২১ মে ২০১২, মঙ্গলবার, ০২:০৩:০২ অপরাহ্ন


ইশতিয়াক আজীজ উলফাৎ বললেন
২৬ মার্চ শাখারি বাজারে হিন্দু ভাইদের মরদেহ দেখে মনে হলো আমরা আর পাকিস্তান নেই
সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৭-০৩-২০২৪
২৬ মার্চ শাখারি বাজারে হিন্দু ভাইদের মরদেহ দেখে মনে হলো আমরা আর পাকিস্তান নেই ইশতিয়াক আজীজ উলফাৎ


রক্তাত্ত শিশুর লাশ, সদরঘাট প্রাঙ্গণে লাশ আর লাশ অন্যদিকে শাখারি বাজারে আগুনের লেলিহান শিখায় পুড়ে যাওয়া হিন্দু ভাইদের মরদেহ দেখে মনে হলো আমরা আর পাকিস্তান নেই। সেদিন থেকে আমরা বাংলাদেশ হয়ে গেছি। কিভাবে আমরা হবো বাংলাদেশ সেটা পরের কথা কিন্তু আমরা যে আর পাকিন্তান নেই তা স্পস্ট হয়ে গেলো।

এভাবে ১৯৭১ সালের স্মৃতিচারণ করলেন মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজীজ (উলফাৎ)। এই অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধা ইশতিয়াক আজীজ (উলফাৎ) তার স্বচক্ষে দেখা ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ এর ঘটনা তুলে ধরেছেন আমেরিকা থেকে প্রকাশিত পাঠকপ্রিয় দেশ পত্রিকার কাছে। এটি তুলে ধরা হলো দেশ পত্রিকার পাঠকদের জন্য। 

মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজীজ (উলফাৎ)। পিতা মরহুম আজিজ সামাদ। আর মাতা মরহুম সাদেকা সামাদ। ইশতিয়াক আজীজ উলফাৎ একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭১ মহান মুক্তিযুদ্ধের ২নং সেক্টরের একজন প্রখ্যাত আরবান গেরিলা যোদ্ধা (ক্র্যাক প্লাটুনের অন্যতম সদস্য)। তিনি মুক্তিযুদ্ধে ঢাকা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অপারেশনের নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করেন। তার চার ভাই মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তারমধ্যে জ্যেষ্ঠভ্রাতা স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ হন। শহীদ লে. আশফাকুস-সামাদ ১৯৭১ সালে রংপুর জেলার ভূরঙ্গমারীতে পাকিস্তান আর্মির রিরুদ্ধে সন্মুখযুদ্ধে শহীদ হন। তাঁকে বাংলাদেশ সরকার বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত করেন। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করার কারণে ইশতিয়াক আজিজ উলফাতকে গ্রেফতার করতে এসে পাকবাহিনী তাঁকে না পেয়ে তাঁর বাবা আজিজুস-সামাদকে গ্রেফতার করে নিয়ে ১৭ দিন আটকে রেখে অকথ্য নির্যাতন করেন।

ইশতিয়াক আজীজ (উলফাৎ) শুরু করলেন ঠিক এভাবে..

১৯৭১ সাল। যুদ্ধের আগে ওটাকে গন্ডগোলের বছরই বলতাম। রাজনৈতিক গন্ডগোল বলতাম। কিন্তু যুদ্ধ শুরু হয়ে যাবার পর থেকে আমরা ওটাকে আর গন্ডগোলের বছর বলার সুযোগ নেই। অনেকেই বলে আরে ওটাতো গন্ডগোলের মাস। আসলে এটা ঠিক না। কারণ যুদ্ধতো শুরু হয়ে যায় ২৬ মার্চ। আসলে ১৯৭১ সালের পুরো মার্চ মাসটা ছিল একটা উত্তাল মাস, উত্তপ্ত মাস। পুরো মার্চ মাসে আমরা বাংলাদেশের ফ্লাগ বানিয়ে আমরা বাংলাদেশের জনগণের কাছে পৌঁছে দিতাম। ১৯৭১ সালের ১ তারিখ থেকে ২৫ তারিখ পর্যন্তই এগুলা বিলি করেই চলেছি। এর মধ্যে কিন্তু অনেকগুলা ঘটনা ঘটে গেছে। ৩ মার্চ একটা ঘটনা ঘটে গেলো। ৭ মার্চ একটা ঘটনা ঘটে গেলো। ওইদিন শেখ মুজিবুর রহমান বক্তৃতা করলেন। এরপর তিনি ইয়াহিয়া খানের সাথে কথা বলতে শুরু করলেন। তার এই কথা বলা নিয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলেন, এর অগ্রসর কি? মানে ফলাফল কি? উনি রেগে গিয়ে বললেন, অগ্রসর হচ্ছে না? তো আমি কি খামাখা বসে আছি? ঘোড়ার ঘাস খাচ্ছি আমি? অবশ্যই আমার অগ্রগতি আছে। এরপর ১৯ মার্চ একটা ঘটনা ঘটে গেলো। গাজিপুরে। লেবাররা সেখানে একটা অসহযোগিতা করছিল। পাকিস্তান আর্মিরা এসময় তাদের ওপর গুলি চালাতে বলে। কিন্তু সেখানে বাঙালি অফিসাররা তা মানেনি। মানে তারা গুলি চালাতে অস্বীকৃতি জানায়। তো যুদ্ধের হাভভাব আসলে ১৯ তারিখ থেকে শুরু হয়ে গেছে। আমরা যারা রাজনীতির বাইরে ছিলাম বললে ভুল হবে, সরাসরি যারা রাজনীতি করি না তাদের মধ্যে কিন্তু একটা ধারণা বদ্ধমূল ছিল যে একটা কিছু হতে চলেছে। যুদ্ধ হবে.. যদি পাকিস্তানীরা আমাদের সাথে বিশ্বাসঘাতকা করে। এর মধ্যে শুনতে পেলাম ভুট্টো আসবে, দাবি নিয়ে দরকষাকষি করছে। এমনকি শুনতে পেলাম শেখ মুজিবুর রহমানকে অফার দিচ্ছে ‘তুমি পূর্ব পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট হবে’ আর ‘আমি পশ্চিম পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ’হবো। তখন আওয়ামী লীগ সেটা মানবে না। মানে বাঙাালীরা সে-টা মানবে না। কারণ আমরা ভোটে বেশি। জিতেছি আমরা। তাই আমাদেরই সরকার গঠন করতে দিতে হবে। কিন্তু ভুট্টোর কথা বার্তায় কেমন জানি একটা দৃষ্টতা লক্ষ্য করছিলাম। একটা চালাকি ভাব বা ছুলচাতুরিরতা আভাস লক্ষ্য করলাম। এটা আমরা সাধারণরা ঠিকই বুঝতে পারছিলাম। আর এরই মধ্যে যখন আলাপ আলোচনার পথ ভেঙ্গে গোলো তখন একটা ক্রাইসিস ক্রাইসিস ভাব লক্ষ্য করলাম। কি হতে যাচ্ছে বা কি হতে পারে ..আমরা বুঝতে পরাছি না। ২৫ তারিখ রাতে এমনটাই মনে হচ্ছিল। 

হঠাৎ শুনতে পেলাম আর্মি বেরিয়ে পড়েছে..

আমার বাসাটা আর কে মিলন রোডে। সে সময়ের ইত্তেফাক অফিসের একটা বাড়ির পরেই। ২/১ আর কে মিশন রোড। আমাদের বাসার উল্টো দিকে ছিল দেশবন্ধু মিষ্টান্ন ভান্ডার। সেসময় এটার অনেক সুনাম ছিল। তাদের ভাজি পরোটা আমাদের সবার প্রিয় ছিল। এখনো ৫০ বছর পরেও এই দেশবন্ধু মিষ্টান্ন ভান্ডারের কথা সবাই বলে। ইত্তেফাক অফিস হওয়ার কারণে অই জায়গাটার আলাদা একটা গুরুত্ব ছিল। কোথায় কি হচ্ছে ওখানে থেকে সবাই পেয়ে যেতো। তো ২৫ তারিখ রাতে প্রায় চার-পাঁচ হাজার জনতা ইত্তেফাক চত্বরে অবস্থান করছিলাম। আমরা সেখানে অপেক্ষা করছিলাম, শুনতে চাইছিলাম কি ঘটেছে বা ঘটতে যাচ্ছে। হঠাৎ জনতার মধ্য থেকে শুনতে পেলাম পাকিস্তান আর্মি ক্যান্টনমেন্ট থেকে বেরিয়ে পড়েছে, তারা গুলি চালাচ্ছে। এখবরে সেখানে উপস্থিত জনতার ভীড় আস্তে আস্তে কমতে থাকলো। আর আমার বাড়িই তো সেখানে। তাই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছিলাম দেখি কি হয়। 

হঠাৎ দেখি আকাশে সবুজ..

হঠাৎ দেখি আকাশে সবুজ একটা আলো বাজির মতো হবে সেটিকে উড়তে দেখলাম। এখন এই বয়সে বুঝতে পারি ওটা একটা সিগন্যাল। ফ্লের গান দিয়ে সেটা আকাশে ছোড়া হয়। এটার মাধ্যমে ওদের আর্মিদের ইনফরমেশান দেয়া হলো ‘অপারেশন একটা শুরু হয়ে গেছে’। পরে আমরা জানি যে এটা অপারেশন সার্চ লাইট। সেটা ছিল আমি সেদিন ইত্তেফাক অফিসের সামনে যেদিকে দাঁড়িয়ে ছিলাম তার পশ্চিম দিকে। ওই সময় আরেকটা প্লের উঠলো যেটা অনুমান করছিলাম কমলাপুর রেল স্টেশনের আশে পাশে পাশে থেকে। ওটা ছিল রাজারবাগ পুলিশ স্টেশনের পাশে ওই ফ্লেরটা উঠলো। 

উনি বললেন তোমরা গুলি নিয়ে কি করছো?

আমরা পুরো মার্চ মাসে দুটো পয়েন্ট টু-টু, একটা গাদা বন্দুক (বাবা পাখি শিকার করতো) আর একটা রিভলভার যোগাড় করেছিলাম। আমরা এগুলি নিয়ে রাত এগারটায় দৌড়ে গেলাম শেখ ফায়জুল হকের বাসায়। উনি হচ্ছে শেরে বাংলা একে এম ফজলুল হক সাহেবের ছেলে। উনি আওয়ামী লীগ করেন এবং আমাদের এলাকা কে এম দাস লেনের এম এল এ। উনি আমাদের নটেরডেম কলেজের শিক্ষক ছিলেন। এবং পাড়ার একজন লোক হওয়ার আমাদের সাথে ক্রিকেটও খেলতেন। যা-হোক উনার কাছে গেলাম। বললাম বাবু ভাই (শেখ ফায়জুল হকের ডাক নাম) কি হবে এখন? আমাদের.? এসময়ে তিনি আমাদের সাথে অস্ত্র দেখলেন। তিনি এসব দেখে অবাক হয়ে গেলেন, বললেন তোমরা অস্ত্র দিয়ে কি করছো? আমরা বললাম পাকিস্তানি আর্মি বেরিয়ে পড়েছে, গোলাগুলি করছে ..মোহাম্মদপুর মিরপুরে..জানেন নাপ আপনি? খবর পেয়েছি। কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৭ মার্চ হরতাল ডেকেছেন। এবং নো কনফ্রন্টটেশন..এবং উনি বলেছেন নো কনফ্রন্টটেশন। তো তোমরা এগুলি নিয়ে কি করছো?-জানতে চাইলেন আমাদের কাছে। 

বললাম মুক্তিযুদ্ধ করতে বেরিয়েছি,আমরা রেডি..

বাবু ভাইকে বললাম আমরা তখন বললাম আমরাতো মুক্তিযুদ্ধ করতে বেরিয়েছি। আমরা রেডি..। আশ্বর্য লাগে তখনও আমরা বুঝি না যুদ্ধ টা যে কি..। আমরা একটা খেলার মধ্যে আছি। পিস্টল দিয়ে পয়েন্ট টু রিভরভার দিয়ে আমরা পাকিস্তান আর্মিকে ঘায়েল করবো? আমিতো বাবু ভাইয়ের মুখে এসব কথা শুনে হতাশ হয়ে গেলাম। বললাম, যুদ্ধ হবে না? বাবু ভাই বললেন, কিসের যুদ্ধ, কিসের কি, যাও বাসায় যাও? সব ফেলে দাও, সব ড্রেনের মধ্যে ফেলে দাও। আর পথের থেকে সব ব্যারিকেড সরিয়ে দাও। এটা ২৫ মার্চ রাতের বেলার কথা বলছি কিন্তু। আমরা হতাশ হয়ে যে যা-র বাড়ির দিকে চলে যেতে লাগলাম।

ইত্তেফাকের দিকে তাক করে শেলিং..

রাত বারোটা কি সাড়ে বারোটার দিকে আমাদের সামনের রাস্তার মোড়ে ট্যাংক এসে ব্যারেল ঘুরিয়ে ইত্তেফাকের দিকে তাক করে তারা শেলিং করলো। ২০ থেকে ২৫ জনের মতো লোক লকআপের মধ্যেই মারা গেলো। আর এক দেড়শত লোক পেছনে একটি মন্দিরের দিকে দিয়ে পালালো। আমরা সাহায্য করলাম তাদেরকে পালাতে। চারিদিক থেকে গোলাগুলির আওয়াজ শুনছিলাম। আমরা আমাদের বাসার নিচে সিড়ির কোটায় আশ্রয় নিলাম। রাতটা কাটালাম। 

সিঁড়িকোটায় আমাদের রাতটা কাটলো..

মধ্যরাতের দিকে ইত্তেফাক অফিসের আগুনের কুন্ডলী। দেখলাম তখনতো তার পাশেই আমাদের বাড়ি। সে-ই আগুনের কুন্ডলীর তাপে আমাদের বাড়িও জানালার শিকগুলি গরম হয়ে যাচ্ছিল। তখন আবার বাবা আজিজুস সামাদ সেগুলিতে পানি মারতে লাগলো। আমরা রাতভরে জানালার শিকগুলি পানি মারার কাজে লেগে গেলাম। আমার মা মিসেস সাদেকা সামাদ ছিলেন আরমানিটোলার আনন্দময়ী গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষক। তিনি সত্তর সাথে পাকিস্তান সরকার থেকে সেসময়ে একজন বেস্ট প্রধান শিক্ষক হিসাবে কায়েদ-ই-আজম পুরস্কার পেয়েছিলেন। সেদিন সিড়িকোটায় আমাদের রাতটা কাটলো। ২৬ তারিখ গেলো। ২৭ তারিখ সকাল বেলায় রেডিওতো শুনলাম দু’ঘন্টার জন্য কারফিউ নমনীয় করা হয়েছে। কারণ যারা যারা বিভিন্নভাবে আটকা পড়ে গেছে তারা যেনো নিরাপদে সড়ে পড়তে পারে। আর আমরা এই সুযোগটা পেয়ে বাবা-মায়ের বাধা না মেনে সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। চলে গেলাম সদরঘাটে। সদরঘাটে গিয়ে দেখলাম রক্তাত্ত সদরঘাট প্রাঙ্গন। লাশ আর লাশ..। নদী দিয়েও ভেসে আসছে লাশ। সেখান থেকে আমরা চলে গেলাম হিন্দু ভাইদের সে-ই শাখারি বাজার এলাকা। সেখানে গিয়ে দেখলাম আরেক মর্মান্তিক দৃশ্য। আগুনে জলছে পুরো শাখারি বাজার। একটা দৃশ্য দেখলাম সে-ই পোড়া অবস্থায় একজন আরেকজনকে জড়িয়ে ধরে আছে। দেখলাম আগুনে জলছে আর মাটিতে লাল পোড়া কয়লা..। এই যে আরেকজনকে পোড়া অবস্থায় জড়িয়ে ছিলো তাদের গায়ে কিন্তু মাংস পুড়ে ছাই.কোনো মাংস নেই শরীরে, শুধু কংকাল। এরকম একের পর একেক-টা হৃদয়বিদারক দৃশ্য দেখেই চলেছি ২৭ মার্চ। এদিকে চিন্তা দু-ঘন্টা পার হয়ে যাবে..। তাই সাইকেলে চড়ে বাসায় ফিরে যাচ্ছিলাম। বাসায় ফিরতে ফিরতে হাটখোলার রাস্তায় একটা দরজা দেখলাম। দরজা দেখলাম হবে হয়তো ছয় থেকে সাত ফুট। এর তলে পাচ থেকে ছয় ইঞ্চি গ্যাপ। দেখলাম পরে থাকতে একটা শিশুকে। ওর মাথাটা ঢুকিয়েছে গেটের তল দিয়ে। কিন্তু ঐ অবস্থায় তাকে সেখানেই পড়ে থাকতে দেখলাম। পুরো আশেপাশ- ফুটপাতটা রক্ত আর রক্ত। ও বোধ হয় দেয়ালটা পার হতে পারেনি। তাই দরজার নিচের দিকে দিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল গোলাগুলির সময়ে। কিন্তু ঐ ছয় থেকে সাত বা হয়তো দশ বছরের হবে বাচ্চাটাকে পাকিস্তানিরা সেই রাতে সেখানেই গুলি করে ফেলে রেখে যায়। এই রক্তাত্ত শিশুর লাশ, সদরঘাট প্রাঙ্গনে লাশ আর লাশ অন্যদিকে শাখারি বাজারে আগুনের লেলিহান শিখায় পুড়ে যাওয়া হিন্দু ভাইদের মরদেহ দেখে মনে হলো আমরা আর পাকিস্তান নেই। সেদিন থেকে আমরা বাংলাদেশ হয়ে গেছি। কিভাবে আমরা হবো বাংলাদেশ সেটা পরের কথা কিন্তু আমরা যে আর পাকিন্তান নেই তা স্পষ্ট হয়ে গেলো।

শেয়ার করুন