০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ০৯:৫০:১১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
স্ন্যাপ সুবিধা ফিরলেও কঠোর নিয়মে বিপাকে ৪০ মিলিয়ন মানুষ মসজিদে ধারাবাহিক হামলা, উদ্বেগে মুসলিম সম্প্রদায় ফেব্রুয়ারি ১ থেকে রিয়েল আইডি ছাড়া বিমানযাত্রায় লাগবে ৪৫ ডলারের ফি নিউইয়র্কে শীতকালে ঘর গরম রাখার জন্য এনার্জি সহায়তার আবেদন শুরু দারিদ্র্যপীড়িত দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের ১৯ দেশের গ্রিনকার্ডধারীদের পুনর্মূল্যায়ন শুরু তারেকের ‘ফেরা ইস্যু’ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে চেষ্টা বিডিআর বিদ্রোহের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কমিশন রিপোর্টে তোলপাড় রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ মর্যাদায় খালেদা জিয়া ১১ মাসে ২৮ জন বাংলাদেশী ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী কর্তৃক নিহত হয়েছে


আ.লীগ মনোনীত প্রার্থীদের অনেকেই দোটানায়
সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৯-১১-২০২৩
আ.লীগ মনোনীত প্রার্থীদের অনেকেই দোটানায়


দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য লড়াইতে নামা আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীদের অনেকেরই মন ভালো নেই। একদিকে তারা পুরোপুরি জয়লাভের ভরসা পাচ্ছে না। আবার মনোনীত হয়ে বিজয়ের পরপরই ভবিষ্যতে নানান ঝক্কি-ঝামেলার কথা চিন্তা করে লড়াইয়ের মাঠ থেকে সরে দাঁড়াতেও পরছে না। নানা দোটানায় আছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লড়াইতে নামা আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থীরা। 

২৯৮টি আসনে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। ইতোমধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ২৯৮টি আসনে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা পর মনোনয়ন চিঠি বিতরণ করছে আওয়ামী লীগ। গত সোমবার (২৭ নভেম্বর) দুপুর ১২টা থেকে দলটির সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়। এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে. আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীরা অনেক কাঠ খড় পুড়িয়ে নমিনেশনের জন্য দৌড়-ঝাঁপ মারলেও এখন সে-ই সোনার হরিন পেয়ে দুশ্চিতা পেয়ে বসেছে তাদের। 

নিষেধাজ্ঞা এলে কি হবে?

আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীদের মাথায় প্রথমেই ঘুরপাক খাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া নিষেধাজ্ঞা। গুরুতর মানবাধিকার লংঘনমূলক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরের বাংলাদেশের বিশেষ পুলিশ র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) এবং এর ছয়জন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তারপর থেকেই বাংলাদেশের রাজনীতিকে সব হিসাব-নিকাশ উলট-পালট হতে থাকে। কেননা এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে একটি প্রতিবেশী দেশের সর্ব্বোচ চেষ্টার পরও এনিয়ে কোনো কুলকিনারা পায়নি আওয়ামী লীগ। দলটির শীর্ষ পর্যায় থেকে স্বীকারও করে নেয়া হয় যে তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক দেয়া নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য লবিংও করেছে। কিন্তু কাজ হয়নি। 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক ভিসা নিষেধাজ্ঞা

বাংলাদেশের বিশেষ পুলিশ র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) এবং এর ছয়জন কর্মকর্তার ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্র্তৃক নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টির কোনো ধরনের সুরাহা না হতেই খড়গ নেমে আছে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি ঘোষণা। কিন্তু অবাক করা কাণ্ড হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি ঘোষণার প্রায় চার মাসের মাথায় ভিসা নীতি প্রয়োগের ঘোষণা কথা জানান যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। তার পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে ভিসা নীতির আওতায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দলের সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। 

আছে আর্ন্তজাতিক মানবাধিকার সংগঠনের উদ্বেগ

আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীদের মাথায় আরো ঘুরপাক খাচ্ছে বাংলাদেশে তাদের সরকারের আমলে মানবাধিকার সংগঠনের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। কেননা ২০২১ সালের ডিসেম্বরের বাংলাদেশের বিশেষ পুলিশ র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) এবং এর ছয়জন কর্মকর্তার ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পেছনে ভূমিকা রেখেছে গুরুতর মানবাধিকার লংঘনমূলক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর পর এটি প্রত্যাহারতো দূরে থাক বরং একের পর এক আন্তর্জাতিক সংগঠন বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে চরমভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিবৃতি দিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। সম্প্রতি জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থার পর্যালোচনায় বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতিতে ১১০টি দেশের তুলে ধরা সুপারিশমালা চূড়ান্ত করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ৩০১টি সুপারিশ প্রতিবেদন আকারে ইউপিআর সভায় উপস্থাপন করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ এসব সুপারিশ পর্যালোচনা করে তার সিদ্ধান্ত আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় মানবাধিকার পরিষদের ৫৫তম অধিবেশনের আগেই জানিয়ে দেবে। জেনেভায় অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির বিষয়ে সর্বজনীন নিয়মিত পর্যালোচনার (ইউনিভার্সাল পিরিয়ডিক রিভিউ-ইউপিআর) চতুর্থ চক্রে এসব সুপারিশ এসেছে। এগুলোর মধ্যে আছে বহুল আলোচিত গুমবিষয়ক সনদ ও নির্যাতনবিরোধী সনদের অতিরিক্ত চুক্তি অনুমোদন, গুমের ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও স্বচ্ছ তদন্ত, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সদস্যদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগের স্বাধীন তদন্ত এবং দোষীদের বিচার ও সাজার ব্যবস্থা করা। অন্যদিকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের এক যৌথ প্রস্তাবে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতিতে গভীর উদ্বেগ জানানো হয়েছে। নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার চর্চার বিষয়ে আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুসরণের আহ্বান জানানো হয়েছে সে-ই প্রস্তাবে। এর পাশাপাশি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা, মানবাধিকারকর্মী ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের কাজের নিরাপদ ও অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করার বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরা হয়েছে। ইউরোপীয় পার্লামেন্টের মধ্য ডানপন্থী, সোশ্যাল ডেমোক্র্যাাট, বামপন্থীসহ সাতটি গ্রুপ এই প্রস্তাব আনে। সম্প্রতি ফ্রান্সের স্ত্রাসবুর্গে প্রস্তাব নিয়ে পার্লামেন্ট অধিবেশনের বিতর্কে ছয় সদস্য অংশ নেন।

সর্বশেষ বিবৃতি

মানবাধিকার সংগঠনের উদ্বেগ উৎকন্ঠার সর্বশেষটি প্রকাশিত হয়েছে গত ২৭ নভেম্বর সোমবার বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে। এতে বলা হয় আগামী বছরের ৭ জানুয়ারির সাধারণ নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ দেশটির বিরোধী নেতা-কর্মী-সমর্থকদের লক্ষ্যবস্তু করছে। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) গত ২৬ নভেম্বর রোববার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলেছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের নিরপেক্ষভাবে সহিংসতার সব ঘটনার তদন্ত করা উচিত। এর মধ্যে এমন সব ঘটনাও আছে, যে ক্ষেত্রে এক পক্ষ অন্য পক্ষকে দোষারোপ করেছে। এতে বলা হয়, গত ২৮ অক্টোবর প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) একটি পূর্বঘোষিত সমাবেশের পর থেকে প্রায় ১০ হাজার বিরোধী নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চলমান সহিংসতায় পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ কমপক্ষে ১৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ। 

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের পক্ষ থেকে সবচেয়ে কঠোর ও উল্লেখযোগ্য বক্তব্যটি হচ্ছে যে সেখানে এশিয়াবিষয়ক জ্যেষ্ঠ গবেষক জুলিয়া ব্লেকনারই বলে ফেলেছেন। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ সরকার কূটনৈতিক অংশীজনদের কাছে দাবি করছে, তারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কিন্তু একই সঙ্গে দেশটির রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক বিরোধীদের দিয়ে কারাগার ভরছে। জুলিয়া ব্লেকনার আরও বলেন, বাংলাদেশের কূটনৈতিক অংশীজনদের এ বিষয় স্পষ্ট করা উচিত, সরকারের কর্তৃত্ববাদী দমন-পীড়ন ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক সহযোগিতাকে বিপন্ন করবে।

আছে অংশ গ্রহণমূলক নির্বাচনের চাপ

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক নিষেধাজ্ঞা আরোপের অব্যাহত হুমকির পাশাপাশি ভিসা নীতি প্রয়োগের ঘোষণার পর থেকে বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনের উদ্বেগ যেমন আছে, তেমনি রয়েছে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের চাপ। দেখা গেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপের পরপর অন্যান্য পশ্চিমারাও একের পর এক বাংলাদেশে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দাবি করে আসছে। তাদের দাবি বাংলাদেশে কটি অবাধ নিরপেক্ষ সুষ্ঠু অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। এমন কি পশ্চিমাদের বড় বলয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেখতে চায়। তারাতো বিএনপি’কে ছাড়া অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন মানবে না বলেই বেশ কয়েকবার বলে ফেলেছে। 

এমন পরিস্থিতিতে মনোনীত প্রার্থীরা কি ভাবছে

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এমন পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীদের মন মোটেই ভালো নেই বলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লড়াইতে নামতে মনোনীত ২৯৮টি আসনে দলীয় প্রার্থীদের বেশ কয়েকজনের সাথে দেশ প্রতিনিধির একান্তে কথা হয়। তাদের বক্তব্যও হচ্ছে তারা এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এমন হাড্ডাহাড্ডি পরিবেশের তৈরি হবে সে-টি তারা ভুলেও ভাবেনি। এখন তাদের ভাবিয়ে তুলছে যখন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হওয়া ঠেকাতে বিকল্প (ডামি) প্রার্থী রাখার পরামর্শ দিয়েছেন খোদ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আবার তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থীদের চাপ প্রয়োগ না করতেও আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের নির্দেশও দিয়েছেন যা নিয়ে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীরা বেকায়দা পড়েছেন। একজন আওয়ামী লীগ নেতা এই প্রতিনিধিকে জানান যে, শেখ হাসিনা বলেছেন, ভোটে কারও মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যেতে পারে। ফলে কোনো আসনে প্রার্থী শূন্য হয়ে পড়তে পারে বা আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছাড়া অন্য কেউ থাকবে না। এ ক্ষেত্রে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হওয়ার সুযোগ তৈরি হবে। তিনি তা চান না। দেশ প্রতিনিধিকে এই বিষয়টির প্রতি দৃষ্টি দিয়ে আওয়ামী লীগের মনোনীত বেশ কয়েকজন প্রার্থী বলেন, বিষয়টি বড়োই বিব্রতকর তাদের জন্য। কারণ তারাতো ভেবেছে মনোনয়ন পাওয়া মানেইতো নির্বাচিত হয়েই গেছেন। কিন্তু বাস্তবতো অনেক কঠিন। আওয়ামী লীগের একজন নেতা দেশ প্রতিনিধির সাথে আলাপ কালে বলেন, এমন পরিস্থিতিতে মনোনয়ন না পাওয়াই ভালো ছিল। এই কাতারেরর নেতার আরো প্রশ্ন আবার কেননই বা প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল গত ২৭ নভেম্বর সোমবার একথা বলেছেন? তিনি বলেছেন, ‘আমাদের নির্বাচনে কিন্তু বাহির থেকেও থাবা, হাত এসে পড়েছে। তারা থাবা বিস্তার করে রেখেছে।’ দেশের অর্থনীতি, ভবিষ্যৎসহ অনেক কিছু রক্ষা করতে হলে আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে হবে। আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীদের মনে এমন বক্তব্য রহস্যের সৃষ্টি করেছে। তাদের বেশ কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা গেলো ভিন্ন অবস্থা। তাদরে মতে, টালমাটাল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে মনোনয়ন পেয়ে জয়ী অবস্থানই বা কতদিন স্থায়িত্ব পায় তা নিয়েও তাদের শঙ্কার শেষ নেই। তাদের আশঙ্কা পশ্চিমাদের চাপে শেষমেষ কি বিএনপি’র সময়ে হওয়া ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির মতো নির্বাচন হবে না-তো? বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর বর্জনের মুখে একতরফা এবং বিতর্কিত সাধারণ নির্বাচনের একটি ছিলো ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ৬ষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। অবশ্য সেটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রচলনের আন্দোলনের পটভূমিতে। আওয়ামী লীগ নেতাদের মনে প্রশ্ন হচ্ছে এমন ক্ষণস্থায়ী নির্বাচনে তারা কি বলির পাঠা হচ্ছে? অন্যদিকে বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করতে লাগাতারভাবে সোচ্চার আছেন বিশ্বের অনেক প্রভাশালী দেশ ও সংগঠন। বিশেষ করে বাংলাদেশের পরিস্থিতি কড়া নজরদারিতে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। এমন অবস্থায় আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীদের মন আসলেই ভালো নেই, তারা আছে দোটনায়-এমনটাই বিশ্লেষণ করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকমহল।

শেয়ার করুন