০৩ মে ২০১২, শুক্রবার, ০৪:২৭:৫০ পূর্বাহ্ন


প্রতিমন্ত্রী মর্যাদার হুইপ হলেন মাশরাফিসহ ৫
নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৪-০১-২০২৪
প্রতিমন্ত্রী মর্যাদার হুইপ হলেন মাশরাফিসহ ৫ মাশরাফি বিন মুর্তজা


২০১৮ সালে সংসদ সদস্য হওয়ার পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি হওয়ার ক্ষেত্রে মাশরাফির নামটা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ প্রচারিত হয়। ভক্তকুল থেকেই মাশরাফির বিসিবি সভাপতি হওয়া এবং ক্রিকেটকে উচ্চপর্যায় নিয়ে যেতে তার বিকল্প নেই বলে অনেকের মত। কিন্তু মাশরাফি নড়াইলের এমপি হিসেবেই পাঁচ বছর কাটানোর পর দ্বিতীয় দফায় যখন আবারও সংসদ সদস্য হলেন, তখন আবারও সেই বিসিবি সভাপতি পদে মাশরাফি চাই- স্লোগান। এমনকি বর্তমান সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ক্রীড়ামন্ত্রী হওয়ার পর ওই পদে এখনো অনেকেই মাশরাফিকে যোগ্য হিসেবে তুলে ধরার আপ্রাণ চেষ্টা। এ ব্যাপারে পাপনের কাছে প্রশ্নও আসে সাংবাদিকদের কাছ থেকে। মাশরাফিকেও এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান দেন, এটা বললেই হয় না, একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে হতে হয়। 

সব ছাড়িয়ে সেই মাশরাফি এবার জাতীয় সংসদের হুইপ হয়েছেন। আর হুইপ মানে প্রতিমন্ত্রী পর্যদার। যা কি না বিসিবি সভাপতির চেয়েও এক দাফ এগিয়ে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদে সরকারি দলের হুইপ পদে মাশরাফি বিন মুর্তজাসহ আরো দু’জন নতুন মুখ এসেছে। তারা হচ্ছেন, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের এমপি নজরুল ইসলাম বাবু ও কক্সবাজার-৩ আসনের এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল। জাতীয় সংসদ সচিবালয় সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে। এ ব্যাপারে রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে চিফ হুইপসহ সরকারদলীয় হুইপদের নিয়োগ দেওয়া হতে পারে। এরপর সংসদ সচিবালয় সেই নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করবে। 

 এর আগে গত ১০ জানুয়ারি সংসদ সদস্যদের শপথের দিন সরকার দল থেকে জানানো হয়েছিল চিফ হুইপ পদে নূর-ই আলম চৌধুরী লিটনই বহাল থাকছেন। এছাড়া বর্তমান সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম ও আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনও বহাল থাকছেন একই পদে। জানা গেছে, চিফ হুইপসহ হুইপ নিয়োগের ফাইল ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পাঠানো হয়েছে। সেখানে সম্মতি মিললে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে পাঠানো হবে। এরপরই সংসদ সচিবালয় তার গেজেট প্রকাশ করবে। যেহেতু প্রধানমন্ত্রীর দফতরে ফাইল, তাহলে প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা ব্যতিরেকে এটা হওয়ার কথা না। ফলে মাশরাফির হুইপ হওয়াটা অনেকটাই নিশ্চিত বলে ধারণা করা যেতেই পারে। 

মন্ত্রী পদমর্যাদায় চিফ হুইপ, প্রতিমন্ত্রী মর্যাদায় হুইপ 

ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স অনুযায়ী, চিফ হুইপ ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতার পদটি একজন পূর্ণ মন্ত্রীর পদমর্যাদার। এতে বিরোধীদলীয় নেতা একজন পূর্ণ মন্ত্রীর সমান সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন। তিনি একান্ত সচিব (পিএস), একজন সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস), দু’জন ব্যক্তিগত কর্মকর্তা, একজন বাহক, দু’জন অফিস সহায়ক ও একজন পাচক পান। 

এছাড়া আটজন পুলিশ সদস্য, দু’জন গানম্যান সুবিধা দেওয়া হয় তাকে। গাড়ির সুবিধাও পেয়ে থাকেন বিরোধীদলীয় নেতা। মন্ত্রীদের মতো বিরোধীদলীয় নেতা সরকারি বাসা পেয়ে থাকেন। সেই বাসার যাবতীয় খরচ সরকার বহন করে। এছাড়া হুইপ একজন প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদার। ফলে মাশরাফি হুইপ পদ লাভ করলে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা ভোগ করবেন।

শেয়ার করুন