০৮ মে ২০১২, বুধবার, ০২:১৩:২০ অপরাহ্ন


চাঁদরাতের আতশবাজিতে বাংলাদেশি তরুণ আহত
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৭-০৪-২০২৪
চাঁদরাতের আতশবাজিতে বাংলাদেশি তরুণ আহত জ্যাকসন হাইটসে চাঁদরাত


চাঁদরাত এখন নিউইয়র্কে অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং আনন্দ-উচ্ছ্বাসের অনুষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকা জ্যাকসন হাইটস, জ্যামাইকা, ব্রঙ্কসসহ অন্যান্য এলাকায় চাঁদরাত ঘটা করে উদযাপন করা হয় চাঁদরাত। তবে সবচেয়ে আকর্ষণীয় অনুষ্ঠান এবং উচ্ছ্বাস হয় জ্যাকসন হাইটসে। এবারও এলাকাবাসী ও জেবিবিএর উদ্যোগে চাঁদরাতের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় বাংলাদেশ স্ট্রিটে। তবে এবার অনুষ্ঠানে ভিন্নতা ছিল। গান-বাজনার তেমন আয়োজন ছিল না। স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং কমিউনিটি বোর্ডের আপত্তির কারণে এবার সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পর্বটি রাখা হয়নি। গত কয়েক বছরের অভিজ্ঞতা এবং পুলিশ প্রিসেক্টের অনুমতি না দেওয়ার কারণেই সাংস্কৃতিক পর্বটি হয়নি। সাংস্কৃতিক পর্বের কারণে আসলে পরিস্থিতি আয়োজক এবং পুলিশের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। আতশবাজি নিষিদ্ধ করা হলেও তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধিরা সেই বিধিনিষেধ মানতে চান না। লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। পুলিশ কোনো কোনো এলাকায় বা স্ট্রিটে ঢোকার মতো পরিস্থিতিও থাকে না। অন্যদিকে ব্রঙ্কসে চাঁদরাতের আতশবাজিতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। তার মধ্যে একজনের অবস্থা মারাত্মক খারাপ হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

অনুষ্ঠানে সন্ধ্যার পরে শুরু হলেও মূলত সকাল থেকে জ্যাকসন হাইটসের বিভিন্ন স্ট্রিট বিশেষ করে বাংলাদেশ স্ট্রিট, ৭৪ স্ট্রিট, ডাইভারসিটি প্লাজা এবং ৩৭ অ্যাভিনিউ অস্থায়ী ভেন্ডারদের দখলে চলে যায়। বিশেষ করে প্রবাসে জন্ম নেওয়া এবং বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মের স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরাই মেহেদী লাগানোর টেবিল নিয়ে বসে পড়েন। সেই সঙ্গে কাপড় বিক্রির স্টল তো রয়েছেই। যুৎসই স্পট পেতে অনেকেই সকালে চলে আসেন। আবার কেউ বা তাদের চেয়ার টেবিল রেখে যান। তবে জ্যাকসন হাইটসে চাঁদরাতে গান-বাজনা থাকলেও মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। কোথাও তিল ধরার ঠাঁই ছিল না। জ্যাকসন হাইটসের ৭৩, ৭৪টি এবং ৩৭ অ্যাভিনিউ লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। তারা ‘ঐ মোর রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ’ গানটির সঙ্গে নেচে-গেয়ে উল্লাস-উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে থাকে। আবারও আতশবাজিও ছিল। আতশবাজিতে কেউ ধরা পড়লে ২৫০ ডলার জরিমানা এবং গ্রেফতারের খড়গ থাকা সত্ত্বেও বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসের কাছে পুলিশ ভয়ে হার মেনেছে। এই উন্মাদনা চলে ভোররাত পর্যন্ত। একই অবস্থা ছিল বাংলাদেশি অধ্যুষিত ব্রঙ্কস এবং জ্যামাইকাতেও।

শেয়ার করুন