০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ১০:২৯:৩২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
স্ন্যাপ সুবিধা ফিরলেও কঠোর নিয়মে বিপাকে ৪০ মিলিয়ন মানুষ মসজিদে ধারাবাহিক হামলা, উদ্বেগে মুসলিম সম্প্রদায় ফেব্রুয়ারি ১ থেকে রিয়েল আইডি ছাড়া বিমানযাত্রায় লাগবে ৪৫ ডলারের ফি নিউইয়র্কে শীতকালে ঘর গরম রাখার জন্য এনার্জি সহায়তার আবেদন শুরু দারিদ্র্যপীড়িত দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের ১৯ দেশের গ্রিনকার্ডধারীদের পুনর্মূল্যায়ন শুরু তারেকের ‘ফেরা ইস্যু’ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে চেষ্টা বিডিআর বিদ্রোহের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কমিশন রিপোর্টে তোলপাড় রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ মর্যাদায় খালেদা জিয়া ১১ মাসে ২৮ জন বাংলাদেশী ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী কর্তৃক নিহত হয়েছে


অবরোধের দ্বিতীয় দিনের সুচনাও সেই প্রথম দিনের মতই
নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ০১-১১-২০২৩
অবরোধের দ্বিতীয় দিনের সুচনাও সেই প্রথম দিনের মতই প্রথম দিনেও রুহুল কবির রিজভী ঝটিকা মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন। দ্বিতীয় দিনেও কোনো এক স্থানে এভাবে বসে প্রতিবাদ করতে দেখা যাচ্ছে/ছবি বিএনপি মিডিয়া সেলে এর সৌজন্য


অবরোধের প্রথম দিনের মত দ্বিতীয় দিনও ফাঁকা দেশের প্রধান সড়কগুলো। যাত্রীর অভাবে ঢাকার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালগুলো থেকে তেমন বাস ছেড়ে যেতে পারছে না। গাবতলীতে কোনো যাত্রীই আসছে না বলে জানিয়েছে বিবিসি। আজ দ্বিতীয় দিনের সকালে বিসিসির রিপোর্টে বলা হয়, গাবতলীর কাউন্টারগুলো ছিল ফাকা। মানুষ নেই বললেই চলে। এতে করে অধিকাংশ কাউন্টার বন্ধ রাখার উপক্রম। সরকার সমার্থকরা কাউন্টারগুলো খোলা রাখার কথা বললেও পরিবহনগুলোর টিকেট বিক্রেতারা জানায়, যাত্রী নেই, কাউন্টার খোলা রেখে কী করবো।


সাভারে নারায়নগঞ্চ সহ মহাসড়কগুলোরও একই চিত্র বলে জানা গেছে। কিছু স্বল্প সংখ্যক যানবাহন চলছে। তাতে বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরতগন যাতায়াত করছে। রাজধানীতে নিজস্ব গাড়ী বের করার প্রবণতা একেবারেই নেই। তবে সরকারি প্রতিষ্ঠানের গাড়ী এবং সরকারী প্রতিষ্ঠানে পরিবহন করা কর্মচারী বাসগুলোকে সকালে চলাচল করতে দেখা গেছে। রাস্তায় খুব একটা মানুষ নেই। ফলে এতে করে ঢাকা থেকে সড়ক, নৌ পথে চলাচল করা যানবাহন পরিচালনায় তেমন উদ্যোগ নেই। তবে কমলাপুর থেকে রেলগুলো যথাসময় ছেড়ে যাচ্ছে। যদিও সেখানে যাত্রী সংখ্যা সীমিত।

বিএনপির ডাকা অবরোধের দ্বিতীয় দিনের এমন চিত্র দেখা গেছে। এ অবরোধে জামায়াত ছাড়াও আরো বেশ কিছু দল এতে সমার্থন দিয়েছে। এবং মাঠেও তারা সক্রিয়। তবে ধারনা করা হচ্ছে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এসব রাজনৈতিক দলের কর্মকান্ড পূর্বদিনের মত বাড়বে। প্রথম দিনেও ঠিক এমন অবস্থা পরিলক্ষিত হয়।

এদিকে প্রথম দিনে দেশের প্রতিটা জেলারই চিত্র ছিল অনেকটাই একইরকম। যেখানে অভ্যন্তরীন রুটে স্বল্প বাস, সিএনজি,অটো এগুলো চলাচল করেছে। কিন্তু দুরপাল্লার বাস বা পরিবহন ছিল একেবারেই বন্ধ। সব স্থান থেকেই খবর পাওয়া গেছে পরিবহন পরিচালনার ইচ্ছে থাকলেও যাত্রীর অভাবে সেটা চালাতে ব্যর্থ হয়েছিলেন তারা। একইভাবে রাস্তায় পিকেটিংয়ের ভয়ে যাত্রীরাও পরিবহন ব্যাবহারে হচ্ছেন নিরুৎসাহিত।

তবে রাস্তায় আইনশৃংখলাবাহিনীর উপস্থিতি ব্যাপক পরিলক্ষিত হয়েছে। অবরোধ আহ্বানকারী দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের প্রথম দিনের মত দ্বিতীয় দিনের সকালেও তেমন উপস্থিতির কথা খবর পাওয়া যায়নি।

শেয়ার করুন