০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ০৩:৩৩:২২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
স্ন্যাপ সুবিধা ফিরলেও কঠোর নিয়মে বিপাকে ৪০ মিলিয়ন মানুষ মসজিদে ধারাবাহিক হামলা, উদ্বেগে মুসলিম সম্প্রদায় ফেব্রুয়ারি ১ থেকে রিয়েল আইডি ছাড়া বিমানযাত্রায় লাগবে ৪৫ ডলারের ফি নিউইয়র্কে শীতকালে ঘর গরম রাখার জন্য এনার্জি সহায়তার আবেদন শুরু দারিদ্র্যপীড়িত দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের ১৯ দেশের গ্রিনকার্ডধারীদের পুনর্মূল্যায়ন শুরু তারেকের ‘ফেরা ইস্যু’ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে চেষ্টা বিডিআর বিদ্রোহের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কমিশন রিপোর্টে তোলপাড় রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ মর্যাদায় খালেদা জিয়া ১১ মাসে ২৮ জন বাংলাদেশী ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী কর্তৃক নিহত হয়েছে


সরকারের সদিচ্ছা না থাকলে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না : সিইসি
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৫-০৬-২০২৪
সরকারের সদিচ্ছা না থাকলে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না : সিইসি প্রধান নির্বাচন কমিশনার হাবিবুল আউয়াল


দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের পর স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনও প্রায় সম্পন্ন। কিন্তু এমন নির্বাচনে সাধারণ জনগণের মধ্যে নেই নির্বাচনী উৎসব ও আমেজ। এর একটাই কারণ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না সরকার বিরোধীদলসমূহ। দীর্ঘদিন থেকেই চলছে তাদের নির্বাচন বয়কট। এমন প্রেক্ষাপটে এক অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বৈরিতা অত্যন্ত প্রকট। এই প্রকট বৈরিতা নিয়ে সামনে এগোনো কঠিন। রাজনৈতিক সমঝোতা হলে নির্বাচন আরো সুন্দর ও সুষ্ঠু হতে পারে।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আমন্ত্রণে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সম্প্রতি এক বৈঠক করে। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সিইসি বলেন, টিআইবির সঙ্গে বৈঠকে পুরো নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে কথা হয়েছে। তারা বলেছেন, সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয়নি, সুষ্ঠু হয়েছে। গণতান্ত্রিক চেতনা থেকে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হওয়া প্রয়োজন, সেটা হয়নি। সেটা তারা জোর দিয়ে বলেছেন। সিইসি জানান, বৈঠকে নির্বাচন কমিশন বলেছে, নির্বাচন কমিশনের কাজ হচ্ছে নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ করা। সমস্যা অনেকটাই রাজনৈতিক। রাজনৈতিক সমস্যাগুলো নিরসন না হলে, নির্বাচনব্যবস্থা স্থিতিশীল হবে না। রাজনৈতিক সমঝোতা হলে নির্বাচন আরো সুন্দর ও সুষ্ঠু হতে পারে।

সিইসি হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচন কমিশনের পক্ষে যতটুকু করা সম্ভব তারা চেষ্টা করেন। কিন্তু তাদের হাতে অনন্ত ক্ষমতা নেই। রাষ্ট্র এবং সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা না থাকলে নির্বাচন কমিশন একা সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে পারবে না। এজন্য রাজনৈতিক দলগুলোরও সদিচ্ছা প্রয়োজন।

বৈঠক শেষে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, ২০০৮ সালে যে পদ্ধতিতে নির্বাচন হয়েছে এখন সে পদ্ধতিতে ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। কারণ সংবিধান এটা অনুমোদন করে না। যদি পুরোপুরি নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়া যায়, জনগণ সেটাকে স্বাগত জানাবে। তার বিকল্প হিসেবে যারাই নির্বাচনকালে সরকারে থাকবে, তাদের নিরপেক্ষ এবং স্বার্থের দ্বন্দ্বমুক্ত থেকে দায়িত্ব পালনের বাধ্যবাধকতা তৈরি করতে হবে। অনেক দেশেই এটি আছে।

ইফতেখার বলেন, এক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোকে ভূমিকা পালন করতে হবে। তারা যদি মনে করে শুধু ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য বা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নির্বাচন করবে, তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে না। টিআইবি নির্বাচনী ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর বিষয়ে সুপারিশ করেছে বলে উল্লেখ করেন ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেন, সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা চালু করা যায়। ইসিও তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে একমত পোষণ করেছে।

শেয়ার করুন