১৯ মে ২০১২, রবিবার, ১১:৫২:০১ অপরাহ্ন


বৃহত্তর নোয়াখালী সোসাইটি
১ লাখ কবরের প্রজেক্ট উপস্থাপন : কমিউনিটিতে ব্যাপক সাড়া
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০১-০৫-২০২৪
১ লাখ কবরের প্রজেক্ট উপস্থাপন : কমিউনিটিতে ব্যাপক সাড়া দোয়া পরিচালনা করছেন মাওলানা মির্জা আবু জাফর বেগ


প্রবাসের অন্যতম আদর্শিক সংগঠন বৃহত্তর নোয়াখালী সোসাইটি। একটি সংগঠনে যোগ্য নেতৃত্ব থাকলে অনেক কিছুই করা সম্ভব। আর সেই কাজটি ধারাবাহিকভাবে করে যাচ্ছে বৃহত্তর নোয়াখালী সোসাইটি। বৃহত্তর নোয়াখালীবাসীর জন্য তিনটি প্রজেক্ট শেষ করে চতুর্থ প্রজেক্টের পরিকল্পনা গ্রহণ করে বৃহত্তর নোয়াখালী সোসাইটির কর্মকর্তারা। ব্রুকলিনের বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকা চার্চ ম্যাকডোনাল্ডে দুটি বাড়ি এবং লং আইল্যান্ডে কবরস্থানের পর এবার বাংলাদেশি কমিউনিটির জন্য বড় প্রজেক্ট নিয়ে এগোচ্ছে বৃহত্তর নোয়াখালী সোসাইটির কর্মকর্তাবৃন্দ। এই বৃহত্তর প্রজেক্টটি হচ্ছে নিউইয়র্কে ১ লাখ কবর। আপ টাউনের মিডল টাউনে ১২৬ একর জায়গার ওপর এই প্রজেক্ট হবে। নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটস, ব্রুকলিন থেকে এই প্রজেক্টের যেতে সময় লাগবে ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট। এই প্রজেক্টে থাকবে ফিউনারেল হোম, হিমাগার, নামাজ পড়ার জায়গাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা। ইতিমধ্যেই এই প্রজেক্টের প্রাথমিক কাজ এবং কন্ট্রাক্টটি সই হয়েছে। প্রজেক্ট পাস হয়েছে, সয়েল টেস্ট হয়েছে। গঠন করা হয়েছে একটি আহ্বায়ক কমিটি। সেই কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে বৃহত্তর নোয়াখালী সোসাইটির সাবেক সভাপতি এবং বর্তমানে বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি আব্দুর রব মিয়া এবং সদস্যসচিব করা হয়েছে বৃহত্তর নোয়াখালী সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জাহিদ মিন্টু। গত তিনটি প্রজেক্ট বৃহত্তর নোয়াখালী সোসাইটির নিজস্ব অর্থায়নেই হয়েছে। আর এই প্রজেক্টগুলো অগ্রদূত ছিলেন জাহিদ মিন্টু। তারপাশে ছিলেন বৃহত্তর নোয়াখালীর সাবেক সভাপতি আব্দুর রব মিয়া, বর্তমান সভাপতি নাজমুল হাসান মানিক, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ইউছুপ জসীম, ট্রাস্টি বোর্ড, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং কার্যকরি কমিটির সদস্যরা।

চতুর্থ প্রজেক্ট ১ লাখ কবর ও ফিউনারেল হোমের। এটিরও দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে আব্দুর রব মিয়া এবং জাহিদ মিন্টুর ওপর। তাদের সবার ধারণা জাহিদ মিন্টু ছাড়া এই বিশাল প্রজেক্ট সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। আর তারা এই প্রজেক্টের কথা চিন্তা করেন মহামারি করোনার সময়। সেই সময় তারা দেখেছেন কবরের জন্য মানুষের হাহাকার। যেই চিন্তা সেই কাজ। বেশ কয়েকটি স্থান তারা পরিদর্শন করেন। অবশেষে বর্তমান স্থানটি চূড়ান্ত করেন। এই বিশাল প্রজেক্ট সম্পন্ন করা বৃহত্তর নোয়াখালী সোসাইটির একার পক্ষে কষ্টসাধ্য বিষয়। আর এই প্রজেক্টের নামকরণ করা হয়েছে বাংলাদেশ সিমেট্রি। এটি শুধু নোয়াখালীবাসীর জন্য নয়, পুরো প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য। যে কারণে পুরো প্রজেক্টটি বাংলাদেশিদের সামনে উপস্থাপন করা হয় তাদের সহযোগিতার জন্য। এই প্রজেক্টটি বিউটি হচ্ছে সব প্রবাসী বাংলাদেশি মুসলিম সম্প্রদায়ের কোনো সদস্যের মৃত্যুর পর একই স্থানে দাফন করা হবে। থাকবে ফিউনারেল সুবিধাও। বলা যায়, ওয়ান স্টপ সার্ভিস।

এই বিশাল প্রজেক্টটি কমিউনিটির সঙ্গে উপস্থাপন করা হয় গত ২৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় উডসাইডের গুলশান টেরেসে। অনুষ্ঠানে আগতদের ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বৃহত্তর নোয়াখালী সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ইউছুপ জসীম এবং স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য রাখেন সমিতির সভাপতি নাজমুল হাসান মানিক। দুই পর্বের এই অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে বক্তব্য রাখেন সমিতির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হাজি মফিজুর রহমান, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মোশাররফ হোসেন খোকন, বি এম বেলার, মাইনুল উদ্দীন মাহবুব, কার্যকরি কমিটির সহ-সভাপতি তাজু মিয়া।

দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রজেক্ট নিয়ে বক্তব্য রাখেন প্রজেক্টের আহ্বায়ক আব্দুর রব মিয়া। তিনি তার বক্তব্যে সবাইকে ধন্যবাদ জানান এবং এই প্রজেক্টে সহযোগিতার আহ্বান জানান। এরপর জাহিদ মিন্টুর উপস্থাপনায় প্রজেক্টরের মাধ্যমে পুরো প্রজেক্টটি উপস্থাপন করা হয়। প্রজেক্টের পরিকল্পনা, শুরু, প্রথমিক কাজ, বর্তমান অবস্থা, সুযোগ-সুবিধাসহ খুঁটিনাটি সব বিষয় উপস্থাপন করা হয়। প্রজেক্ট উপস্থাপনের আগে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় বৃহত্তর নোয়াখালী সোসাইটির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং কার্যকরি কমিটির সদস্যদের।

প্রজেক্ট উপস্থাপনের অনুষ্ঠানে আগত কমিউনিটি শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ প্রশংসা এবং তাদের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। অনেকে কবর ক্রয়ের আশ্বাস এবং প্রতিশ্রুতি দেন। ব্যক্তিগতভাবেও অনেকে কবর ক্রয় করার প্রতিশ্রুতি দেন। সুন্দর এই অনুষ্ঠানে যারাই বক্তব্য দিয়েছেন তাদের প্রত্যেকেই বৃহত্তর নোয়াখালী সোসাইটির উদ্যোগেকে স্বাগত জানান এবং প্রশংসা করেন। সংগঠনের পাশাপাশি সবার মুখে মুখেই ছিল জাহিদ মিন্টু প্রশংসা। কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের পাশাপাশি বিভিন্ন মসজিদের ইমাম এবং মসজিদ কমিটির কর্মকতারাও উপস্থিত ছিলেন।

অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সোসাইটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এম আজিজ, প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট জামাল আহমেদ জনি, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সভাপতি নার্গিস আহমেদ, গোল্ডেন এজ হোম কেয়ারের প্রেসিডেন্ট শাহ নেওয়াজ, ইমিগ্র্যান্ট এল্ডার হোম কেয়ারের প্রেসিডেন্ট গিয়াস আহমেদ, বাংলাদেশ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন সিদ্দিকী, জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির সভাপতি ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বদরুল হোসেন খান, বিয়ানীবাজার সমিতির সভাপতি আব্দুল মান্নান, বাংলাদেশ সোসাইটির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল, মূলধারার রাজনীতিবিদ মাফ মিসবাহ, শাহ গ্রুপের চেয়ারম্যান শাহ জে. চৌধুরী, মুনার ন্যাশনাল সেক্রেটারি আরমান চৌধুরী, কুইন্স ডেমোক্রেটিক লিডার অ্যাট লার্জ অ্যাটর্র্নি মঈন চৌধুরী, কোম্পানীগঞ্জ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন সবুজ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও বারী হোম কেয়ারের প্রেসিডেন্ট আসেফ বারী টুটুল, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও আলেগ্রা হোম কেয়ার ও বাংলা সিপিপ্যাপের প্রেসিডেন্ট ড. আবু জাফর মাহমুদ, বাংলাদেশ সোসাইটির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য আজিমুল রহমান বোরহান, আব্দুল হাসিম হাসনু, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাব্বী মোহাম্মদ খোকন, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আলম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান সেলিম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নূরুল আজিম, লায়ন্স ক্লাবের সাবেক প্রেসিডেন্ট আহসান হাবিব, বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আব্দুল হাকিম মিয়া, মাওলানা মোহাম্মদ ইসমাইল, মাওলানা শহীদুল্লাহ, বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচন কমিশনার হেলাল উদ্দিন, কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট শাহাদাত হোসেন, সিরাজুল ইসলাম খান, মোহাম্মদ আনোয়রুল ইসলাম, বাংলাদেশ সোসাইটির সহ-সভাপতি ফারুক চৌধুরী, সহ-সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ নওশাদ হোসেন, প্রচার সম্পাদক রিজু মোহাম্ম, সদস্য সাদী মিন্টু, বাংলাদেশ সোসাইটির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য আতোয়ারুল আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা তোয়ায়েল আহমেদ চৌধুরী, বাংলাদেশ সোসাইটির কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বিলাল চৌধুরী, সৈয়দ আল আমিন রাসেল, অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান, নূরে আলম জিকো, ব্রুকলিন বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ মামুনুর রশীদ, আনিস আহমেদ, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক কর্মকর্তা আবুল কাশেম, বগুড়া সমিতির সভাপতি মহব্বত আকন্দ, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, বৃহত্তর নোয়াখালী সোসাইটির সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার হেলাল উদ্দিন, সন্দ্বীপ সোসাইটির সভাপতি ফিরোজ আহমেদ, ফোবানার মেম্বার সেক্রেটারি কাজী শাখাওয়াত হোসেন আজম, বিয়ানীবাজার সমিতির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল আলম অপু, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রোকন হাকিম, এস্টোরিয়া আল আমিন মসজিদের সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন, রূপসী চাঁদপুর ফাউন্ডেশনের সভাপতি মাওলানা ফখরুল ইসলাম মাছুম, ড্রামের সংগঠনিক পরিচালক কাজী ফৌজিয়া, বিয়ানীবাজার সমিতির সাবেক সভাপতি বোরহান উদ্দিন কফিল, খলিল বিরিয়ানির প্রেসিডেন্ট খলিলুর রহমান, সানম্যান মানি ট্রান্সফারের প্রেসিডেন্ট মাসুদ রানা তপন, অ্যাংকর ট্রাভেলসের প্রেসিডেন্ট এস এম মাইনউদ্দীন পিন্টু, চট্টগ্রাম সমিতির সাবেক নির্বাচন কমিশনার মাকসুদুল হক চৌধুরী, বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম, শাপলা ওয়েলফেয়ারের রুহুল আমিন, ডা. নার্গিস রহমান, বাংলাদেশ সোসাইটির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য জহিরুল ইসলাম মোল্লা, বাংলাদেশ সোসাইটির সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম ভুইয়া, কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট নূরুল আফসার সেন্টু, জেবিবিএর সাবেক সভাপতি আবুল ফজল দিদারুল ইসলাম, ডাউন টাউটন বাংলাদেশি বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তরিকুল ইসলাম, ঢাকা অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি এম বাসেত রহমান, জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির প্রধান উপদেষ্টা এ বি এম ওসমান গনি, বরিশাল সমিতির সাবেক সভাপতি শাহ আলম, মুন্সীগঞ্জ বিক্রমপুর অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি বাবুল, ইয়েলো সোসাইটির সাবেক সভাপতি আউয়াল ভূইয়া, এস এম জাহাঙ্গীর হাসাইন, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ মঈনুজ্জামান চৌধুরী প্রমুখ।

অনুষ্ঠানেও ছিল প্রশ্নোত্তর পর্ব। অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে দোয়া পরিচালনা করেন জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের ইমাম ও খতিব মাওলানা মির্জা আবু জাফর বেগ। পুরো অনুষ্ঠানে বৃহত্তর নোয়াখালী সোসাইটির কর্মকর্তাদের সৌহার্দ্য সম্প্রীতি ছিল প্রশংসার দাবিদার। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পুরো অনুষ্ঠান একটি সফল ও সার্থক অনুষ্ঠানে পরিণত হয়। এছাড়া প্রজেক্টটি পুরো বাংলাদেশি কমিউনিটিতে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।

শেয়ার করুন