উন্নত বিশ্ব জলবায়ু বিপর্যয়ের জন্য আরো বেশি দায়ী, তাই তাদেরকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। তাহলে আমরা জলবায়ু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবো। নর্দার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, ইকোবাংলা ইয়ুথ অর্গানাইজেশন, রিসার্চ এন্ড পাবলিকেশন ক্লাব ও ইনস্টিটিউট অব ওয়েলবীইং বাংলাদেশ এর সম্মিলিত উদ্যোগে একটি আলোচনা সভার এসব বকবতব্য উঠে আসে।
নর্দার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর শিক্ষার্থী মিস নোভার সঞ্চালনায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উক্ত ইউনিভার্সিটির মানবিক ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক, রেজিস্ট্রার কমান্ডার মোঃ মোস্তফা শহীদ (অব.), প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. লে. কর্নেল (অব.) সরদার মাহমুদ হোসেন, উপাচার্য অধ্যাপক ডঃ (ইঞ্জিনিয়ার) মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, ইনস্টিটিউট অব ওয়েলবীইং বাংলাদেশ এর নীতি সহায়তা কর্মকর্তা তালুকদার রিফাত পাশা এবং এই আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট এর পরিচালক গাউস পিয়ারী। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন ইনস্টিটিউট অব ওয়েলবীইং বাংলাদেশ এর কমিনিকেশন অফিসার মাহামুদুল হাসান। আলোচনা সভার পাশাপাশি প্রাণ-প্রকৃতি ও বনৌষধি গাছ সম্পর্কে সচেতনতার লক্ষ্যে ভেষজ উদ্ভিদ বিষয়ে কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় এবং প্লাস্টিক ব্যবহারকে নিরুৎসাহিতকরণে কুইজ বিজয়ীদেরকে পুরষ্কার হিসেবে দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহার উপযোগী মেটাল বোতল প্রদান করা হয়।
নর্দার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. (ইঞ্জিনিয়ার) মো: মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, জলবায়ু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হলে আমাদেরকে শুধুমাত্র সভা সেমিনারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে হবে না। তরুণদেরকে উদ্ভুদ্ধ হতে হবে এবং স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজে এগিয়ে আসতে হবে। এক্ষেত্রে জলবায়ু বিপর্যয় কেন হচ্ছে, এ বিষয়টিকে তরুণদেরই গভীরভাবে গবেষণা করতে হবে এবং উপযুক্ত পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
অধ্যাপক ড. লে. কর্নেল (অব.) সরদার মাহমুদ হোসেন নর্দার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর উপ-উপাচার্য বলেন, ব্যক্তি পর্যায় থেকে সচেতন না হলে কোনোভাবেই জলবায়ু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। আমাদের কিছু বদ অভ্যাসগুলো বর্জন করতে হবে। প্লাস্টিকের মত ক্ষতিকর বিষয়গুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবন থেকে বাদ দিতে হবে। উন্নত বিশ্ব জলবায়ু বিপর্যয়ের জন্য আরো বেশি দায়ী, তাই তাদেরকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। তাহলে আমরা জলবায়ু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবো।
সমাপনী বক্তব্যে ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট ও ইনস্টিটিউট অব ওয়েলবীইং বাংলাদেশ এর পরিচালক গাউস পিয়ারী বলেন, বিশ্বের যে কয়েকটি দেশ জলবায়ু বিপর্যয় প্রভাবের ফলে সবচেয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হবার সম্ভাবনা আছে এর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বিগত দুই দশকে বাংলাদেশে জলবায়ু বিপর্যয়ের প্রভাব অনেক পরিলক্ষিত হয়েছে। জলবায়ু বিপর্যয়ের প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী যেমন: নারী, শিশু, বৃদ্ধ, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, অতিদরিদ্র শ্রেণী ও আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মানুষেরা। তাই জলবায়ু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হলে আমাদের বৈশ্বিক আচরণে পরিবর্তন আনতে হবে, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
উক্ত আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন নর্দার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর বিভিন্ন ফ্যাকাল্টির সদস্যরা, ইকোবাংলা ইয়ুথ অর্গানাইজেশনের প্রতিনিধিরা।