১৫ অক্টোবর ২০১২, মঙ্গলবার, ০৯:১৮:৩৯ অপরাহ্ন


ট্রাভিস হেডের ১৩৭ - ভারত পরাস্ত ৬ উইকেটে
ভারতকে কাঁদিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৯-১১-২০২৩
ভারতকে কাঁদিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া


অস্ট্রেলিয়া মানেই ক্রিকেটের শ্রেষ্টত্বটা তাদেরই। যেখানে যে টুর্নামেন্টই হোক না কেন, হারতেই যেন যানে না তারা। ভারতে অনুষ্টিত এবারের আসরেও সুচনা ভাল হয়নি। এক সময় সেমিফাইনালে উঠতেই অনেক হিসেব নিকেষ কষতে হয়। কিন্তু সেমিতে উঠে যেন পেছনটা ভুলে যান তারা। এরপর মিশন শিরোপার। বাস্তবেও করে দেখালেন তারা। জিতেছে তারা ২০২৩ সনের আইসিসি’র মেগা আসর বিশ্বকাপ। আগামী চার বছর বিশ্বচ্যাম্পিয়নের খেতাব তাদের দখলে। 

আসলে হাইভোল্টেজ ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের পেশাদারিত্বের কাছেই নত হতে হলো ভারতকে। নিজ মাঠে,বিশ্বসেরা হওয়ার ম্যাচ। গোটা টুর্নামেন্টে যে চাপটা অনুভব করেনি,ফাইনালে সেটা যেন কয়েকগুনে বৃদ্ধি পেয়ে পেয়ে বসেছিল রুহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের উপর। এতে ফাইনালের স্বাভাবিক ম্যাচটি খেলতে পারেনি। সারাক্ষনই টেনশনে থেকে হেরে যেত হলো স্বাগতিকদের। আহমেদাবাদের এ বিশাল স্টেডিয়ামের ৯৯% ভারতেরই ছিল সাপোর্টার। সম্ভবত তাদের প্রত্যাশার চাপটা যেন সহ্য হয়নি এদিন রুহিতদের। 

এটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না যে, ভারত এ আসরের সবচে বাজে ম্যাচ উপহার দিয়ে প্রথমবার পরাস্ত হলো। যাতে ফসকে গেল বিশ্বকাপ ট্রফি জয়ের সুযোগ। জিতে যায় অজিরা এ ম্যাচ স্বাভাবিক নৈপুন্য প্রদর্শন করেই। এতে বিশ্বকাপের ৬ষ্ট বারের মত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে তারা ৬ উইকেটে ভারতকে হারিয়ে। 

প্রথম ব্যাটিং করে ভারত ২৪০ রান করেছিল অলআউট হয়ে। শেষ বলে হারায় তারা শেষ উইকেট। এরপর খেলতে নামা অস্ট্রেলিয়া সুচনায় তিন উইকেট হারালেও ট্রাভিস হেডের দুর্দান্ত সেঞ্চুরী ও লাবুশেন এর দ্বায়িত্বপূর্ণ ব্যাটিংয়ে জিতে যায় ম্যাচ,৪২ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটে। হেড ১৩৭ রান করে আউট হন দল যখন জয় থেকে ২ রান দুরে। এরপর ম্যাক্সওয়েল খেলতে নেমে প্রথম বলেই দুইরান নিয়ে জয়ের উল্লাস মেতে ওঠেন তারা। 

সর্বশেষ ২০১৫ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। পরের আসরে সেই নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ইংল্যান্ড। এবার আবারও জয়ের ধারায় ফিরলো অস্ট্রেলিয়া। 


শেয়ার করুন