প্রত্যাশিত পারফরমেন্সের প্রদর্শনী করে আবারও এক পরাজয় নিয়ে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিল সাদা মাটা পারফরমেন্স করা বাংলাদেশ। লো’স্কোরিং ম্যাচে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে কুড়ি ওভারের এ ম্যাচে বাংলাদেশ ব্যর্থ হয় ১১৬ রান করতে। ১০৮ করে হেরে যায় তারা ডিএল এ ৮ রানে।
ম্যাচে চরম ব্যর্থতা দেখিয়েছেন সেই দীর্ঘ অফফর্মে থাকা সৌম্য সরকার। সাথে ব্যার্থতার ষোলকলা পূর্ণ করেছেন সাকিব আল হাসান এমপি। গুরুত্বপূর্ণ এ ম্যাচে এক সময় টার্গেট দাড়িয়েছিল বাংলাদেশ ১২.১ ওভারে ১১৬ রান করতে পারলে সেমিফাইনালেই পৌছে যাবে। অমন টার্গেটে লিটন দাস,নাজমুলরা চেষ্টা করতে যেয়ে নাজমুল,তানজিদ আউট হওয়ার পর মাঠে নামেন বাংলাদেশেরে জনপ্রতিনিধি ও অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। কিন্তু প্রথম বলটি বোলারের হাতে তুলে দিয়ে প্যাভেলিয়নে ফিরে এসে যে ব্যার্থতা শুরু করেন সেটা অলআউট হওয়ার মাধ্যমে শেষ হয় সাকিবের।
লিটন শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৫৪ রান করে। ৪৯ বলে ওই রান করেন তিনি। আফগানদের বিরুদ্ধে সাকিব আল হাসান এমপি বোলিংয়েও ব্যার্থ। চার ওভারে কোনো উইকেটের দেখা পাননি। রান দিয়েছেন ১৯। ব্যার্থ আরেকজন সৌম্যকে ব্যাটসম্যান হিসেবেই খেলানো হয়। বোলিং করাননি ক্যাপ্টেন। আর ওই ব্যাট হাতে তিনি ১০ বলে ১০ রান করে আউট হন। মুলত দলের ১৬ রানে তানজিদ,২৩ রানে নাজমুল শান্ত, একই স্থানে সাকিব আউট হওয়ার পর উইকেটে দাড়ানোরও বিষয় ছিল। কিন্তু ওই সময় সৌম্যও আউট হয়ে দলের উপর প্রেসার তৈরী করে দেন। সেখান থেকে আর বের হওয়া সম্ভবপর হয়নি।
দলের প্রয়োজনে হিট করতে যেয়ে মাহমুদুল্লাহ আউট হন, অন্যরাও সেই একই অবস্থা। তবে টপ ও মিডল অর্ডার দ্বায়িত্ব নিতে পারলে এ ম্যাচে জিতে সেমিতে যাওয়া সম্ভবপর ছিল। কিন্তু সেটা তো দুরে থাক, পরাজয় মেনে নিতে হয়েছে দুর্দান্ত আফগানদের জয়ের নেশায় উম্মাদ হয়ে ওঠা রক্তচক্ষুর সামনে।
১০৫ রানে শেষ বাংলাদেশের ইনিংস।
এ জয়ে সেমিফাইনালে উঠলো আফগানিস্তান। এটা বিশ্বকাপের আসরে প্রথম কোনো বড় সাফল্য দলটির। সম্ভাবনায় থাকা অস্ট্রেলিয়াও বিদায় নিল। বাংলাদেশ জিতলে অজিদের চান্স হতো সেমিতে যাওয়ার। কিন্তু হয়নি।