২৭ জুন ২০১২, বৃহস্পতিবার, ০১:১৫:৫৬ পূর্বাহ্ন


গোটা পর্যটন শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ১২-০৬-২০২৪
গোটা পর্যটন শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ


ঘোষিত বাজেটে ট্যুর অপারেটর সেবার উপর বিদ্যমান মূসক অব্যাহতির সুবিধা প্রত্যাহার করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এটা বাস্তবায়িত হলে গোটা পর্যটল শিল্প বিশেষ করে অন্তর্গামী ও আভ্যন্তরীণ পর্যটন দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

গত ১১ জুন মঙ্গলবার রাজধানীর রিপোর্টাস ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই আশঙ্কা প্রকাশ করেন পর্যটন শিল্পের শীর্ষ সংগঠন ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব) এর প্রেসিডেন্ট নেতৃবৃন্দ। 

এতে (টোয়াব) এর প্রেসিডেন্ট ও এফবিবিসিআই ট্রাভেল, ট্যুর এন্ড হসপিটালিটি স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান মোঃ রাফেউজ্জামান বিকাশমান পর্যটন শিল্পের স্বার্থে ট্যুর অপারেটরদের সেবার উপর প্রস্তাবত বাজেটে মূসক আরোপের প্রস্তব রহিত করার দাবি জানান। কারণ ট্যুর অপারেটররা বিভিন্ন খাত থেকে পর্যটন উপাদান সংগ্রহ করে পর্যটকদের সুবিধা ও আরামদায়ক ভ্রমণের যে প্যাকেজ তৈরি করে তার মধ্যেই মূসক অন্তর্ভুক্ত থাকে। 

উদাহরণস্বরূপ বলা যায় হোটেলের রুম ভাড়া করার সময়, ট্রান্সপোটের টিকেট ক্রয় করার সময়, রেস্টুরেন্টে খাবারের বিল প্রদান করার সময়, বিভিন্ন পর্যটন আকর্ষণীয় স্থাপনা ও অ্যামিউজমেন্ট পার্কের টিকেট ক্রয় করার সময় মূসক দিয়ে থাকে। এমনকি অন্যান্য পর্যটন সেবার ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য। উল্লেখিত সব পর্যটন উপাদান একত্রিত করে ট্যুর অপারেটররা পর্যটকদের সেবা প্রদান করে থাকে। এখন যদি পর্যটন উপাদান সম্মিলিত প্যাকেজে আবার নতুন করে মূসক দাবি করা হয় তা হলে প্যাকেজ মূল্য তথা ট্রাভেল কস্ট বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে। তাতে করে গোটা পর্যটল শিল্প বিশেষ করে অন্তর্গামী ও আভ্যন্তরীণ পর্যটন দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

যেহেতু পর্যটন শিল্প একটি ব্যাপক ও অনেকগুলো সেক্টরের সাথে সম্পৃক্ত, বিদ্যমান মূসক সুবিধা প্রত্যাহার হলে অগ্রসরমান বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের বিকাশের অন্তরায় হয়ে দাঁড়াতে পারে। এখানে উল্লেখ থাকে যে, বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দ্বারা সৃষ্ট। উনার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ পরিচালনায় পর্যটনের যে দ্বার উন্মোচিত হয়েছে তা দারুণভাবে বাধাগ্রস্ত হবে। শুধু তাই নয় পর্যটন শিল্পের দ্বারা কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন ও রক্ষা দুটোই করা সম্ভব যা ট্যুর অপারেটরদের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। 

বাজেট ঘোষণার পরপরই এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলমের সাথে টোয়াবের প্রেসিডেন্টের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎকালে মূসক প্রত্যাহারের ব্যাপারে আলোচনা করা হয়। টোয়াবের প্রেসিডেন্ট মোঃ রাফেউজ্জামান সমাজের দর্পন সাংবাদিকবৃন্দের নিকট এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করে যাতে টোয়াবের এই দাবি যথাযথ মহলের নজরে আসে।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব) জাবেদ আহমেদ, টোয়াবের সহ-সভাপতি মোঃ আনোয়ার হোসেন, টোয়াবের সদ্য বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের গভর্নিং বডি মেম্বার শিবলুল আজম কোরেশী, টোয়াবের পরিচালক (মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন) মোহাম্মাদ ইউনুছ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সংবাদ সম্মেলনে টোয়াবের পরিচালকমন্ডলী ও উপদেষ্টাবৃন্দ, সম্মানিত সদস্যবৃন্দ, টোয়াবের সচিব উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন