভিন্ন সবকিছুতে। যে কারণে নিজের গাঁটের অর্থ খরচ করে অনুষ্ঠান করেছেন। তাও নিয়মিত কোন অনুষ্ঠান নয়, গড্ডালিকা প্রবাহে তিনি নিজেইে ভাসিয়ে দেননি। অন্যরকম এক ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান উপহার দিয়েছেন। অনুষ্ঠানটি গত ৮ মে সন্ধ্যায় উডসাইডের কুইন্স প্যালেসে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠান শুরুর আগেই কানায় কানায় ভর্তি অডিটোরিয়াম, যা সাধারণত প্রবাসে দেখা যায় না। তার মাজেজা বোঝা গেল অনুষ্ঠান শুরুর পর। কী মঞ্চ, কী পরিকল্পনা, কী উপস্থাপনা। তিন ঘণ্টার একটি অনুষ্ঠানে রকি আরিয়ানের গুণে ধরা সমাজের বাস্তব চিত্র, অনিয়ম, দুর্নীতি উঠে আসে। ছিলো সমাজনীতি, রাজনীতি, বাংলা শিল্প-সাহিত্য এবং সংস্কৃতির ওপর নানাদিক। আরো ছিলো টকশো, আড্ডা, নাচ, গান এবং সংবাদ পরিবেশনা। মানুষ হাসানো চাট্টিখানি কথা নয়, সেই সাথে সমাজের অনিয়মগুলো আগুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়া। সেই কাজটিই করেছেন রকি আরিয়ান। মানুষ হাসিয়েছেন, অনিয়ম তুলে ধরেছেন, করোনায় দুই নম্বরী পথে যারা আয় করেছেন তাদেরও খোঁচা দিয়েছেন। অনিয়মগুলো দূর হবে কি না রকি আরিয়ান জানেন না, তবে তিনি তার দায়িত্ব পালন করেছেন। শুধরানোর দায়িত্ব তার যিনি ভুল করেছেন। সাদা মানুষ হিসেবে কালো দিকগুলো উপস্থাপনা করেছেন রকি আরিয়ান। পুরো অনুষ্ঠানটি এতো চমত্কার ছিলো যে মানুষ ঠায় বসেছিলেন শেষ পর্যন্ত। জয়তু রবি আরিয়ান।

শুরু করেছেন মা দিবসে বিশ্বের সকল মাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে। মায়েদের নিয়ে তার মূল্যায়ন ছিলো এককথায় অসাধারণ। বাংলাদেশের ঐতিহ্য বেদ-বেদেনীদের জীবনে তুলে ধরেছেন চন্দন চৌধুরী ও তৃনিয়া হাসানের গানের মাধ্যমে। বাংলার ঐতিহ্যের প্রতিটি সাংস্কৃতিক ক্ষেত্র রকি আরিয়ান উপস্থান করেছে। স্মরলিপির নৃত্য পরিবেশনা চমত্কার হয়েছে। ডালিয়া চৌধুরী ও উদীপা চৌধুরীর নেতৃত্বে ফোক সংগীতকে উপস্থাপন করা হয় নৃত্য। মা দিবসে একজনের অনুভ‚তি তুলে ধরেন মুনমুন হাসিনা বারি। ফকির লালন শাহ’র জনপ্রিয় গান পরিবেশন করে শিল্পী রোকসানা মির্জা। দর্শকদের অংশগ্রহণে পুরোনো বাংলা চলচ্চিত্র নিয়ে আয়োজন করা হয় ভিন্ন ধরনের একটি অনুষ্ঠান, যা দর্শকদের আনন্দ দিয়েছে। রকি আরিয়ান মূলধারায় বাংলাদেশিদের জয়যাত্রা নিয়ে কথা বলেন। বাংলাদেশিরা এগিয়ে যাচ্ছে এবং যাবে। তারই সূত্রে গোল্ডেন এজ হোম কেয়ারের শাহনেওয়াজের নির্বাচনের কথা উপস্থাপন করেন। সবার প্রতি অনুরোধ করেন তাকে ভোট দেয়ার জন্য। তৃনিয়া হাসান নিজের গাওয়া সংগীত পরিবেশন করেন। শামীম সিদ্দিকী পরিবেশন করেন মায়ের গান। কয়েকটি গান পরিবেশন করেন জেরিন মাইশা। এ ছাড়াও পরিবেশন করা হয় সংবাদ। প্রতিনিধি ছিলেন ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেটের।

পুরো অনুষ্ঠানটি দর্শকরা প্রাণ ভরে উপভোগ করেছেন। এই অনুষ্ঠানটি তাদের হৃদয় আলোড়িত করবে দীর্ঘদিন।

শেয়ার করুন