২৫ অক্টোবর ২০২৫, শনিবার, ১০:৪৮:৩০ পূর্বাহ্ন


২৩ অক্টোবর মামলার শুনানি
বিয়ানীবাজারবাসীর সংবাদ সম্মেলনে ভোটার নিবন্ধনে কারচুপির অভিযোগ
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২২-১০-২০২৫
বিয়ানীবাজারবাসীর সংবাদ সম্মেলনে ভোটার নিবন্ধনে কারচুপির অভিযোগ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ময়নুল হোসেন


বিয়ানীবাজার সমিতির আসন্ন নির্বাচনে ভোটার তালিকা নিবন্ধনে ব্যাপক অনিয়ম ও নির্বাচন কমিশনের অসহযোগীতার প্রতিবাদে গত ১৯ অক্টোবর ওজনপার্কের একটি পার্টি হলে যুক্তরাষ্ট্রস্থ বিয়ানীবাজারবাসির পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন রফিক উদ্দীন তোতা। সঞ্চলনা করেন আব্দুল কুদ্দুস টিটো। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ময়নুল হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিয়ানীবাজার সমিতির সাবেক সভাপতি বুরহান উদ্দীন কপিল, আজিজুর রহমান সাবু, ময়নুজ্জামান চৌধুরী, নুরুল ইসলাম খান, শরফ উদ্দিনও গৌছ উদ্দিন খান।

লিখিত বক্তব্যে বিয়ানীবাজার উপজেলার বাইর থেকেও পুরুষ/মহিলাদের ভোটার নিবন্ধনের কথা উল্লেখ করা হয়। অসৎ উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে একই ভোটার ভিন্ন ভিন্ন ঠিকানা পরিবর্তন করে শত শত ভুয়া ভোটার নিবন্ধন করা হয়েছে। সে সঙ্গে কার্যকরি পরিষদ কর্তৃক প্রণীত ভোটার তালিকায় ভোটার নম্বর নির্বাচন কমিশন কর্তৃক পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে। কার্যকরি পরিষদ ও নির্বাচন কমিশন থেকে প্রাপ্ত ভোটার তালিকা পর্যবেক্ষণ করে নানা অনিয়ম, ভুয়া ভোটার অন্তর্ভুক্তিসহ ভুলভ্রান্তি ধরা পড়ার সঙ্গে উভয় তালিকায় ব্যাপক পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয় বলে উল্লেখ করা হয়। ভোটার তালিকায় ডাবল, ট্রিপল, মালটিপল, জেনারেল সদস্য, সিনিয়র সদস্যদের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে ১১ও ১৫ সেপ্টেম্বর দুটি আবেদন করে সদুত্তর পাননি। পরবর্তী সময়ে ১৭ সেপ্টেম্বর কমিশন বরাবর পোস্টাল মারফতে ৩য় আবেদন সদুত্তর পেতে ব্যর্থ হলে সুবিচারের প্রার্থনায় আইনের আশ্রয় নেওয়া হয়।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয় ভোটার তালিকা পর্যালোচনায় প্রতিয়মান হয় যে জেনারেল ভোটার, সিনিয়র ভোটারের ভুয়া অন্তর্ভুক্তি, ভোটার তালিকায় জেন্ডার/ লিংগ পরিবর্তনসহ নানা অনিয়ম ও কারসাজিতে সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও রুহুল-অপু প্যানেলের সম্পাদক পদ প্রার্থীর সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। লিখিত বক্তব্যে ভোটার তালিকায় অনিয়মের বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ফখরুল ইসলামকে অবগত করা হয়। তিনি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানের পৌঁছাতে পারেননি বলে উল্লেখ করা হয়। লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করা হয় আলোচনা ও পরামর্শ ব্যাতিরেকে বাতিলকৃত উপদেষ্টাদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন পরামর্শ গ্রহণ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে আয়োজকরা বলেন, নির্ভুল ও সুষ্ঠু ভোটার তালিকা প্রণয়নপূর্বক নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনের নিকট থেকে কোনো ধরনের সহযোগিতা না পেয়ে আদালতের শরণাপন্ন হতে বাধ্য হই এবং সুষ্ঠু ভোটার তালিকা প্রণয়নে আবেদন করি। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২৩ অক্টোবর।

শেয়ার করুন