২১ মে ২০১২, মঙ্গলবার, ০৯:১৬:০৪ পূর্বাহ্ন


কমিউনিটি সেবায় অনবদ্য অবদান
বিশেষ সম্মানে ভূষিত হলেন ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৯-০৮-২০২৩
বিশেষ সম্মানে ভূষিত হলেন ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার মেয়র এরিক অ্যাডামসের কাছ থেকে অ্যাওয়ার্ড নিচ্ছেন ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার


কমিউনিটি সেবায় অনবদ্য অবদানের জন্য আবারও সম্মানিত হলেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছে পরিচিত মুখ, সুসময় ও দুঃসময়ের বন্ধু, মূলধারার রাজনীতিবিদ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এবং জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির সভাপতি ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার। কংগ্রেশনাল, নিউইয়র্ক স্টেট গভর্নর, নিউইয়র্ক সিটি মেয়র, কুইন্স বরো প্রেসিডেন্ট, অ্যাসেম্বলি সিটি কাউন্সিলসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অবদানের স্বীকৃতির ধারাবাহিকতায় এবার তাকে সম্মানিত করে স্বীকৃতি দিয়েছে নিউইয়র্ক স্টেটের অ্যাসেম্বলি ডিস্ট্রিক ২৯।

কমিউনিটি সেবায় বিশেষ অবদানের জন্য নিউইয়র্ক স্টেটের অ্যাসেম্বলি ডিস্ট্রিক ২৯-এর নির্বাচিত সদস্য অ্যালিসা এল হ্যাইন্সম্যান তরুণ সংগঠক, আলোকিত- পরোপকারী ও সমাজসেবী ফখরুল ইসলাম দেলোয়ারকে প্রক্লেমেশন প্রদানের মাধ্যমে সম্মানিত করেন।

সম্প্রতি এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে অ্যালিসা হ্যাইন্সম্যান সংশ্লিষ্ট কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে প্রক্লেমেশন হস্তান্তর করেন। নিউইয়র্কের অন্যতম সফল সামাজিক সংগঠন জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান সভাপতি ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার কিশোর বয়সে প্রবাস জীবন শুরুর পর থেকেই কমিউনিটির সেবার জন্য নিজেকে নিবেদিত করেন। ঐক্যবদ্ধ কমিউনিটি প্রতিষ্ঠায় নিউইয়র্ক সিটির কুইন্স বরোর বাংলাদেশি অধ্যুষিত জ্যামাইকার কিশোর থেকে শুরু করেন সর্বস্তরের প্রবাসী বাংলাদেশিদের ফ্রেন্ডস সোসাইটির পতাকাতলে একত্রিত করেছেন। ২০০০ সালে ফ্রেন্ডস সোসাইটি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে নিউইয়র্কের তৎকালীন সামাজিক প্রেক্ষাপটে অস্থির এক সময়ের স্রোতের বিরুদ্ধে অবিরাম সংগ্রাম করেই এগিয়েছেন ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার ও তার সাথীরা। সেসব এখন ইতিহাস। আর ইতিহাসের পথ ধরেই জ্যামাইকার ‘ছোট কমিউনিটি বড়’ করতে অবদান রেখে চলেছে তারই প্রতিষ্ঠিত ফ্রেন্ডস সোসাইটি। উল্লেখ্য, জ্যামাইকার বাংলাদেশি কমিউনিটি গড়ার মূল কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টার-জেএমসি। মূলত এই সেন্টার ঘিরেই জ্যামাইকায় গড়ে উঠেছে বিশাল বাংলাদেশি মুসলিম কমিউনিটি, বাংলাদেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আর জনপদ।

ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার শুধু জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা বা বর্তমান সভাপতিই নন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিম কমিউনিটির অন্যতম বৃহৎ প্রতিষ্ঠান জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টার-জেএমসির পরিচালনা কমিটির জয়েন সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। মূলধারার রাজনীতির পাশাপাশি দায়িত্ব পালন করেছেন কমিউনিটি বোর্ড মেম্বার থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের বৃহৎ সংগঠন-এবিবিএ, যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রবাসী সিলেটবাসীর আমব্রেলা সংগঠন জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন অব আমেরিকা, যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রবাসী বিয়ানীবাজারবাসীর ঐক্যের প্রতীক বাংলাদেশ বিয়ানীবাজার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সমিতিসহ বিভিন্ন সংগঠনের শীর্ষ পদেও দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও নিউইয়র্কের গভর্নর কর্তৃক গ্রেটার জ্যামাইকা ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টে উপদেষ্টা হিসেবে এবং ২০২০ সালে অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্রের আদমশুমারি প্রজেক্টেও বিশেষ দায়িত্ব পালন করেন।

ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার তার সামাজিক কর্মকান্ডে অনন্য অবদানের জন্য চলতি বছর নিউইয়র্ক সিটি মেয়রের বাসায় প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মেয়র এরিক অ্যাডাম কর্তৃক সম্মানিত হয়েছেন। পেয়েছেন ইউএস কংগ্রেসওম্যান গ্রেস মেং, স্টেট সিনেটর জন লু, স্টেট অ্যাসেম্বলিম্যান ডেভিড ওয়েপ্রিন ও সিটি কাউন্সিলম্যান জেমস জিনারোসহ বিশিষ্ট রাজনীতিক ও জনপ্রতিনিধিদের বিশেষ সম্মাননা। সেই পথ ধরেই তিনি আবারও সম্মানিত হলেন নিউইয়র্কের অ্যাসেম্বলি ডিস্ট্রিক ২৯ থেকে।

সম্মাননা ও স্বীকৃতিপ্রাপ্তি প্রসঙ্গে ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার বলেন, স্বীকৃতি, পুরস্কার বা সম্মাননার জন্য কখনো সামাজিক কাজে নিজেকে নিবেদিত করিনি। যতটুকু করতে পেরেছি বা পারছি তা মানুষের প্রতি ভ্রাতৃত্ববোধ, সামাজিক দায়িত্ববোধ ও ভালো লাগা থেকে করছি। তবুও কোনো পুরস্কার, স্বীকৃতি ও সম্মাননা পেলে ভবিষ্যতে সামাজিক কর্মকান্ডে নিজেকে নিবেদিত করতে আরো উৎসাহিত হই, অনুপ্রাণিত হই। তবে আমার সবচেয়ে বড় পুরস্কার হচ্ছে কমিউনিটির অগণিত মানুষের নিরেট ভালোবাসা। যা যে কোনো পুরস্কারের চেয়ে বেশি মূল্যবান। কিশোর বয়স থেকে যে সেবামূলক কাজ শুরু করেছি, আমৃত্যু তা করে যেতে চাই। কমিউনিটির প্রতিটি মানুষের সুখে দুঃখের সঙ্গী হয়ে পাশে থাকতে চাই।

শেয়ার করুন